E Paper Of Daily Bangla 71
World Vision
Technomedia Limited
Mobile Version

মহানবীকে অসম্মান করে কথা বলার জের

ঠাকুরগাঁওয়ে মৎস্যজীবীলীগ নেতাকে পিটিয়ে মারার অভিযোগ ইউপি চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে

২০২২ সেপ্টেম্বর ০৫ ১৮:০২:৫৬
ঠাকুরগাঁওয়ে মৎস্যজীবীলীগ নেতাকে পিটিয়ে মারার অভিযোগ ইউপি চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে

ঠাকুরগাঁও প্রতিনিধি : ঠাকুরগাঁওয়ের বালিয়াডাঙ্গীতে মহানবী হযরত মুহাম্মদ (সা.)  কে অসম্মান করে কথা বলার জেরে দুপক্ষের সংঘর্ষে আহত মৎস্যজীবী লীগ নেতা সাকিল আহম্মেদ (২৫) চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা গেছেন।

রোববার দিনাজপুর এম আব্দুর রহিম মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়। সাকিল আহম্মেদ ভানোর ইউনিয়ন মৎস্যজীবী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও উপজেলার ভানোর ইউনিয়নের হলদিবাড়ী গ্রামের মৃত সামশুল আলমের ছেলে।

এ ঘটনায় শনিবার রাতেই ভানোর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান রফিকুল ইসলামসহ ২০ জনকে আসামি করে বালিয়াডাঙ্গী থানায় মামলা করেছেন ভানোর ইউনিয়ন যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক সাঈদ আলম। মামলার পর থেকেই ইউপি চেয়ারম্যানসহ সকল আসামিরা পলাতক রয়েছে।

সুত্র জানায়, গত শুক্রবার (২ সেপ্টেম্বর) হলদিবাড়ী জামে মসিজের ইমাম মহানবী হযরত মুহাম্মদ (সা.) কে অসম্মান করে কথা বললে প্রতিবাদ জানায় সাঈদ আলম ও মুসল্লিরা। এ সময় মসজিদের ইমামের লোকজন ও যুবলীগ নেতা সাঈদ আলমের লোকজনের মধ্যে মারপিটের ঘটনা ঘটলে ওই দিন রাতেই ৪ জনকে আসামি করে বালিয়াডাঙ্গী থানায় মামলা করেন তিনি। মামলার খবর জানতে পারলে ইউপি চেয়ারম্যানসহ তার লোকজন ও মামলার অন্যান্য আসামিরা গত শনিবার সকালে সাঈদ আলমের পথরোধ করে তাকে মারপিট শুরু করে। এরপরে তাকে বাঁচাতে তার ছোট ভাই সাকিল আহম্মেদসহ পরিবারের লোকজন ছুটে আসলে উভয় পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ বাধে। এতে যুবলীগ নেতা সাঈদ আলম ও মৎস্যজীবী লীগ নেতা সাকিল আহম্মেদ গুরুতর আহত হন। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পুলিশ গিয়ে উত্তেজিত পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে নিয়ে আসে এবং আহতদের বালিয়াডাঙ্গী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করেন। সাকিল আহম্মেদের মাথায় প্রচন্ড আঘাত পাওয়ার কারণে দিনাজপুর এম আব্দুর রহিম মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালে রেফার করা হয়। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় রোববার ভোরে তার মৃত্যু হয়।

এদিকে রোববার রাতে ইউপি চেয়ারম্যান রফিকুল ইসলামসহ অন্যান্য আসামিদের গ্রেপ্তারের দাবিতে বিক্ষোভ মিছিল করে ভানোর ইউনিয়ন যুবলীগ ও স্থানীয়রা। এ বিষয়ে ভানোর ইউনিয়ন আ’লীগের সাধারণ সম্পাদক (দ্বায়িত্বে) জাহাঙ্গীর আলম মামুন বলেন, এটি একটি ন্যাক্কারজনক ঘটনা। আমি এ ঘটনার সুষ্ঠ তদন্ত সাপেক্ষে প্রকৃত দোষীদের দৃষ্টান্তমুলক শাস্তির দাবি জানাই।

বালিয়াডাঙ্গী থানার ওসি খায়রুল আনাম জানান, ইউপি চেয়ারম্যানসহ ২০ জনকে আসামি করে একটি মামলা হয়েছে। যার মামলা নং ৪। পুলিশ সকল আসামিদের ধরতে অভিযান অব্যাহত রেখেছে।

(এফআর/এসপি/সেপ্টেম্বর ০৫, ২০২২)

পাঠকের মতামত:

১৮ এপ্রিল ২০২৪

এ পাতার আরও সংবাদ

উপরে
Website Security Test