E Paper Of Daily Bangla 71
World Vision
Technomedia Limited
Mobile Version

বোয়ালমারীতে জোরপূর্বক উচ্ছেদে সিনিয়র সিটিজেনের বসতভিটা ভাঙচুর

২০২৩ জানুয়ারি ১১ ১৫:১৯:২২
বোয়ালমারীতে জোরপূর্বক উচ্ছেদে সিনিয়র সিটিজেনের বসতভিটা ভাঙচুর

কাজী হাসান ফিরোজ, বোয়ালমারী : ফরিদপুরের বোয়ালমারীতে জোরপূর্বক বসতভিটা থেকে উচ্ছেদ করতে সিনিয়র সিটিজেনের বাড়ি ঘরসহ বিভিন্ন আসবাব পত্র ভাঙচুর করার অভিযোগ উঠেছে প্রভাবশালী, ও ময়না ইউনিয়নের সেচ্ছাসেবক লীগের সভাপতি হাসিবুল হাসান, এবং মো. আলাউদ্দীন মেম্বর ও তাঁর লোকজনের বিরুদ্ধে। 

গতকাল মঙ্গলবার (১০ জানুয়ারি) সকালে উপজেলার ময়না ইউনিয়নের বানিয়ারী মৌজার চরবর্ণী বাজারের পাশে বয়োবৃদ্ধ হাফিজারের বসতভিটা থেকে তার পরিবারকে উচ্ছেদ করতে একটি ফুল ওয়াল ও একটি আধাপাকা ঘর এবং রান্না ঘর সহ টয়লেট ও আসবাবপত্র ভাঙচুর করে তাঁর স্ত্রী মমতাজ (৭০) এর কানের দুলসহ নগদ ৩০ হাজর টাকা লুট করে নিয়ে যায় দূর্বৃত্তরা।

এ নিয়ে ভুক্তভোগী মো. হাফিজার বলেন, শত বছর ধরে ওই জমি আমাদের ভোগ দখলে, বাপ, দাদার পৈত্রিক সম্পত্তি হিসেবে ছয় মাস আগে ঘর তুলে বসবাস করে আসছি। তবে সে জমি থেকে উচ্ছেদ করতে জোরপূর্বক পেশী শক্তি খাটিয়ে হাসিবুল ও আলাউদ্দীন মেম্বর তাঁর লোকজন নিয়ে ঢাল সড়কি ও দেশীয় অস্ত্র নিয়ে বাড়ি ঘরসহ সকল আসবাবপত্র ভাঙচুর করে আমার স্ত্রীর স্বর্ণ ও নগদ টাকা নিয়ে যায়।

তিনি আরও বলেন, ওই প্রভাবশালীরা আমার ঘর বাড়ি ভাঙচুর করবে বলে গুঞ্জন শুনতে পেরে আমার আপন ছোট ভাই ফরিদ হোসেন মোল্যা বাদী হয়ে ভাঙচুরের আগের দিন গত সোমবার (৯ জানুয়ারি) রাতে থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন। তার পরে সকালেই আমার ঘর বাড়ি ভাঙচুর করা হয়েছে। আমি বুঝতে পারছিনা প্রশাসনের চেয়েও কি অপরাধিরা শক্তিশালী! আর ওই দূর্বৃত্তরা প্রায় ৫ লাখ টাকার ক্ষতি সাধন করেছে।

ময়না ইউনিয়ন সেচ্ছাসেবক লীগের সভাপতি হাসিবুল হাসানের মুঠোফোনে কল করা হলে সেটা বন্ধ পাওয়ার কারনে বক্তব্য নেয়া সম্ভব হয়নি।

ময়না ইউনিয়নের ৪ নং ওয়ার্ডের সদস্য মো. আলাউদ্দীন বলেন, আমি এ বিষয়ে জানিনা, আমি বাড়িতে ছিলাম।

বোয়ালমারী থানার অফিসার ইনচার্জ মুহাম্মদ আব্দুল ওহাব বলেন, হাফিজারকে বসতভিটা থেকে উচ্ছেদ করা নয়, মূলত তিনি জমি দখল করেছিল । পরে অন্যপক্ষ ঘরের বেড়া সরিয়ে ফেলেছে বলে জানতে পেরেছি। ঘর ভাঙচুর করেননি। সোমবার রাতে হাফিজারের ভাই ফরিদের লিখিত অভিযোগ সম্পর্কে জানতে চাইলে তিনি বলেন, অভিযোগ পেয়েছিলাম।

মধুখালী সার্কেলের এএসপি সুমন কর বলেন, সোমবার রাতে হাফিজার মোল্যার পক্ষে লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন যে বিবাদী পক্ষের লোকজন খিঁচুড়ি খাবে পরে ঘটনা স্থলে গিয়ে পুলিশ তাদের পাননি। তবে সকালে তাদের ঘর বাড়ি ভাঙচুরের বিষয়ে জানিনা। ভুক্তভোগীরা থানায় আসলে যাচাই বাছাই করে মামলা নেয়া হবে।

(কেএফ/এসপি/জানুয়ারি ১১, ২০২৩)

পাঠকের মতামত:

০৮ মে ২০২৪

এ পাতার আরও সংবাদ

উপরে
Website Security Test