E Paper Of Daily Bangla 71
World Vision
Technomedia Limited
Mobile Version

হবিগঞ্জে ছাত্রদল কর্মীর মৃত্যুতে ডাক্তারদের কর্মবিরতি

২০১৪ অক্টোবর ১৯ ১৫:৫৩:০৮
হবিগঞ্জে ছাত্রদল কর্মীর মৃত্যুতে ডাক্তারদের কর্মবিরতি

হবিগঞ্জ প্রতিনিধি : হবিগঞ্জ সদর আধুনিক হাসপাতালে ছাত্রদল কর্মী সাইফুল আহমেদ রাহী’র মৃত্যুকে কেন্দ্র করে হবিগঞ্জ সদর আধুনিক হাসপাতালে ভাংচুর ও ডাক্তারের উপর হামলা করা হয়েছে। এ ঘটনায় বিক্ষুব্ধ হয়ে হাসপাতালে কর্মরত ডাক্তাররা কর্মবিরতি পালন করেন।

সূত্র জানায়, হবিগঞ্জ শহরের শায়েস্তানগরের শহিদুল আলম লাভলুর পুত্র হবিগঞ্জ পৌর ছাত্রদলের কর্মী সাইফুল আহমেদ রাহী শনিবার বিকেল সাড়ে ৩টার দিকে ২০টি ট্রিপটিন ট্যাবলেট খেয়ে ঘুমিয়ে পড়ে। সন্ধ্যা ৬টার দিকে তার মা রাহীকে অনেক ডাকাডাকি করলেও সে ঘুম থেকে উঠেনি। এক পর্যায়ে রাহীর মা তার বন্ধুদের খবর দিয়ে এনে দরজা ভেঙ্গে রুমে ঢুকে ঘুমন্ত অবস্থায় তাকে হবিগঞ্জ সদর আধুনিক হাসপাতালে নিয়ে যান।

এ সময় হাসপাতালের জরুরী বিভাগে কর্মরত চিকিৎসক ডা. দেবাশীষ দাস তাকে সিলেট ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার পরামর্শ দেন। এর মধ্যে রাহী নাড়াচাড়া না করায় তার স্বজন ও বন্ধুরা হাসপাতালে আরেকজন ডাক্তার এনে দেখান। ওই ডাক্তার রাহীকে দেখে মৃত ঘোষণা করেন। তার মৃত্যুর কথা শোনার সাথে সাথে রাহীর স্বজন ও বন্ধুরা উত্তেজিত হয়ে জরুরী বিভাগে কর্মরত ডাক্তারের উপর হামলা চালায় এবং ভাংচুর করে। এক পর্যায়ে রাহীর স্বজনরা তাকে ইউনাইটেড হাসপাতালে নিয়ে গিয়ে রাহীর মৃত্যু নিশ্চিত হয়।

এ ব্যাপারে হবিগঞ্জ সদর আধুনিক হাসপাতালের মেডিকেল অফিসার ডা. দেবাশীষ জানান, সাড়ে ৬টার দিকে ছেলেটিকে হাসপাতালে নিয়ে আসা হয়। তার আত্মীয়-স্বজন আমাকে জানিয়েছেন সে ২০টি ট্রিপটিন ট্যাবলেট খেয়েছে। আমরা তার অবস্থা আশঙ্কাজনক দেখে তাকে সিলেট রেফার করি। এর মধ্যে সে মারা যায়। তার মৃত্যুর কথা শুনে তার সহযোগীরা আমাদের উপর হামলা চালায় এবং ব্যাপক ভাংচুর করে। এ সময় বিদ্যুত চলে যাওয়ায় আমরা রক্ষা পেয়েছি। অন্যথায় বড় ধরনের অঘটন ঘটতো। এ ঘটনার প্রতিবাদে হাসপাতালে কর্মরত ডাক্তাররা সকল প্রকার চিকিৎসা কার্যক্রম বন্ধ রেখে দেড় ঘন্টা কর্মবিরতি পালন করেন।

হবিগঞ্জ সদর মডেল থানার ওসি নাজিম উদ্দিন জানান, ঘটনার খবর পেয়ে রাত ৮টার দিকে হাসপাতালে যান। পরে জেলা বিএনপি সাধারণ সম্পাদক হবিগঞ্জ পৌর মেয়র আলহাজ্ব জি কে গউছ ও এএসপি সাজ্জাদ ইবনে রায়হান হাসপাতালে যান। এ সময় মেয়র জি কে গউছ হাসপাতালের আরএমও মহসিন করিমের সাথে আলাপ করে এ ঘটনার জন্য দুঃখ প্রকাশ করেন। তার অনুরোধে ডাক্তাররা কর্মবিরতি প্রত্যাহার করেন।

প্রসঙ্গত, গত ১৪ অক্টোবর স্থানীয় দৈনিক লোকালয় বার্তা অফিসে হামলা ও ভাংচুরের ঘটনায় দায়েরকৃত মামলায় যুবদল ও ছাত্রদলের ১২ নেতাকর্মীর সাথে সাইফুল আহমেদ রাহীও আদালতে হাজির হয়েছিলেন। বিজ্ঞ আদালত তার স্কুলের সার্টিফিকেট ও অপ্রাপ্ত বয়সের জন্ম নিবন্ধন কার্ড দেখে রাহী’র জামিন মঞ্জুর করেন।

(পিডিএস/এএস/অক্টোবর ১৯, ২০১৪)

পাঠকের মতামত:

১৮ মে ২০২৪

এ পাতার আরও সংবাদ

উপরে
Website Security Test