E Paper Of Daily Bangla 71
World Vision
Technomedia Limited
Mobile Version

ধর্ষণ শেষে ইউপি চেয়ারম্যানের বাড়িতে আত্মগোপন, অবশেষে আটক

২০২৩ এপ্রিল ১২ ১৬:৫১:০৮
ধর্ষণ শেষে ইউপি চেয়ারম্যানের বাড়িতে আত্মগোপন, অবশেষে আটক

নাটোর প্রতিনিধি : নাটোরের বড়াইগ্রামে এক মানসিক প্রতিবন্ধী সুন্দরী তরুণীকে ধর্ষণ শেষে রক্তাক্ত অবস্থায় ফেলে রেখে পালিয়ে যায় এক ধর্ষক। পরে উপজেলার মাঝগাঁও ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যানের বাড়িতে আত্মগোপন করে। কিন্তু শেষ রক্ষা হলো না। পুলিশ ওই ধর্ষককে আটক করে বুধবার দুপুরে নাটোর জেল হাজতে প্রেরণ করেছে। 

স্থানীয়রা জানায়, সোমবার বিকেলে ওই ইউনিয়নের একটি গ্রামের মানসিক প্রতিবন্ধী তরুণী (২০)কে তার মা মাঠে ছাগল পাহাড়া দেওয়ার দায়িত্ব দিয়ে নামাজ আদায়ের জন্য অদূরেই নিজ বাড়িতে আসেন। এ সুযোগে একই এলাকার রমিজউদ্দিন ব্যাপারীর ছেলে ও ২ সন্তানের জনক কৃষক অহিদুল ব্যাপারী (৪২) ওই তরুণীকে মুখ চেপে ধরে পাশের ভূট্টা ক্ষেতে নিয়ে যায় ও জোর পূর্বক ধর্ষণ করে। এতে তরুণীর প্রচুর রক্তক্ষরণ হয়। নামাজ শেষে মা গিয়ে রক্তাক্ত অবস্থায় তাকে উদ্ধার করে প্রথমে বড়াইগ্রাম উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করে। সেখানে কর্তব্যরত চিকিৎসক উন্নত চিকিৎসার জন্য নাটোর সদর হাসপাতালে প্রেরণ করে। পরিবারের সদস্যরা জানায়, ওই তরুণীর যোনী পথে ৯টি সেলাই ও দেহে ৪ ব্যাগ রক্ত দেওয়া হয়েছে।

এদিকে ধর্ষণ শেষে নিজেকে বাঁচাতে স্থানীয় মাঝগাঁও ইউপি চেয়ারম্যান আব্দুল্লাহ আল আজাদ দুলালের বাড়িতে আত্মগোপন করে ধর্ষক। এ ব্যাপারে তরুণীর ভাই বাদী হয়ে থানায় মামলা দায়ের করলে থানা পুলিশ ব্যাপক তল্লাশি চালিয়ে মঙ্গলবার সন্ধ্যায় ওই ইউপি চেয়ারম্যানের আগ্রাণস্থ বাড়ি থেকে তাকে আটক করে। এ দিকে একজন ধর্ষককে এভাবে আশ্রয় দেওয়ার ঘটনায় এলাকায় ব্যাপক নিন্দা ও ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে ওই ইউপি চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে।
এ ব্যাপারে ইউপি চেয়ারম্যান আব্দুল্লাহ আল আজাদ দুলাল জানান, আমার বাড়ি থেকে এভাবে কাউকে আটক করায় আমার মান-সম্মান নষ্ট হয়েছে। পুলিশ আমাকে জানালে আমি তাকে অনত্র চলে যেতে বলতাম এবং সেখান থেকে আটক করতে পারতো।

বড়াইগ্রাম উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. খুরশিদ আলম জানান, ধর্ষক একজন শক্তিশালী পুরুষ হওয়ায় এবং জোর-জবরদস্তি করায় তরুণীর যোণী পথের বিভিন্ন অংশ ছিঁড়ে গেছে এবং এতে প্রচুর রক্তক্ষরণ হয়েছে।

থানার অফিসার ইনচার্জ আবু সিদ্দিক জানান, একজন ইউপি চেয়ারম্যান এভাবে অপরাধীকে আশ্রয় দিবে এমনটা কখনই প্রত্যাশা করি না। বরং উনার দায়িত্ব ছিলো অপরাধীকে ধরতে পুলিশকে সহযোগিতা করা। তিনি আরও জানান, দুপুরে আসামী অহিদুল ব্যাপারীকে আদালতের মাধ্যমে জেল হাজতে প্রেরণ করা হয়েছে।

(এডিকে/এসপি/এপ্রিল ১২, ২০২৩)

পাঠকের মতামত:

০৮ মে ২০২৪

এ পাতার আরও সংবাদ

উপরে
Website Security Test