E Paper Of Daily Bangla 71
World Vision
Technomedia Limited
Mobile Version

কাজ শেষ না করেও টাকা তুলে নিলেন সিপিসি!

২০২৩ মার্চ ০৬ ১৪:০৫:২৩
কাজ শেষ না করেও টাকা তুলে নিলেন সিপিসি!

আসাদ সবুজ, বরগুনা : উপজেলা পরিষদ ওয়ারী ১ম পর্যায়ের বরাদ্দের টিআর প্রকল্পের কাজ কাগজে কলমে শেষ হলেও, সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায় ভিন্নতা। ইতিমধ্যে বিলের সম্পূর্ণ টাকা তুলে নিয়েছেন টিআর প্রকল্পের বরাদ্দ পাওয়া সিপিছি। তবে কাজটি কতদূর করা হয়েছিল? বলে জানতে চাইলে, বরাদ্দকৃত টাকায় না হওয়ায় কাজ শেষ করতে পারেননি বলে মন্তব্য করেছেন বিল তুলে নেওয়া ওই সিপিসি।

বরগুনা উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তার কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে, উপজেলা পরিষদ ওয়ারী ১ম পর্যায় টিআর প্রকল্পের আওতায় বরগুনা সদর উপজেলার ৬নং বুড়িরচর ইউনিয়নের ৮নং ওয়ার্ডের কেওড়াবুনিয়া পাকারাস্তার মাথা থেকে দক্ষিণ দিকে মৃত আঃ আজিজ কেরানীর বাড়ি হয়ে জনৈক মুরাদের বাড়ি পর্যন্ত জেলা প্রশাসক কার্যালয়ের ত্রাণ শাখার অধিনে সরকারি টিআর (নগদ অর্থ প্রদান) প্রকল্পে ২০২১-২০২২ অর্থ বছরের (গ্রামীন অবকাঠামো উন্নয়ন কাজ) ১,৭৯,৮৯৩ টাকা বরাদ্দে মটির রাস্তা মেরামতের কাজ পেয়েছিলেন সদর উপজেলার চালিতাতলী এলাকার দলিল উদ্দিনের ছেলে নিজাম উদ্দিন। কাগজ পত্রে কাজ শেষ হয়েছে মর্মে বিলও তুলে নিয়েছেন তিনি।

সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, স্কিমে ৬নং বুড়িরচর ইউনিয়নের ৮নং ওয়ার্ডের কেওড়াবুনিয়া পাকা রাস্তার মাথা থেকে দক্ষিণে মৃত আঃ আজিজ কেরানীর বাড়ি হয়ে মুরাদের বাড়ি পর্যন্ত মাটির রাস্তা সংস্কারের কথা উল্লেখ থাকলেও অল্প কিছু কাজ করে কাজটি সম্পূর্ণ না করেই বিল টাকা তুলে নিয়েছেন টিআর প্রকল্প বরাদ্দ পাওয়া সিপিসি নিজাম উদ্দিন। রাস্তার মাঝখানে বড় একটি ভাঙ্গন থাকলে সেটিকে মেরামত পর্যন্ত করেননি তিনি (নিজাম উদ্দিন)। ওই এলাকায় বসবাসকারী লোকজন বলছেন বর্ষার মৌসুমে রাস্তাটি ওই ভাঙ্গনের কারনে সম্পূর্ণ চলাচলে অযোগ্য হয়ে পরে। ফলে ভাগান্তিতে রয়েছেন এলাকাবাসী।

স্থানীয় এলাকার কয়েকজন বলেন, গেল দুই তিন বছরেও রাস্তাটির পূর্ব মাথায় কোন কাজ করা হয় নাই। পাকার মাথায় অল্প কিছু মাটির কাজ করা হয়েছ বলে উত্তারাধিকার৭১ নিউজকে জানান তারা। মাঝখানে একটি বড় ভাঙ্গন রয়েছে সেটিও মেরামত করা হয়নি। বর্ষার মৌসুমে রাস্তাটি দিয়ে চলাচলে বেশ অসুবিধা পোহাতে হয়। দ্রুত রাস্তাটি সংস্কার করা একান্ত প্রয়োজন হয়ে পরেছে।

এ বিষয়ে সিপিসি নিজাম মুঠোফোনে বলেন, আমি ১৬০০ ফুটের মত কাজ করেছি। যে থেকে যে পর্যন্ত স্কিম দেয় তাতে টাকা লাগে ৫০লক্ষ, সেখানে টাকা দেয় দুই লক্ষ। যে পর্যন্ত টাকায় হয়েছে আমি সে পর্যন্ত কাজ করেছি।

কাজের পরিমান আবারো জানতে চাইলে সিপিসি নিজাম বলেন, আমি কাজ করেছি ১৮০০ ফুট, পাশ হলো ২০ ফুট/১৬ ফুট এরকম।

রাস্তার ভাঙ্গন ভারাটের বিষয় জানতে চাইলে সিপিসি নিজাম প্রথমে ভাঙ্গন ভরাট করা হয়েছে বলে জানান। সরেজমিনে গিয়ে ভাঙ্গন এখনো দেখা যাচ্ছে বলে জানালে তিনি (নিজাম উদ্দিন) ভাঙ্গনো কালভার্ট দেওয়া আছে বলে জানালেও আদৌ সেখানে কোন কালভার্ট নেই, ভাঙ্গনের মাঝখানে শুধুমাত্র একটি পাইপ দেওয়া আছে বলে জানালে সিপিসি নিজাম বিষয়টি এড়িয়ে গিয়ে বলেন, আপনারা দেখেন টাকা অনুযায়ী রাস্তায় কাজ হয়েছে কিনা।

এ বিষয়ে বরগুনা সদর উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা জিয়াউর রহমান বলেন, আমাদের বড় অফিসার আসছে আমি সেখানে আছি, আমি এসে আপনাদের নিয়ে ওখানে ভিজিটে যাবো।

(এএস/এএস/মার্চ ০৬, ২০২৩)

পাঠকের মতামত:

২৫ এপ্রিল ২০২৪

এ পাতার আরও সংবাদ

উপরে
Website Security Test