E Paper Of Daily Bangla 71
World Vision
Technomedia Limited
Mobile Version

নীলফামারীর মণ্ডপে মণ্ডপে চলছে শেষ মুহূর্তের প্রস্তুতি

২০২২ সেপ্টেম্বর ২৫ ১৯:০৪:২৭
নীলফামারীর মণ্ডপে মণ্ডপে চলছে শেষ মুহূর্তের প্রস্তুতি

ওয়াজেদুর রহমান কনক, নীলফামারী : বাঙালি হিন্দু সম্প্রদায়ের সবচেয়ে বড় ধর্মীয় উৎসব শারদীয় দুর্গোৎসবের পুণ্যলগ্ন শুভ মহালয়া হয়েছেে আজ রবিবার। এদিন থেকেই শুরু দেবীপক্ষের। ১ অক্টোবর ষষ্ঠীপূজার মাধ্যমে দুর্গাপূজা শুরু হবে। ৫ অক্টোবর বিজয়া দশমীতে ভাসানের মধ্য দিয়ে বিদায় নেবেন দেবী। এখন চলছে শেষ মুহূর্তের প্রস্তুতি। মন্দিরে চলছে প্রতিমার গায়ে তুলির আঁচড়। মণ্ডপ সাজাতে প্যান্ডেলের কাজও চলছে সমানতালে। প্রতিমা তৈরির শেষ মুহূর্তের কাজে ব্যস্ত শিল্পীরা। পূজার আগে বাড়ির পাশের মণ্ডপগুলোতে ঘুরে ঘুরে প্রতিমা দেখছে বিভিন্ন বয়সী মানুষেরা। বড়দের হাত ধরে শিশুদের এই ঘুরে বেড়ানোতে যেন পূজার আনন্দ–আমেজ শুরু হয়ে যায়। নীলফামারী কেন্দ্রীয় কালিমাতা মন্দিরে প্রতিমা বানানোর কাজ প্রায় শেষ, কালকেই প্রতিমা বসানো হবে মণ্ডপে। নীলফামারী শহরের বিভিন্ন পূজামণ্ডপেও চলছে মঞ্চ তৈরি ও সৌন্দর্যবর্ধনের কাজ। মণ্ডপের সাজসজ্জার ব্যস্ততায় যেন দম ফেলার সময় নেই শিল্পীদের।

আর মাত্র কয়েকদিন পরেই হিন্দু ধর্মালম্বীদের প্রধান ধর্মীয় উৎসব শারদীয় দুর্গাপূজা শুরু হবে। এই উৎসবকে ঘিরে এরই মধ্যে নীলফামারীর বিভিন্ন মন্দিরে মন্দিরে ব্যস্ত সময় পার করছেন প্রতিমা কারিগরা। বিপুল উৎসাহ উদ্দীপনার মধ্য দিয়ে দুর্গাপূজা উদযাপনে ব্যাপক প্রস্তুতি নিয়েছেন হিন্দু ধর্মাবলম্বীরা। এবার আরও বড় পরিসর ও সন্দুরভাবে পূজা উদযাপনের জন্য প্রতিমা তৈরিসহ আনুষাঙ্গিক ব্যয় বাড়িয়ে দিয়েছে পূজা উদযাপন কমিটি।

প্রতিমা কারিগরদের মধ্যে বাদিয়ার মোড় শ্রী শ্রী গৌড়ীয় মিশন মন্দিরে অনিক পাল জানান, বর্ষার জন্য এবার আগেই প্রতিমা তৈরির কাজ শুরু করা হয়েছিল। এজন্য একটু আগে-ভাগেই প্রতিমা তৈরির কাজ শেষ হয়েছে। শ্রী শ্রী আনন্দময়ী কালিমাতা মন্দিরে এখন প্রতিমাগুলোয় রঙ করাসহ আনুষাঙ্গিক কাজ চলছে। গতবারের তুলনায় এবার প্রতিমার আকার, ডিজাইনসহ অন্যান্য বেশ কিছু বিষয়ে পরিবর্তন আনা হয়েছে। আশা করছি পঞ্চমীর আগেই প্রতিমার সব কাজ শেষ হবে। তবে রঙ ও কারিগরদের মজুরি বেড়ে যাওয়ায় তেমন একটা লাভ হয় না। তারপরও বাপ-দাদার পেশা তাই কাজ করে যাচ্ছেন তারা।

শহরের মরাল সংঘ এলাকার ব্যবসায়ী পবিত্র দেবনাথ বলেন, ১ অক্টোবর মহাষষ্ঠীর মধ্য দিয়ে শারদীয় দুর্গাপূজা হবে। পূজার জন্য ব্যাপক প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছে। আশা করছি এবছরেও খুব ভালোভাবে পূজা উদযাপন করতে পারবো।
দুয়ারে কড়া নাড়ছে সনাতন ধর্মাবলম্বীদের সবচেয়ে বড় ধর্মীয় উৎসব শারদীয় দুর্গাপূজা। ব্যস্ততায় যেন দম ফেলার ফুরসত নেই প্রতিমা শিল্পীদের। তাদের নিপুণ হাতে তৈরি হচ্ছে দুর্গা, গণেশ ও কার্তিকসহ বিভিন্ন দেব-দেবীর প্রতিমা।
ঢাক, ঢোল, শঙ্খধ্বনি আর উলুধ্বনি দিয়ে দেবীদুর্গাকে বরণ করে নেওয়ার জন্য অধীর আগ্রহে অপেক্ষা করছেন সনাতন হিন্দু ধর্মাবলম্বীরা। প্রতিটি পূজা মণ্ডপে প্রতিমা বানানোর কাজ শেষ। এখন রঙ তুলির আঁচড়ে চলছে শেষ সময়ের প্রস্তুতি। ভোর থেকে গভীর রাত পর্যন্ত প্রতিমার কারিগররা ব্যস্ত সময় পার করছেন। নিখুঁতভাবে মনের মাধুরি মিশিয়ে তারা প্রতিমা তৈরির কাজ করছেন। আর প্রতিমা তৈরিতে মজুরি নিচ্ছেন ৬০ হাজার টাকা থেকে ২ লাখ টাকা। একইসঙ্গে পূজার পুরোহিত নির্বাচনের কাজও শেষ করছেন মণ্ডপ পরিচালনা কমিটি।

দুর্গার বাহকসহ প্রতিমার শাড়ি ও অলংকার পরানোর কাজও ইতোমধ্যেই শেষ হয়েছে। আলোকসজ্জা ও রঙিন কাগজ দিয়ে সাজান হচ্ছে প্রতিটি মণ্ডপ। প্রতিমা দেখতে এখনই দর্শনার্থীরা মণ্ডপে মণ্ডপে ঘুরে বেড়াচ্ছে।

মহাষ্টমীতে দেবীর আমন্ত্রণ ও অধিবাসের মধ্য দিয়ে সনাতন ধর্মাম্বলীদের শারদীয় দুর্গোৎসবের শুরু হবে আগামী ২৬ সেপ্টেম্বও থেকে। এরই মধ্যে শেষ হয়েছে প্রতিমা তৈরির কাজ। এখন চলছে শেষ মুহূর্তেও কাজ। তুলির আঁচড়ে দেবী দুর্গাকে মূর্ত করে তোলার চেষ্টায় প্রতিমা শিল্পীরা। ঢাকের বাজনা, শঙ্খধ্বনি আর আরতিতে মুখরিত হওয়ার অপেক্ষায় বাংলার শহর গ্রামের মন্দির-মণ্ডপগুলো।

বছর ঘুরে মা আবার আসছেন, ভক্তমনে তাই খুশির আভাস। মাকে বরণ করে নিতে প্রস্তুতির কমতি রাখছেন না তারা। মায়ের আর্শীবাদে দূর হবে সকল অন্ধকার, বিশৃঙ্খলা আর ধরাধামে বইবে শান্তির সুবাতাস- এমনটাই প্রত্যাশা ভক্তদের।

(ওকে/এসপি/সেপ্টেম্বর ২৫, ২০২২)

পাঠকের মতামত:

১৮ এপ্রিল ২০২৪

এ পাতার আরও সংবাদ

উপরে
Website Security Test