E Paper Of Daily Bangla 71
World Vision
Technomedia Limited
Mobile Version

ঈশ্বরদীতে ধর্ষণের অভিযোগে সাবেক ছাত্রলীগ নেতা আটক

২০২৩ মার্চ ২৩ ১৬:২৮:১১
ঈশ্বরদীতে ধর্ষণের অভিযোগে সাবেক ছাত্রলীগ নেতা আটক

ঈশ্বরদী প্রতিনিধি : ধর্ষণের অভিযোগে ঈশ্বরদী পৌর ছাত্রলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক নুরুল ইসলাম শাওনকে আটক করেছে ঈশ্বরদী থানা পুলিশ। বুধবার দিবাগত রাত দেড়টার দিকে ( ২৩ মার্চ) শাওনের বিরুদ্ধে প্রেমিকা রূমানা ইসলাম রূপা ঈশ্বরদী থানায় ধর্ষণের মামলা দায়ের করে। ছাত্রলীগ নেতা শাওন শহরের ঈদগাহ রোডের শহিদল ইসলামে পুত্র। প্রেমিকা রূমানা ইসলাম রূপার বাড়ি নাটোরের সিংড়া উপজেলায়। ঈশ্বরদী ইডিজেডের নারী কর্মী রূপা শহরের শেরশাহ রোডে বাসা ভাড়া নিয়ে বসবাস করতো।

ঈশ্বরদী থানার অফিসার ইনচার্জ অরবিন্দ সরকার থানায় ধর্ষণ মামলা দায়ের এবং ছাত্রলীগ নেতা শাওনকে আটকের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। এখবর লেখা পর্যন্ত (দুপুর-১.৩০ মিনিট) শাওনকে আদালতের মাধ্যমে পাবনা জেলা হাজতে প্রেরণের প্রস্তুতি চলছিল।

থানা ও এলাকাবাসীর সাথে কথা বলে জানা যায়, প্রেমিকা রূপা দীর্ঘদিন ধরে শাওনকে বিয়ের জন্য চাপ দিলেও সে এড়িয়ে চলছিল। বুধবার সন্ধ্যার পর রূপা ঈদগাহ রোডে শাওনের বাড়িতে যেয়ে অবস্থান নিয়ে বিয়ের জন্য চাপ প্রয়োগ করে। এসময় বাড়ির লোকজন রূপাকে মারধর করে বের করে দেওয়ার চেষ্টা করে। একপর্যায়ে রূপা গলায় দড়ি নিয়ে আত্মহত্যা করতে যায়। খবর পেয়ে ঈশ্বরদী থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে যেয়ে সমাঝোতার মাধ্যমে বিয়ে দেওয়ার প্রচেষ্টা করলেও শাওন বিয়েতে রাজী হয় না। শেষপর্যন্ত রাত সাড়ে ১২টার দিকে পুলিশ উভয়কে থানায় নিয়ে যায়। পরে রাত দেড়টার দিকে মামলা দায়ের হয়।

প্রেমিকা রূপার অভিযোগ, শাওন তাকে নিয়ে স্বামী-স্ত্রী পরিচয়ে বাসা ভাড়া নিয়ে বসবাস করতো। এরপর রূপার নগদ টাকা হাতিয়ে লাপাত্তা বেশ কিছুদিন শাওন লাপাত্তা ছিলো। ২১ মার্চ রাতে ঈশ্বরদী খায়রুজ্জামান বাবু বাস টার্মিনাল এলাকায় শাওনকে নাগালে পেয়ে রূপা জনসম্মুখে টেনে হিঁচড়ে থানায় নিয়ে যান।

ভূক্তভোগী রূপা জানান, ঈশ্বরদী ইপিজেডে চাকরির সুবাদে শাওনের সাথে তিন বছর আগে পরিচয় হয়। শাওন সে সময় ঈশ্বরদী পৌর ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক ছিল। পরিচয়ের সুবাদে দুজনের মধ্যে প্রেমের সম্পর্ক হয়। বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে শারীরিক সম্পর্ক গড়ে তোলেন। পরে শাওন বিয়ে করতে অস্বীকার করলে ধর্ষণ মামলার সিদ্ধান্ত নিলে শাওনের বাবা শহিদুল ইসলাম বিয়ের আশ্বাস দেন। প্রতিবেশী ও আত্মীয়স্বজনের কাছে আমাদের ভাড়াটিয়া হিসেবে পরিচয় করিয়ে দেন। শাওন এ সুযোগে অবাধে মেলামেশা শুরু করে। আবারও বিয়ের জন্য চাপ দিলে সে বিয়েতে অস্বীকার করে। স্থানীয়দের সহযোগিতায় আমাদের বাড়ি থেকে বের করে দেন। শাওন আমাদের বিশেষ মুহূর্তের ছবি ভিডিও করে রেখেছে। তার সাথে যোগাযোগ করে বিয়ের জন্য চাপ দিলে সে ভিডিও ভাইরাল করে দিবে বলে হুমকি দেয়। আমার গচ্ছিত টাকা শাওনকে দিয়েছি জানিয়ে রূপা বলেন, সে বলেছিল এ টাকা দিয়ে ব্যবসা শুরু করেই বিয়ে করবে। টাকা নেওয়ার পর থেকে সে আমার সাথে যোগাযোগ না করে পালিয়ে বেড়াচ্ছে।

অভিযুক্ত শাওনের বাবা শহিদুল ইসলাম বলেন, রূপা আমাদের বাড়ির ভাড়াটিয়া ছিল। তার চলাফেরা সন্দেহজনক হওয়ায় তাদের বাড়ি থেকে চলে যেতে বলা হয়েছিল।

(এসকেকে/এসপি/মার্চ ২৩, ২০২৩)

পাঠকের মতামত:

২০ এপ্রিল ২০২৪

এ পাতার আরও সংবাদ

উপরে
Website Security Test