E Paper Of Daily Bangla 71
World Vision
Technomedia Limited
Mobile Version

যমুনায় মাছ ধরায় মৎস্যজীবীদের মারধরসহ হুমকি

২০১৪ অক্টোবর ১৩ ১৩:২৬:৪৮
যমুনায় মাছ ধরায় মৎস্যজীবীদের মারধরসহ হুমকি

সিরাজগঞ্জ প্রতিনিধি : সিরাজগঞ্জের কাজীপুরের শুভগাছা ইউনিয়নে তারাকান্দি এলাকায় বিস্তীর্ণ যমুনা নদীর জলাশয়ে মৎস্যজীবীদের মৎস্য শিকার করতে বাধা দেয়ার অভিযোগ উঠেছে। সেই সঙ্গে মাছ ধরতে যাওয়ায় দুজনকে বেদম মারপিট করা হয়েছে।

জানা গেছে, জেলার কাজিপুর উপজেলার শুভগাছা ইউনিয়নের যমুনানদীর বাঐখোলা ও খুকশিয়ায় উন্মুক্ত জলাশয়ে দীর্ঘদিন ধরে এলাকার মৎস্যজীবীরা মাছ শিকার করে জীবিকা নির্ভর করে আসছিল। গত বছর এ দুটি গ্রামের মানুষের চলাচলের সুবিধার্থে তৎকালীন স্থানীয় সংসদ সদস্য তানভীর শাকিলের প্রচেষ্টায় একটি বাঁধ নির্মাণের পর এলাকায় এ বছর মাছের অভয়ারণ্যে পরিণত হয়। ফলে উল্লেখজনকভাবে মাছও বৃদ্ধি পায়।

গত বৃহস্পতিবার নির্মল চন্দ্র হলদার মাছ ধরতে গেলে কাজীপুর উপজেলা ছাত্রলীগের সভাপতি মোঃ আলামিনের নেতৃত্বে একদল ক্যাডার ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়ে তার উপর হামলা চালায়। এ বিষয়ে প্রতিবাদ করায় শনিবার স্থানীয় জিয়া উদ্দীনকে বেদম মারধর করা হয়। গুরুতর আহত অবস্থায় দুজনকেই সিরাজগঞ্জ জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। এ ঘটনার পর থেকে ছাত্রলীগের ক্যাডাররা প্রতিদিন মোটরসাইকেল নিয়ে এলাকায় টহল দিতে শুরু করেছে।

এ বিষয়ে বিমল হলদার জানান, জাল যার জলা তার। এই নিয়মনুযায়ী আমরা দীর্ঘদিন ধরে এলাকার প্রায় ৫০টি মাছ শিকার করে জীবিকা নির্ভর করে আসছি। বর্তমানে আমাদেরকে মাছ না ধরার জন্য বলা হচ্ছে। তাছাড়া ক্যাডাররা আমাদের লোকজনদের মারপিট করেছে। আমাদেরকে হুমকিও দেয়া হচ্ছে।

উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মোঃ খলিলুর রহমান জানান, বিষয়টি আমি শুনেছি। স্থানীয় একজন আওয়ামী লীগের নেতাকে মীমাংসা করে দেয়ার দায়িত্ব দেয়া হয়েছে।

কাজীপুর ছাত্রলীগের সভাপতি মোঃ আলামিন হোসেন এ ঘটনার সঙ্গে জড়িত নেই উল্লেখ করে তিনি জানান, এলাকাটি ব্যক্তি মালিকানাধীন। বন্যার পানি নেমে যেতে শুরু করায় কিছু মাছ আটকা পড়েছে। এগুলো জমির মালিকদের আওতায় পড়ে। তাছাড়া নির্মলকে মারধর করার প্রশ্নই ওঠে না। বরং আনোয়ার হোসেন নামের এক জমির মালিককে নির্মল লাঞ্ছিত করেছে। বিষয়টি জানার পর আমরা তাকে উদ্ধার করি।

এ বিষয়ে কাজীপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোঃ সাফিউল ইসলাম বলেন, এখন পর্যন্ত কোন অভিযোগ পাওয়া যায়নি। তবে জাল যার জলা তার। সে হিসেবে উন্মুক্ত নদী এলাকায় মৎস্যজীবীদের মাছ শিকার তাদের নিয়ন্ত্রণে থাকবে।

সাবেক সংসদ সদস্য তানভীর শাকিল বলেন, এলাকার স্বার্থে একটি বাঁধ নির্মাণ করা হয়েছে। জলাশয়ে প্রকৃত মৎস্যজীবীরাই মাছ ধরবে। এ বিষয়ে অবশ্যই ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

(এসএস/এনডি/অক্টোবর ১৩, ২০১৪)

পাঠকের মতামত:

১০ মে ২০২৪

এ পাতার আরও সংবাদ

উপরে
Website Security Test