E Paper Of Daily Bangla 71
World Vision
Technomedia Limited
Mobile Version

ঘুরে দাঁড়াতে চাই শৈলকূপা আ.লীগের ত্যাগী নেতারা

২০২৩ এপ্রিল ০৫ ১৫:১৯:০৭
ঘুরে দাঁড়াতে চাই শৈলকূপা আ.লীগের ত্যাগী নেতারা


স্টাফ রিপোর্টার, ঝিনাইদহ : ঝিনাইদহের শৈলকূপায় সকল আন্দোলন সংগ্রামের অগ্রভাগের অধিকাংশ নেতাকর্মীরা স্থানীয় আওয়ামীলীগের রাজনীতি থেকে এখন কোনঠাসা হয়ে পড়েছেন। দলের সুসময়ে এখন তারা অনেকটাই পরিত্যক্ত হয়ে গেছেন। এদের প্রত্যেকেরই রাজনীতিতে ছিল সোনালী অধ্যায়। এসব পরিবারের সদস্যরা আবার দলের জন্য প্রাণও হারিয়েছেন।

জানা গেছে, স্বৈরাচার বিরোধী সরকারের আমলে রেজাউল ইসলাম রাজু ছিলেন ছাত্রলীগের সাহসী নেতা ও ত্যাগী সংগঠক। আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনের আন্দোলন সংগ্রামে ছিলেন অগ্রভাগে। সভা-সমাবেশ করতে গিয়ে জাসদ গণবাহিনীর গুলিতে প্রাণ হারিয়েছেন তাঁর পিতা শৈলকূপা থানা যুবলীগের প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি ও বাংলাদেশ আওয়ামীলীগের প্রয়াত প্রেসিডিয়াম সদস্য অধ্যক্ষ কামরুজ্জামানের ঘনিষ্ঠ সহচর বীর মুক্তিযোদ্ধা তাইজাল হোসেন। তখন রাজুর বয়স ছিল মাত্র দুই বছর।

আওয়ামী লীগের দুঃসময়ে ২০০৩ সাল পর্যন্ত শৈলকূপা উপজেলা ছাত্রলীগের সভাপতির দায়িত্ব পালন করেন শৈশবে পিতৃহারা রাজু। চারদলীয় জোট সরকার বিরোধী আন্দোলনে লড়াই করেছেন সামনের সারিতে থেকে। একের পর এক হামলা-মামলা মোকাবিলা করেছেন প্রতিপক্ষের।

ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় থেকে অর্থনীতি বিভাগে স্নাতকোত্তর শেষে চাকরির অনেক সুযোগ পেয়েও যোগদান না করে বঙ্গবন্ধুর আদর্শের রাজনীতিতে সক্রিয় হতে চেয়েছিলেন রাজু। এক সময়ের সেই সাহসী নেতা রেজাউল ইসলাম রাজুর খোঁজ রাখে না কেউ। আওয়ামী লীগের সুসময়ে তিনি এখন অনেকটাই পরিত্যক্ত।

নিজের অসহায়ত্বের কথা জানিয়ে রেজাউল ইসলাম রাজু বলেন, চারদলীয় জোট সরকারের আমলে আওয়ামী লীগ ও সব সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীরা যখন এলাকাছাড়া, ছিল না কোনো সাংগঠনিক কর্মকান্ড, সে সময় নিজের পকেটের টাকা খরচ করে কর্মীদের নিয়ে রাজপথে লড়াই সংগ্রাম করেছি। ২০০৮ সালের পর দলের সুসময়ে আমরা সবদিক থেকে অবহেলিত। হাইব্রিড আর অনুপ্রবেশকারীদের ভিড়ে আমরা হারিয়ে যাচ্ছি। আমাদেরকে দলীয় পদ-পদবী কেন দেওয়া হয় না এ সম্পর্কে আমরা দলের হাই কমান্ডের নিকট জানতে চাই।

শৈলকুপাতে শুধু রেজাউল ইসলাম রাজু নয়। তার মত একই অবস্থা উপজেলা ছাত্রলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক জুলফিকার কায়সার টিপু,উপজেলা যুবলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক হাসানুজ্জামান চম,উপজেলা যুবলীগের সাবেক আহ্বায়ক নাসিরুল ইসলাম খাঁনসহ সাবেক নেতাদের। দলীয় কর্মসূচীতেও এখন আর তাদের ডাকা হয়না।

ঝিনাইদহ জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক সাইদুল করিম মিন্টু জানান,জেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি হলেন আব্দুল হাই। তিনি আবার শৈলকূপা আসনের এমপি। তার মনে যা চাই তিনি তাই করেন। নিজের বলয় ঠিক রাখতে তার পছন্দের ব্যক্তিকে পদ-পদবি দিয়ে থাকেন। তারা বিএনপি করুক বা বাড়ির চাকর হোক সেটা তিনি বিবেচনা করেন না। যার ফলে শৈলকূপায় প্রকৃত আওয়ামীলীগের ত্যাগী নেতারা বঞ্চিত হচ্ছেন।

এ বিষয়ে জানতে ঝিনাইদহ জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি আব্দুল হাই এমপির ব্যক্তিগত মোবাইলে একাধিকবার কল করলেও তিনি রিসিভ করেননি।

বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী সদস্য ও শৈলকূপার সন্তান পারভীন জামান কল্পনা জানান, শৈলকূপা আওয়ামী লীগে সাবেক কয়েকজন ছাত্রলীগ ও যুবলীগ নেতার অবদান অপরিসীম। তাদেরকে পদবঞ্চিত করে রাখা দু তাদেরকে মূল্যায়নের জন্য ইতোমধ্যে কেন্দ্রের দায়িত্বপ্রাপ্ত নেতৃবৃন্দদের অবগত করা হয়েছে।

(একে/এএস/এপ্রিল ০৫, ২০২৩)

পাঠকের মতামত:

০৭ মে ২০২৪

এ পাতার আরও সংবাদ

উপরে
Website Security Test