E Paper Of Daily Bangla 71
World Vision
Technomedia Limited
Mobile Version

সুবর্ণচর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে তুচ্ছ ঘটনায় সংঘর্ষ, আহত ৩

২০২৩ জুন ০২ ১৫:১২:৫৮
সুবর্ণচর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে তুচ্ছ ঘটনায় সংঘর্ষ, আহত ৩

মোঃ ইমাম উদ্দিন সুমন, নোয়াখালী : নোয়াখালী সুবর্ণচর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে রোগীর ব্যবস্থাপত্র টানাটানি নিয়ে হাসপাতালে মুল ফটকে দুইপক্ষের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। এসময় দুই ভাইসহ তিনজন আহত হয়েছে। এ ঘটনায় আহতের মা আবিদা বেগম বাদী হয়ে চরজব্বর থানায় একটি লিখিত এজাহার দায়ের করেন।

বুধবার রাত সাড়ে ১১টার দিকে এ ঘটনা ঘটে।

আহতরা হলেন, চরজুবিলী গ্রামের মৃত আলমগীর জিহাদীর পুত্র সহিদ উল্যাহ রিপন (২৪), রিয়াজ উদ্দিন (২২), মৃত হাবিব উল্যাহর এর পুত্র বেলাল হোসেন (৫৫)।

প্রত্যক্ষদর্শী স্থানীয়রা ব্যবসায়ীরা জানান, বৃহস্পতিবার রাত সাড়ে দশটার দিকে চরজব্বার স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের জরুরী বিভাগে ডায়েরিয়া জনিত সমস্যা নিয়ে একটি শিশু রোগী আসে। এসময় হাসপাতালের সামনের ওষধ বিক্রেতা(ব্রাদার্স ফার্মেসী ও নুর ফার্মেসী) দুই দোকানদারের মধ্যে নিজেদের ব্যক্তিগত রোগী দাবি করে বাকবিতন্ডা হয়। এসময় জরুরী বিভাগের কর্তব্যরত চিকিৎসকের সামনে হাতাহাতির ঘটনা ঘটে।

পরে হাসপাতালের জরুরী বিভাগ থেকে বের হয়ে মুল ফটকে আসলে নিজেদের আত্মীয়-স্বজনদের ডেকে দ্বিতীয় দফায় উভয় পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ হয়। এতে হাসপাতালের সামনের দোকানদার ব্রাদার্স ফার্মেসীর সত্ত্বাধিকারী রিপন ও রিয়াজ আহত হন। আহতরা বর্তমানে নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আছেন।

আহত ও এজাহার সূত্রে জানা যায়, অভিযুক্ত চর জুবিলী গ্রামের মৃত নুর আহাম্মদের পুত্র হামিদ উল্যাহ (৫০), রহিম উল্যাহ (৫২), ইকবাল হোসেন, আনোয়ার উল্যাহ(৫৪) ও আহতরা উভয় স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের সামনের ওষধ দোকানদার ও সর্ম্পকে চাচা ভাতিজা।

এদের সাথে দীর্ঘদিন পারিবারিক জায়গা জমি সংক্রান্ত বিষয়ে বিবাদ চলে আসছিলো। ঘটনার দিন রাত ১১ টায় অভিযুক্ত হামিদ উল্যাহর সাথে আহত সহিদ উল্যাহ রিপনের সাথে হাসপাতালের রোগীদের ঔষধের ব্যবস্থাপত্র নিয়ে বাকবিতন্ডা হয়। এরপর অভিযুক্ত হামিদ তার পুত্র ইয়াসির হামিদ দীপ্ত ,তার ভাই ইকবাল, রহিম উল্যাহ, আনোয়ারসহ অজ্ঞাত ৫/৬ জনের একটি দল এনে রিপনের ওপর অতর্কিত হামলা চালিয়ে রিপনের বাম হাত ভেঙ্গে দেয়, রিপনকে বাঁচাতে তার ভাই রিয়াজ উদ্দিন এগিয়ে এলে তাকেও পিটিয়ে মাথা ফাটিয়ে দেয় অভিযুক্তরা। পরে তাদের চিৎকারে স্থানীয়রা এসে তাদের উদ্ধার করে সুবর্ণচর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করে, অবস্থার অবনতি হলে তাদেরকে শুক্রবার সকালে নোয়াখালী সদর হাসপাতালে ভর্তি করে।

অভিযুক্ত হামিদ উল্যাহ বলেন, আমার ছেলে ঔষধের ব্যবস্থাপত্র নিয়ে রোগীর আত্বীয়ের সাথে কথা বলছেন এমন সময় রিপন আমার ছেলেকে ধমক দিয়ে গাল মন্দ করলে আমি প্রতিবাদ করি এতে রিপন ক্ষিপ্ত হয়ে আমার গায়ে হাত তুলে আমাকে শারিরিকভাবে লাঞ্চিত করে। পরে আমি দোকানে গেলে রিপন সেখানেও আমাকে আক্রমণ করে আমি নিজেকে বাঁচাতে আমার দোকানের রড় দিয়ে আঘাত করি কিন্তু আঘাতটি কোথায় পড়েছে আমি খেয়াল করিনি, হাতে অথবা মাথায় পড়তে পারে। অনেকদিন তাদের সাথে আমাদের পরিবারিক জায়গাজমি নিয়ে বিরোধ চলে আসছে।

স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের প্রধান সহকারী মো. কুতুব উদ্দিন বলেন, রোগীদের ব্যবস্থাপত্র নিয়ে প্রায় হাসপাতালের সামনের ওষধ দোকানদারদের মধ্যে বাকবিতন্ডা হয়। এজন্য দালাল ও দোকানদারদের হাসপাতালে প্রবেশ করতে নিষেধ করা হয়েছে।

চরজব্বর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) দেব প্রিয় দাস বলেন, এ ঘটনায় একটি লিখিত অভিযোগ পেয়েছি। তদন্ত করে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

(আইইউএস/এএস/জুন ০২, ২০২৩)

পাঠকের মতামত:

২০ এপ্রিল ২০২৪

এ পাতার আরও সংবাদ

উপরে
Website Security Test