E Paper Of Daily Bangla 71
World Vision
Technomedia Limited
Mobile Version

সাইফুর রহমান ছিলেন সিলেটের উন্নয়নের চালিকাশক্তি

২০২২ সেপ্টেম্বর ০৬ ০১:২১:১৬
সাইফুর রহমান ছিলেন সিলেটের উন্নয়নের চালিকাশক্তি

মোঃ আব্দুল কাইয়ুম, মৌলভীবাজার : মৌলভীবাজারে পারিবারিক ও দলীয় উদ্যোগে  নানা কর্মসূচীর মাধ্যমে সাবেক অর্থ ও পরিকল্পনা মন্ত্রী এম সাইফুর রহমানকে স্মরণ করেছে মৌলভীবাজার বাসী। জেলাশহর জুড়ে বিশাল আকৃতির বিলবোর্ড ও উপজেলা শহরগুলোতে এম সাইফুর রহমান স্মৃতি পরিষদের ব্যানারে ১৩ তম মৃত্যু বার্ষিকীর পোস্টারে ছেয়ে ফেলা হয়েছে।

কর্মসূচীর মধ্যে সদর উপজেলার বাহারমর্দান গ্রামের বাড়িতে ছিল মরহুমের কবর জিয়ারত, কোরআন খতম, মিলাদ ও দোয়া মাহফিল,শিরনী বিতরণ,বিভিন্ন মসজিদে বিশেষ প্রার্থনা ও এতিমখানায় শিশুদের উন্নত খাবার বিতরণ ও জেলা বিএনপির আয়োজনে স্বরণসভা।

সোমবার (৫ সেপ্টেম্বর) সকাল থেকে বৈরি আবহাওয়া ও গুড়ি গুড়ি বৃষ্টি উপেক্ষা করে বিভিন্ন উপজেলা থেকে আগত দলীয় নেতাকর্মীরা এম সাইফুর রহমান এর নিজ বাড়ী বাহামর্দানে ভীড় জমান। প্রথমে পরিবারের পক্ষ থেকে সাইফুর রহমান এর ছেলে এম কায়সার রহমান, এম সফিউর রহমান ও তাদের সন্তনেরা ফাতিহাপাঠ করে কবরে পুষ্পস্তবক অর্পণ করেন।

এর পর সাবেক পৌর মেয়র ও জেলা বিএনপির সিনিয়র সহ সভাপতি ফয়জুল করিম ময়ুন এর নেতৃত্বে মৌলভীবাজার জেলা বিএনপি, সদর উপজেলা বিএনপি, পৌর বিএনপি, জেলা ছাত্রদল, যুবদল, স্বেচ্ছাসেবক দল, কৃষক দল,ওলামাদল, শ্রমিকদলসহ বিভিন্ন ইউনিয়ন বিএনপি, জেলা সদর ও জেলা সদরের বাইরে বিভিন্ন উপজেলার বিএনপি, পৌর বিএনপি ও অঙ্গ সহযোগী সংগঠনের বিপুল সংখ্যক নেতাকর্মীর ফুলের তোড়া দিয়ে মরহুমের কবরে শ্রদ্ধা জানান।

পুষ্পস্তবক অর্পণকালে উপস্থিত ছিলেন জেলা বিএনপির সহ সভাপতি মো.হেলু মিয়া,প্রথম যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মো.ফখরুল ইসলাম, সাংগঠনিক সম্পাদক বকসী মিসবাহ উর রহমান, সহ সাধারণ সম্পাদক আব্দুর রহিম রিপন,প্রচার সম্পাদক মো.ইদ্রিছ আলী, সদর উপজেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক মিজানুর রহমান নিজাম,পৌর বিএনপির সভাপতি অলিউর রহমান, সাধারণ সম্পাদক ফরহাদ রশিদ, জেলা বিএনপির সাংস্কৃতিক বিষয়ক সম্পাদক মারুফ আহমেদ, জেলা কৃষক দলের আহবায়ক শামীম আহমেদ, সিনিয়র যুগ্ম আহবায়ক আব্দুল করিম ইমানী, জেলা যুবদলের সভাপতি জাকির হোসেন উজ্জ্বল, জেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের সাধারণ সম্পাদক জিএম মুক্তাদির রাজু, জেলা ওলামা দলের আহবায়ক মাওলানা আব্দুল হেকিম, জেলা শ্রমিক দলের সাধারণ সম্পাদক আজিজুল হক সেলিম, মৌলভীবাজার জেলা বিএনপির সহ প্রচার সম্পাদক সৈয়দ ফয়সল, জেলা বিএনপির আইন বিষয়ক সম্পাদক এডভোকেট গোবিন্দ মোহন পাল, সদর উপজেলা বিএনপির যুগ্ম সম্পাদক শামীম জাফর, কুলাউড়া উপজেলা বিএনপি নেতা এম এ মজিদ, শামীম আহমেদ, কুলাউড়া পৌর বিএনপির সভাপতি মুজিবুল আলম সোহেল, ভুকশিমইল ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আজিজুর রহমান মনিরসহ বিএনপি ও অঙ্গ সহযোগী সংগঠনের বিভিন্ন পর্যায়ের নেতৃবৃন্দ।

দুপুরে জেলা বিএনপির সিনিয়র সহ সভাপতি সাবেক পৌর মেয়র ফয়জুল করিম ময়ুনের সভাপতিত্বে জেলা বিএনপি আয়োজিত স্মরণ সভায় অন্যান্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন জেলা বিএনপির সহ সভাপতি মৌলভী আব্দুল ওয়ালী সিদ্দিকী, সদর উপজেলা বিএনপির সভাপতি ও জেলা বিএনপির সহ সভাপতি মোয়াজ্জেম হোসেন মাতুক,জেলা বিএনপির সহ সভাপতি ফয়সল আহমেদ,মৌলভীবাজার পৌর বিএনপির সহ সভাপতি সৈয়দ মমশাদ আহমদ,সদর উপজেলা বিএনপির সহ সাংগঠনিক সম্পাদক শামীম আহমেদ, জুড়ী উপজেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক হাবিবুর রহমান আসকর,কুলাউড়া পৌরসভার সাবেক মেয়র কামাল উদ্দিন আহমেদ জুনেদ,শ্রীমঙ্গল উপজেলা বিএনপির সভাপতি নুরুল আলম সিদ্দিকী, জেলা ছাত্রদলের সাধারণ সম্পাদক আকিদুর রহমান সোহান, সিনিয়র যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক এম এ চৌধুরী সাহান,মৌলভীবাজার সরকারি কলেজ ছাত্রদলের আহবায়ক জনি আহমেদ প্রমূখ।

বিকেলে সিলেট জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক এমরান আহমদ চৌধুরীর নেতৃত্বে সিলেট জেলা বিএনপি ও মহানগর বিএনপির নেতৃবৃন্দ পৃথকভাবে পুষ্পস্তবক অর্পণ করেন।
সাইফুর রহমানের ঘনিষ্ঠজন হিসেবে পরিচিত মৌলভীবাজার পৌরসভার সাবেক মেয়র ফয়জুল করিম ময়ুন বলেন, সাইফুর রহমান এর পরে দেশে কোন অর্থমন্ত্রী আমাদের কাছে পরিলক্ষিত হয়নি। আজকে এক পদ্মা সেতু করতে গিয়ে ১০ হাজার কোটি টাকা থেকে উন্নীত করে ৩০- ৪০ হাজার কোটি টাকায় ব্যয় দেখানো হয়েছে। ব্যাংক খালি হয়ে গেছে। আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলোতে দৈনদশা বিরাজমান। বাংলাদেশ এখন শ্রীলংকার দিকে এগিয়ে যাচ্ছে। আমরা আল্লাহর দরবারে মাফ চাই। কারণ শ্রীলঙ্কায় মানুষ দুই থেকে সোয়া দুই কোটি। আর আমাদের দেশের মানুষ প্রায় ১৮ কোটি। যদি শ্রীলঙ্কার মতো অবস্থা হয় তাহলে ধনী এবং স্বচ্ছল মানুষ যারা আছেন তারাও খাবার ঠিকমতো খেতে পাবেন না। কারণ তখন লক্ষ লক্ষ মানুষ না খেয়ে থাকবে। আমরা এই ব্যর্থ সরকারের পদত্যাগ চাইছি।

আজকে এই সিলেটে অর্থ মন্ত্রী ছিলেন,আছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী,প্রবাসী কল্যাণ মন্ত্রী, আছেন পরিকল্পনা মন্ত্রী। মৌলভীবাজারে আছেন আমাদের পরিবেশ ও বন মন্ত্রী। এতো মন্ত্রী থাকার পরও মৌলভীবাজারের কোন উন্নয়ন আমাদের চোখে পড়ে না। উল্লেখ যোগ্য কোন উন্নয়ন আমাদের কাছে নেই। এই সাইফুর রহমান মৌলভীবাজারের স্বাস্থ্য খাতের দৈন্য দশা ঘুচাতে গিয়ে তিনি সদর হাসপাতাল কে ৫০ বেড থেকে ২৫০ বেডে উন্নীত করেছিলেন। আমরা আশা করেছিলাম আজকে বিএনপি ক্ষমতায় থাকলে এটি এতদিনে ৫০০ বেড হয়ে মেডিকেল কলেজে রুপান্তরিত হতো। এদিকে কারো কোন ভ্রক্ষেপ নেই। আমরা তিরস্কার জানাই। এম সাইফুর রহমান এর বাড়ি ছিল এই মৌলভীবাজারে। অথচ তিনি সারাদেশসহ বৃহত্তর সিলেট বিভাগের চারটি জেলার উন্নয়নমূলক অনেক কাজ করেছেন। সিলেট বিভাগ বাস্তবায়ন করেছেন। সিলেটে ইউনিভার্সিটিসহ সিলেট সিটি,সুনামগঞ্জ,হবিগঞ্জ, মৌলভীবাজার পৌরসভার সকল জায়গায় সাইফুর রহমান এর উন্নয়ন ছিল একক। তিনি বৃহত্তর সিলেট বিভাগের উন্নয়নের দায়িত্ব নিয়ে চারটি জেলাকে যোগাযোগ, শিক্ষা স্বাস্থ্য খাতের ব্যাপক উন্নয়ন করে সচল রেখে গেছেন। এই সিলেটে বিভাগে উন্নয়নের চালিকাশক্তি ছিলেন সাইফুর রহমান। অথচ বর্তমানে সিলেটের তিনজন চারজন মন্ত্রী থাকার পরও আমাদের মৌলভীবাজারে কোন উন্নয়ন দেখিনি।

(একে/এএস/সেপ্টেম্বর ০৬, ২০২২)

পাঠকের মতামত:

২০ এপ্রিল ২০২৪

এ পাতার আরও সংবাদ

উপরে
Website Security Test