E Paper Of Daily Bangla 71
World Vision
Technomedia Limited
Mobile Version

এবার সালথা উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান কারাগারে 

২০২২ আগস্ট ১৭ ১৮:৫৪:৫০
এবার সালথা উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান কারাগারে 

সালথা প্রতিনিধি : ফরিদপুরের সালথায় আলোচিত সহিংস তা-বের মামলায় এবার উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান মো. আসাদুজ্জামান মাতুব্বরকে (৪৫) কারাগারে পাঠিয়েছেন আদালত। 

আজ বুধবার (১৭ আগস্ট) বেলা সাড়ে ১১ টার দিকে ফরিদপুরের ছয় নম্বর আমলী আদালতের বিচারক তরুণ বাছাড় এই আদেশ দেন। আসাদুজ্জামান উপজেলার সদরের সালথা গ্রামের বাসিন্দা মো. জব্বার মাতুব্বরের ছেলে। গত ২০১৯ সালে অনুষ্ঠিত উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে তিনি ভাইস চেয়ারম্যান পদে বিপুল ভোটে নির্বাচিত হন।

ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে আসামিপক্ষের আইনজীবী ইব্রাহিম হোসেন বলেন, সালথা উপজেলা কমপ্লেক্স ভবনসহ আশেপাশের বিভিন্ন স্থাপনায় হামলা, ভাংচুর ও অগ্নিসংযোগের ঘটনায় পুলিশের দায়ের করা মামলার পলাতক আসামি মো. আসাদুজ্জামান মাতুব্বর। এ মামলায় তাঁর বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারী পরোয়ানা জারি করেন আদালত। ওই মামলায় জামিনের আবেদন জানিয়ে বুধবার আদালতে হাজির হন তিনি। জামিনের শুনানি শেষে আদালত জামিনের আবেদন নাকচ করে দিয়ে তাকে জেল হাজতে পাঠানোর আদেশ দেন।

এরআগে মঙ্গলবার (১৬ আগষ্ট) একই মামলার আসামি উপজেলা যুবলীগের সভাপতি ও সোনাপুর ইউপি চেয়ারম্যান খায়রুজ্জামান মোল্লা ওরফে বাবুকে (৪১) গ্রেফতার করে পুলিশ। তাকেও মঙ্গলবার বিকেলে একই আদালতের মাধ্যমে জেল হাজতে পাঠানো হয়েছে। এ ছাড়া সালথা উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মো. ওয়াদুদ মাতুব্বর, উপজেলা শ্রমিকলীগের সাধারণ সম্পাদক মো. আমিন খন্দকার একই মামলায় আগে থেকেই ফরিদপুর জেলা কারাগারে রয়েছেন।

উল্লেখ্য, গত ২০২১ সালের ৫ এপ্রিল সন্ধ্যায় করোনা মোকাবিলায় কঠোর বিধিনিষেধ কার্যকরকে কেন্দ্র করে সালথায় নজিরবিহীন সহিংসতায় সালথা উপজেলা পরিষদ, থানা, সহকারী কমিশনারের (ভূমি) কার্যালয়, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার বাসভবন, উপজেলা কৃষি অফিস, সাব-রেজিস্ট্রি অফিস, উপজেলা চেয়ারম্যানের বাসভবন ভাংচুর ও অগ্নিসংযোগ করা হয়। পুড়িয়ে দেওয়া হয় সরকারি দুটি দামি গাড়িসহ বেশ কয়েকটি মোটরসাইকেল।

এই ঘটনায় পুলিশ উপজেলা চেয়ারম্যান মো. ওদুদ মাতুব্বর, ভাইস চেয়ারম্যান আসাদুজ্জামান মাতুব্বর, উপজেলা যুবলীগের সভাপতি ও সোনাপুর ইউপি চেয়ারম্যান খায়রুজ্জামানসহ ৪৮৮ জনকে অভিযুক্ত করে ফরিদপুরের আদালতে অভিযোগপত্র (চার্জশিট) জমা দেন । আদালত ওই অভিযোগপত্র গ্রহণ করার পর এ মামলার যেসব আসামি পলাতক ছিলেন তাঁদের নামে ওয়ারেন্ট জারি করেন।

(এন/এসপি/আগস্ট ১৭, ২০২২)

পাঠকের মতামত:

২৬ এপ্রিল ২০২৪

এ পাতার আরও সংবাদ

উপরে
Website Security Test