হরিণাকুণ্ডুতে নিখোঁজ কৃষকের মরদেহ উদ্ধার

ঝিনাইদহ প্রতিনিধি : ঝিনাইদহে হরিণাকুণ্ডু উপজেলার রিশখালী গ্রামে নিখোঁজের ৫ দিনপর হাফিজুর রহমান হাফিজ (৪০) নামের এক কৃষকের অর্ধগলিত লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। গতকাল রবিবার বিকেল সাড়ে ৫ টার দিকে ওই উপজেলার একটি বিল থেকে তার মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। হাফিজুর রহমান রিশখালী গ্রামের সোহরাব হোসেনের ছেলে ও দৌলতপুর ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান সাব্দার আলীর ভাতিজা।

জানা গেছে, রিশখালী মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের ম্যানেজিং কমিটির নির্বাচনকে কেন্দ্র করে স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান আবুল কালাম আজাদ ও তার অনুসারী আনিসুর রহমানের সাথে বিরোধ চলে আসছিল হাফিজুর রহমান হাফিজের। এরই জেরে একাধিক বার হাফিজুরের উপর হামলা করে ইউপি চেয়ারম্যানের অনুসারীরা।

তবে এ অভিযোগ অস্বীকার করে দৌলতপুর ডাঃ আবুল কালাম জানান, আমার সাথে নিহত হাফিজুরের কোন বিরোধ ছিল না।

সাবেক চেয়ারম্যান সাবদার আলীর জানান, গত ৫ অক্টোবর বুধবার রাত ৯ টার দিকে বাড়ী থেকে বের হয়ে যায়। পরিবারের লোকজন খোঁজাখুজি করে না পেয়ে গত ৭ অক্টোবর নিহতের ভাই জাফিরুল ইসলাম বাদী হয়ে হরিনাকুন্ডু থানায় একটি সাধারন ডায়েরি করে। রবিবার দুপুরে গ্রামের লোকজন রিশখালী বিলে মাছ ধরতে যায়। সেসময় কৃষক হাফিজুর রহমানের ব্যবহৃত একটি বাটন মোবাইল ফোন পায় তারা। মোবাইল ফোনটি পাওয়ার পর ফোনটি হাফিজুর রহমানের বলে সনাক্ত করে পরিবার। এরপর সাবেক চেয়ারম্যান সাব্দার আলী গ্রামের ৫০ থেকে ৬০ গ্রামবাসী নিয়ে ওই বিলে খোঁজাখুজি করে শুরু করে। একপর্যায়ে মাটির নিচেই পুতে রাখা হাফিজুর রহমানের পা দেখতে পায় তারা। পরে পুলিশে খবর দিলে ঘটনাস্থলে গিয়ে পলিথিনে মোড়ানো অবস্থায় তার মৃতদেহ উদ্ধার করে। নিহতের ঘাড়ে ও পিঠে কোপের চিহ্ন পাওয়া গেছে। সাবেক চেয়ারম্যান আরোও জানান আবুল কালাম চেয়ারম্যান ও তার অনুসারীদের সাথে বিরোধ চলে আসছিল। এরই জের ধরে আমার ভাতিজাকে হত্যা করা হয়েছে। আমি এ হত্যাকান্ডের সুষ্ঠু বিচার দাবী করছি।

হরিণাকুণ্ডু থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মোঃ সাইফুল ইসলাম জানান, খবর পাওয়ার সাথে সাথে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে মৃতদেহ উদ্ধার করে প্রথমে হরিনাকুণ্ডু থানায় রাখা হয়। এরপর সোমবার সকালে ময়নাতদন্ত সম্পন্ন করা হয়েছে। বিষয়টি তদন্তাধীন রয়েছে।

(একে/এসপি/অক্টোবর ১০, ২০২২)