E Paper Of Daily Bangla 71
World Vision
Technomedia Limited
Mobile Version

চট্টগ্রামে স্বপ্নযাত্রী ফাউন্ডেশনের অভিনব উদ্যোগ

মোবাইল কিংবা গল্প নয়, বই পড়ে হোক বাসের জন্য অপেক্ষা

২০২৩ মার্চ ২৭ ১৬:২০:৪৯
মোবাইল কিংবা গল্প নয়, বই পড়ে হোক বাসের জন্য অপেক্ষা

জে. জাহেদ, চট্টগ্রাম : ‘অবসরে পড়ি বই, আলোকিত মানুষ হই’ এমন স্লোগানকে মনে প্রাণে ধারণ করে চট্টগ্রামে এক ব্যতিক্রমী উদ্যোগ নিয়েছেন  স্বেচ্ছাসেবী সংঘটন ‘স্বপ্নযাত্রী ফাউন্ডেশন’।

সংগঠনটি রবিবার (২৬ মার্চ) চট্টগ্রাম নগরীর চাদগাঁও পূরবী বাস কাউন্টারে ‘স্বপ্নযাত্রী অবসর পাঠাগার’ নামক একটি বইঘর স্থাপন করেছেন। যেখানে রয়েছে দুই দশকের উপরে বিভিন্ন বই। যা সহজেই যাত্রীরা নিয়ে পড়তে পারবেন।

আনুষ্ঠানিকভাবে পাঠাগারটি উদ্বোধন করেন সিএমপির ট্রাফিক উত্তর বিভাগের উপ-পুলিশ কমিশনার (ডিসি) জয়নাল আবেদীন টিটু।

উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন প্রিমিয়ার বিশ্ববিদ্যালয়ের গণিত বিভাগের চেয়ারম্যান ইফতেখার মনির, সিএমপির ট্রাফিক ও উত্তর বিভাগের অতিরিক্ত উপ পুলিশ কমিশনার মো. হুমায়ুন। এছাড়াও অনুষ্ঠানে স্বপ্নযাত্রী ফাউন্ডেশন মহানগর শাখার সদস্যরাও উপস্থিত ছিলেন।

কথা হয় অপেক্ষমাণ যাত্রী আবু তাহের এর সাথে তিনি জানান, ‘অনেক সময় আমরা বাসের জন্য অপেক্ষ করি। এ সময়টা বই পড়ার ব্যবস্থা একটা চমৎকার উদ্যোগ। জ্ঞানভিত্তিক সমাজ বিনির্মাণে বই পড়ার বিকল্প নেই ।’

অনুষ্ঠানে অতিথি বক্তারা বলেন, ‘বর্তমানে তরুণ সমাজ বই বিমুখ। বেশির ভাগ শিশু-কিশোর-তরুণ মোবাইল ফোনে আসক্ত। যদিও বাস কাউন্টারে দীর্ঘক্ষণ বসে থাকা খুব বিরক্তকর। ওই সময়টুকু যদি আমরা যারা যাত্রী তাঁরা বই পড়ি। তবে সহজেই সময় চলে যাবে। পাশাপাশি বই পড়ায় মানুষের বিবেক মন জাগ্রত হয়।’

বক্তারা আরও বলেন, ‘স্বপ্নযাত্রী ফাউন্ডেশন এর এমন উদ্যোগকে আমরা স্বাগত জানাই। তাঁদের এমন উদ্যোগ আমাদের তরুণ সমাজকে বইমুখী করবে। ভবিষ্যতে আরো বৃহৎ পরিসরে আয়োজন করবে প্রত্যাশা আমাদেরও। কেননা, যুব সমাজকে মাদকমুক্ত ও মোবাইলের আসক্তি কমাতে স্বপ্নযাত্রী’র এই ব্যতিক্রমী আয়োজন নিঃসন্দেহে গর্বের।

স্বপ্নযাত্রী ফাউন্ডেশন মহানগর শাখার সদস্যরা জানান,‘বাস যোগে মানুষ দেশের বিভিন্ন জায়গায় ভ্রমণ করেন। বাসের জন্য বাস কাউন্টারে যাত্রীকে অপেক্ষা করতে হয়। এই সময়টা মোবাইল ফোনে অথবা অন্য কোনভাবে নষ্ট না করে যদি বই পড়ে কাটানো যায়, তাহলে কেমন হয়? এই চিন্তা থেকে অপেক্ষমান যাত্রীদের বই পড়ার সুযোগ তৈরি করেছি। বাসের জন্য অপেক্ষা করে এখন আর যাত্রীদের সময় নষ্ট হবে না, বরং বই পড়েই কেটে যাবে মূল্যবান সময়। আমাদের এমন উদ্যোগে বাসের লোকজনও খুশি।’

(জেজে/এসপি/মার্চ ২৭, ২০২৩)

পাঠকের মতামত:

১৬ এপ্রিল ২০২৪

এ পাতার আরও সংবাদ

উপরে
Website Security Test