E Paper Of Daily Bangla 71
World Vision
Technomedia Limited
Mobile Version

বাদীর বক্তব্য আর মামলার এজাহারে বিস্তর ফারাক 

২০২২ নভেম্বর ২৪ ১৮:৩১:৫২
বাদীর বক্তব্য আর মামলার এজাহারে বিস্তর ফারাক 

রাজবাড়ী প্রতিনিধি : রাজবাড়ীর পাংশা সাব-রেজিস্টার অফিসে অন্তকোন্দল কে কেন্দ্র করে দলিল লেখক ও পাংশা উপজেলার পাট্টা ইউনিয়নের ৩ নম্বর ওয়ার্ডের সদস্য (মেম্বার) অতুল সরকার বাদী হয়ে উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান সহ ৯ জনের নামে আদালতে মামলা দায়ের করেছেন। 

রাজবাড়ীর ২ নম্বর আমলী আদালতে পাংশা উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান, উপজেলা যুবলীগের যুগ্ম আহবায়ক ও পাংশা দলিল লেখক সমিতির সভাপতি জালাল উদ্দিন বিশ্বাস, আব্দুল আলীম মুন্সী, মো. জালাল মণ্ডল, শাকিল ওরফে সুজন, আরাফাত হোসেন রঙিন, উজির রাসেল, সিরাজুল ইসলাম মিঠু, আকমল হোসেন মোল্লা ও মো. শরিফসহ ৮-১০ জন অজ্ঞাতনামা ব্যক্তির নাম উল্লেখ করে মামলা দায়ের করেছেন।

এর আগে গত মঙ্গলবার (১ নভেম্বর) অতুল সরকার গণমাধ্যম কর্মীদের কাছে অভিযোগ করে বলেন,সকাল সাড়ে ১১টার দিকে হঠাৎ করেই জালাল উদ্দিন বিশ্বাস ও আব্দুল আলিম মুন্সিসহ আরো বেশ কয়েকজন তার সেরেস্তায় আসে এবং দলিল প্রতি অতিরিক্ত অর্থ দাবী করে। তিনি দিতে অস্বীকার করায় চেয়ার দিয়ে পিটিয়ে তার ডান হাত ভেঙ্গে দেয়। ওই সময় সাইফুল ইসলাম নামে আরেক দলিল লেখককেও মারপিট করা হয়। পরে স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার করে পাংশা হাসপাতালে ভর্তি করে।

অথচ অতুল সরকার বাদী হয়ে রাজবাড়ীর ২ নম্বর আমলী আদালতে পাংশা উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান জালাল উদ্দীন বিশ্বাস সহ ৯ জনের নাম উল্লেখ করে চাঁদাবাজি ও হাতুড়ি পেটার অভিযোগ এনে মামলা দায়ের করেন।

এজাহারে বলা হয়, ১১ লাখ টাকা চাঁদা দাবি করেন পাংশা দলিল লেখক সমিতির সভাপতি জালাল উদ্দিন বিশ্বাস ও সাধারণ সম্পাদক আব্দুল আলিম মুন্সিসহ কয়েকজন। অতুল সরকার ৩ লাখ টাকা দেন তাদের। বাকী ৮ লাখ টাকা না দিলে তাকে দলিল লেখার কাজ করতে দেওয়া হবে না বলে হুমকি দেওয়া হয়।

তবে মঙ্গলবার (১ নভেম্বর) সকাল সাড়ে ১১টার দিকে জালাল উদ্দিন বিশ্বাস ও আব্দুল আলিম মুন্সিসহ তারা ৮ লাখ টাকা দাবি করেন। অতুল সরকার টাকা দিতে অস্বীকার করলে তাকে হাতুরী দিয়ে পিটিয়ে তার ডান হাত ভেঙ্গে দেন। তার ড্রয়ারে থাকা ২ লাখ টাকা নিয়ে যান। পরে স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার করে পাংশা হাসপাতালে ভর্তি করে।

এ বিষয়ে পাংশা সাব-রেজিস্টার অফিসের আব্দুস রশিদ(দলিল লেখক), মনিরুল ইসলাম(ভেন্ডার) , মীর কাসেম (দলিল লেখক), সুব্রত কুমার দাস সাগর(দলিল লেখক ও স্ট্রাম্প ভেন্ডার) ,সাত্তার (ভেন্ডার) বলেন, অতুল সরকারের সাথে সেদিন অফিসের মারামারির ঘটনা ঘটে নাই। আমরা শুনেছি অতুল মটর সাইকেল নিয়ে রাস্তায় পড়ে যায়। পরে দলিল লেখক ও স্ট্রাম্প ভেন্ডার সমিতির সাবেক সভাপতির প্ররোচনায় হাসপাতালে ভর্তি হয় এবং আদালতে মামলা দায়ের করেছে।

জালাল উদ্দিন বিশ্বাস বলেন, ‘অতুল ও সাইফুল ইসলামকে তারা মারপিট করেননি। বিরোধীরা তাদের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করে এই মামলা দায়ের করেছেন।

এ বিষয়ে দলিল লেখক অতুল সরকার বলেন, আমার কাছে বকেয়া ১১ লাখ টাকার দাবি করছে জালাল বিশ্বাস। আমি ৩ লাখ টাকা দিছি,কিন্তু বাকি টাকা না দেওয়ায় আমার দলিল করতে দিচ্ছে না।ওই ৮ লাখ টাকা আগের কমিটির সভাপতি ফরহাদ ভাইয়ের কাছে। আমি কি করে দিবো।

(এমজি/এসপি/নভেম্বর ২৪, ২০২২)

পাঠকের মতামত:

২০ এপ্রিল ২০২৪

এ পাতার আরও সংবাদ

উপরে
Website Security Test