E Paper Of Daily Bangla 71
World Vision
Technomedia Limited
Mobile Version

হরিণাকুণ্ডুতে যৌতুক না পেয়ে স্ত্রীকে তালাক দেয়ার অভিযোগ

২০২২ অক্টোবর ২৯ ১৭:০৫:৩৭
হরিণাকুণ্ডুতে যৌতুক না পেয়ে স্ত্রীকে তালাক দেয়ার অভিযোগ

ঝিনাইদহ প্রতিনিধি : ঝিনাইদহের হরিণাকুণ্ডুতে যৌতুক না পেয়ে ২য় বিয়ে করে দুই সন্তানসহ প্রথম স্ত্রীকে তালাক দেয়ার অভিযোগ উঠেছে স্বামী আব্দুস সালামের বিরুদ্ধে। বিচার না পেয়ে দ্বারে দ্বারে ঘুরে বেড়াচ্ছেন দুই সন্তানের জননী আয়না খাতুন।

ভুক্তভোগীর অভিযোগ, পারিবারিকভাবে হরিণাকুণ্ডু উপজেলার গাজীপুর গ্রামের মনজের আলীর ছেলে আব্দুস সালামের সাথে পার্শ্ববর্তী কুলবাড়িয়া গ্রামের মৃত অমেদ আলীর মেয়ে ফরিদা ওরফে আয়না খাতুনের বিয়ে হয়। বিয়ের পর যৌতুক বাবদ তাকে নগদ ১লাখ টাকা ও আসবাবপত্র দেওয়া হয়।

১৮ বছর দুই মেয়ে সন্তান নিয়ে সুখে শান্তিতে ঘর সংসার চলছিল তাদের।

এরই মাঝে গোপনে ২য় বিয়ে করে স্বামী আব্দুস সালাম। এরপর যৌতুকের জন্য বিভিন্ন সময়ে প্রথম স্ত্রীর উপর শুরু করে নির্যাতন। বিয়ের বিষয়টি জানাজানি হওয়ার পর স্ত্রী আয়না খাতুন একটি মানবাধিকার সংস্থায় অভিযোগ দায়ের করে।

মুচলেকা দিয়ে স্ত্রীকে ফিরিয়ে এনে তালাক দিয়ে বাড়ি থেকে বের করে দেয় তার স্বামী। পিতা-মাতা মারা যাওয়ায় অসহায় আয়না খাতুন দুই সন্তান নিয়ে সদর উপজেলার মহিষাকুণ্ডু গ্রামে বোনের বাড়িতে আশ্রয় নেয়।

কিন্তু বোনের কথা চিন্তা করে বড় বোন মমতাজ খাতুন ফের দেড় লাখ টাকা দেয় আয়না খাতুনকে। এই দেড় লাখ টাকা গ্রামের পরিচিত শহিদুল ইসলামের ৫ শতক জমি ক্রয়ের জন্য বায়না করেন আয়না। অভিযোগ উঠেছে, বায়নাকৃত টাকা ফেরত নিতে চাইলে বিভিন্ন রকম বাঁধা ও ভয়ভীতি দেখাচ্ছে এলাকার প্রভাবশালীরা।

ভুক্তভোগী আয়না খাতুন ও তার বড় বোন মমতাজ খাতুন জানান, বায়নার টাকা শহিদুল ইসলামের ভয়ে এলাকার প্রভাবশালী হাসিবুলের কাছে দিয়ে দিয়েছে। টাকা না পেয়ে থানায় অভিযোগ দিতে গেলে এসআই আনিস তাদের কাছে ১০ হাজার টাকা দাবি করে। টাকা না দেওয়ায় ওসি সাইফুল ইসলাম অভিযোগ নেয়নি। এরপর পুলিশের সামনেই তাদের হুমকি দিয়ে থানা থেকে বের করে দেয়া হয়।

এ ব্যাপারে ফলসি ইউপি চেয়ারম্যান বজলুর রহমান জানান, টাকাগুলো গ্রাম্য মাতব্বর হাসিবুলের কাছে জমা রয়েছে। সে মীমাংসা করে দেওয়ার কথা রয়েছে।

হাসিবুল জানান, অর্ধেক টাকা তার স্বামী আব্দুস সালামকে দিয়েছি আর বাকী টাকা আমার কাছে রয়েছে। তবে এসআই আনিসের টাকা চাওয়ার বিষয়টি অস্বীকার করে হরিণাকুণ্ডু থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা সাইফুল ইসলাম জানান, তাদেরকে গ্রাম্য আদালতে অভিযোগ দেওয়ার কথা বলা হয়েছে। বিচারটা তারা করে দিলে ভাল হয়। আর থানা থেকে তাড়িয়ে দেওয়ার কোন ঘটনা ঘটেনি।

(একে/এএস/অক্টোবর ২৯, ২০২২)

পাঠকের মতামত:

১২ মে ২০২৪

এ পাতার আরও সংবাদ

উপরে
Website Security Test