E Paper Of Daily Bangla 71
World Vision
Technomedia Limited
Mobile Version

ভাঙ্গা উপজেলার পিইডিপি-৪ প্রজেক্টে অনিয়মের অভিযোগ

বিভাগীয় তদন্ত চেয়ে সংশ্লিষ্ট উদ্ধর্তন মহলে ঠিকাদারদের লিখিত অভিযোগ

২০২২ আগস্ট ০৭ ১৯:১১:০৩
বিভাগীয় তদন্ত চেয়ে সংশ্লিষ্ট উদ্ধর্তন মহলে ঠিকাদারদের লিখিত অভিযোগ

দিলীপ চন্দ, ফরিদপুর : ফরিদপুর ভাঙ্গা উপজেলার পিইডিপি-৪ প্রজেক্টে ১০টি প্রকল্পের দরপত্রে অনিয়মের অভিযোগ উঠেছে। উপজেলা প্রকৌশলী এক ঠিকাদার প্রতিষ্ঠানের সাথে যোগ সাজসে অবৈধ ভাবে নিয়ম নীতির বাইরে প্রতিষ্ঠানটিকে ব্যাপক কাজ পাইয়ে দেবার অভিযোগ করেছেন সংশ্লিষ্ট বিভাগের ক্ষতিগ্রস্ত কয়েকটি ঠিকাদার প্রতিষ্ঠান। 

অনিয়মের বিষয়ে ভাঙ্গা উপজেলা প্রকৌশলী মোঃ সিদ্দিকুর রহমানের সাথে মুঠো ফোনে জানতে চাইলে। তিনি বলেন, এটা অফিসিয়াল আভ্যন্তরীণ বেপার বৈধ প্রক্রিয়ায় একটি প্রতিষ্ঠান ৯টি নয় ৬টি কাজ পেয়েছে। এই কাজগুলো কি প্রাক্ত ঠিকাদার প্রতিষ্ঠানের বৈধ যোগ্যতায় পেয়েছে কি না জানতে চাইলে তিনি বলেন, পরে কথা বলবো এখন ব্যস্ত আছি বলে ফোনের সংযোগটি বিচ্ছিন করেন।

মেসার্স ইকবাল এন্ড ব্রাদার্স ও মেসার্স মাহিদা এন্টারপ্রাইজ পৃথক পৃথক সংশ্লিষ্ট দপ্তরের উদ্ধর্তন কর্মকর্তাদের কাছে লিখিত অভিযোগে বলেন, ভাঙ্গা উপজেলার ০৫/২০২১-২০২২ নোটিশের চঊউচ-৪ প্রকল্পের নোটিশের ভুল সংশোধন না করা এবং ঐ দুটি নোটিশের ১০টি দরপত্রের মধ্যে ৯টি দরপত্র একই ঠিকাদার প্রতিষ্ঠানকে অনৈতিক ভাবে ও পিপিআর টেন্ডার প্রস্তুত বিষয়ক বিধিমালা অনুসরণ না করে ওয়ার্ক অর্ডার দেওয়া হয়েছে। লিখিত অভিযোগে তারা আরও বলেন, দরপত্র নং-০৫/২০২০-২০২১ (ঙঞগ) টেন্ডার প্রোপোজাল আইডি নং-৬৬৩৬০, ৬৬৩৬১, ৬৬৯৩৬২, ৬৬৯৩৬৩, ৬৬৯৩৬৪, ৬৬৯৩৬৫ এবং ৬৯৫৮৯৪, ৬৯৫৮৮৭, ৬৮৪১৩২, ৬৮৩৯৭৫ এই ১০টি দরপত্র আহবান থেকে শুরু করে ওয়ার্ক অর্ডার পর্যন্ত যা যা হয়েছে সবটুকু ঙঞগ দরপত্র পিপিআর এর নিয়ম কানুন কোন ভাবেই না মেনে ব্যক্তি স্বার্থে সরকারের অর্থ ভাগবাটোয়ারা করে নেওয়া হয়েছে বলে জানান। এ বিষয়ে তারা বিভাগীয় তদন্ত চেয়েছেন। ১০টি টেন্ডার একবারে ১ তারিখে নোটিশ করার কথা থাকলেও তা পৃথক ভাবে করা হয়েছে। এর মধ্যে ৯ জুন ৬টি ও ৬ এপ্রিল বাকি ৪টি। টেন্ডার আইডি নম্বর সংখ্যায় ৬টি থাকার কথা থাকলেও অনলাইনে ইচ্ছে করেই নাকি ৬৬৩৬০, ৬৬৩৬১ সংযুক্ত করা হয়েছিল যাতে করে কেউ অনলাইনে এই দরপত্রে অংশ নিতে না পারে।

অন্যদিকে সৈকত এন্টারপ্রাইজ কুষ্টিয়া, শরীফ এন্টারপাইজ রাজবাড়ী সর্বনিম্ন দরদাতা হিসেবে ৬টি কাজে অংশ নিলেও কোন কারণ ছাড়াই তাদের বাতিল করা হয়েছে। সর্বনিম্ন দরদাতা প্রতিটি কাজের ৮ থেকে ১০ লক্ষ টাকা কমে দাখিল করে সেক্ষেত্রে ৬০ লক্ষ টাকা সরকারের ক্ষতি হয়েছে। যার লভ্যাংশ ঠিকাদার ও ইঞ্জিনিয়ারের পকেটে বলেও তারা জানান। একটা প্রতিষ্ঠান মোঃ আতিয়ার খানকে অবৈধ ভাবে কাজের ওয়ার্ক অর্ডার দেওয়া হয়েছে সেখানে এই প্রতিষ্ঠানের টেন্ডার ক্যাপাসিটি কত তা দেখা হয়নি। প্রতিটি কাজে টার্নওভার কত চাওয়া হয়েছে? নথিতে দেখা যায় একটা কাজের প্রতিবছর টার্ন ওভার চাওয়া হয়েছে ১ কোটি তাহলে ৫ বছরে ৫ কোটি প্রতিটি কাজের ক্ষেত্রে লাগবে। সেক্ষেত্রে ১০টি কাজের জন্য লাগবে ৫০ কোটি টাকা। প্রাপ্ত ঠিকাদার প্রতিষ্ঠানের এই টার্ন ওভার নেই বলেও তারা অভিযোগ করেন। ক্ষতিগ্রস্ত ঠিকাদাররা উদ্ধর্তন এলজিইডি ভবন আগারগাঁও, দুদকসহ ১০টি বিভাগে তদন্ত চেয়ে লিখিত আবেদন করা হয়েছে।

(ডিসি/এসপি/আগস্ট ০৭, ২০২২)

পাঠকের মতামত:

১৯ এপ্রিল ২০২৪

এ পাতার আরও সংবাদ

উপরে
Website Security Test