E Paper Of Daily Bangla 71
World Vision
Technomedia Limited
Mobile Version

পাংশায় সড়ক নির্মাণের শুরু থেকেই নিম্নমাণের সামগ্রী ব্যবহারের অভিযোগ, কর্তৃপক্ষ উদাসীন

২০২২ সেপ্টেম্বর ০৯ ১৬:৪৪:৩১
পাংশায় সড়ক নির্মাণের শুরু থেকেই নিম্নমাণের সামগ্রী ব্যবহারের অভিযোগ, কর্তৃপক্ষ উদাসীন

একে আজাদ, রাজবাড়ী : রাজবাড়ীর পাংশায় নিম্নমানের ইটের খোয়া দিয়ে সড়ক নির্মাণের অভিযোগ উঠেছে। নিম্নমাণের সামগ্রী ব্যবহারে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানকে ইতিপূর্বে চিঠি দিয়েছে উপজেলা প্রকৌশলী। এসব অভিযোগ অস্বমীকার করেছে ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠানের স্বত্তাধীকারি। তবে সঠিক নিয়ম মেনে মানসম্মত নির্মাণ সামগ্রী দিয়ে কাজটি দ্রুত শেষ করার দাবি স্থানীয়দের।

রাজবাড়ীর পাংশা উপজেলার কসবামাজাইল ইউনিয়নের সলুয়া গ্রামের মালঠিপাড়া থেকে বড়খোলা পর্যন্ত ২ কিলোমিটারেরও অধিক সড়কের নির্মাণ কাজ চলছে। উপজেলা প্রকৌশলীর কার্যালয় সূত্রে জানা যায়, ১ কোটি ৫৯ লক্ষ টাকা ব্যায়ে সড়কটির নির্মাণ কাজ করছেন মেসার্স ইউনুস এন্ড ব্রাদার্স নামের একটি ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান। উপজেলা প্রকৌশলী (এলজিইডি’র) অধিনে নির্মাণ কাজটি তদারকির দায়ীক্তে রছেছে উপজেলা সহকারি প্রকৌশলী মো. সাইফুর রহমান।

সোমবার সরেজমিনে গেলে স্থানীয়রা জানান, গত রমজান মাসে সড়ক নির্মাণ কাজ শুরু হয়েছে। শুরু থেকেই মাঝে মাঝে কাজ বন্ধ করে রাখে। কাজের শুরু থেকেই বিভিন্ন অনিয়ম করে আসছে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান। নির্মাণ কাজ চলাকালীন বেশিরভাগ সময়ই থাকেন না কাজের তদারকি কর্মকর্তা। এই কাজ শুরুর দিকে বালির পরিবর্তে মাটি ব্যবহার ও নিম্নমানের ইটের খোয়া ব্যবহারের অভিযোগ করেন স্থানীয়রা। বিষয়টি বিভিন্ন পত্রপত্রিকায়ও ছাপা হয়েছিল।

সম্প্রতি তদারকি কর্মকর্তার অনুপস্থিতিতে খুবই নিম্ন মানের ইটের খোয়া দিয়ে কাজ করা হচ্ছে। তা নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করেছে এলাকাবাসী।

স্থানীয় মো. মসলেম উদ্দিন মন্ডল বলেন, যে খোয়া দিয়ে কাজ করা হচ্ছে তা খুবই নিম্ন মানের। আমারা এলাকার লোকজন অনেক বার বলেছি, তারা বলে এর থেকে ভালো খোয়া দেশে নাই।

বিপুল বলেন, ২—৩ নম্বর ইটের খোয়া দিয়ে কাজ করছে। যেই ইটের খোয়া দিয়ে কাজ করা হচ্ছে হাত দিয়ে ভেঙে ফেলা যাচ্ছে। একেবারেই পুড়া মাটির মত। এই রাস্তা ১ বছরও টেকবে না বলে ধারণা করেন।

আতর আলী মোল্লা বলেন, আমাদের বাড়ী নদী এলাকায়। এই এলাকার রাস্তটা ভালো করে করার দরকার এবং রাস্তার কাজটি দ্রুত শেষে করা প্রয়োজন। অনেক দিন ধরে কাজ চলছে। আমাদের খুব ভোগান্তি হচ্ছে।

তবে এসব অভিযোগ অস্বীকার করেছেন ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠানের স্বত্তাধীকারি মো. সাচ্ছু। তিনি বলেন, সঠিক নিয়ম মেনে এবং মানসম্মত সামগ্রী দিয়েই কাজ করা হচ্ছে।

উপসহকারি প্রকৌশলী মো. সাইফুর রহমান বলেন, এ বিষয়ে অফিসিয়ালী কথা বলবো। আপনি ফোনে রেকডিং করবেন? এই ধরণের কথা বলা যাবে না। আপনি অফিসের বাইরে কোন কখা বলবো না। আপনি অফিসে আসেন। পরবর্তীতে তার অফিসে গেলে তাকে পাওয়া যায়নি। তাকে আবারোও ফোন দেওয়া হলে তিনি বলেন, আমি অফিসের বাইরে চল আসছি। এখন কথা বলা যাবে না।

উপজেলা প্রকৌশলী মো. জাকির হাসান বলেন, নিম্ন মানের সামগ্রী ব্যবহারের জন্য ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানকে ইতিপূর্বে চিঠি দেওয়া হয়েছে। আগামীকাল থেকে নির্মাণ কাজ তদারকির জন্য সব সময়ই একজন কর্মকর্তা উপস্থিত থাকবে এবং এই কাজে কোন প্রকার অনিয়ম হলে কাজ বাতিলের জন্য সুপারিশ পাঠাবো।

(একে/এসপি/সেপ্টেম্বর ০৯, ২০২২)

পাঠকের মতামত:

২৮ এপ্রিল ২০২৪

এ পাতার আরও সংবাদ

উপরে
Website Security Test