E Paper Of Daily Bangla 71
World Vision
Technomedia Limited
Mobile Version

কোরবানির জন্য প্রস্তুত করা হচ্ছে ফরিদপুরের ডন

২০২৩ জুন ০৬ ১৯:২৩:৪০
কোরবানির জন্য প্রস্তুত করা হচ্ছে ফরিদপুরের ডন

আবু নাসের হুসাইন, সালথা : কোরবানির হাটে প্রতি বারই দেখা মেলে বাহারি নাম এবং বিশাল আকৃতির পশুর। এবছর সেই প্রতিযোগিতায় এগিয়ে ফরিদপুর জেলার সালথার দানব আকৃতির গরু “ফরিদপুরের ডন”। বেশ যত্নে বেড়ে তোলা গরু দেখতে প্রতিদিনই ভিড় জমাচ্ছেন শত শত মানুষ। গরুর মালিক এবং স্থানীয়দের দাবি এটাই জেলার সবচেয়ে বড় গরু।

দৈর্ঘ্য ১২ ফুট ও উচ্চতা সাড়ে ৬ ফুট ৪০ মন ওজনের হলিস্টেন ফ্রিজিয়ান এই ষাড় গরুটির নাম “ফরিদপুরের ডন”। ওজন, আকৃতি আর সৌন্দর্যে নজর কাড়া ফরিদপুরের ডনকে প্রস্তুত করা হচ্ছে পবিত্র ঈদুল আযহা উপলক্ষে কোরবানির হাটে তোলার জন্য।

জানাযায়, ২ বছর বয়সী ষাঁড়টিকে ৩লাখ ৬০ হাজার টাকা দিয়ে ক্রয় করেন সালথা উপজেলার মাঝারদিয়া ইউনিয়নের হরেরকান্দী গ্রামের মো. রুবায়েত হোসেন। স্থানীয় এনজিও প্রতিষ্ঠান ব্রাক এবং উপজেলা প্রাণিসম্পদ ভেটেরিনারী হাসপাতালের পরামর্শ নিয়ে বিজ্ঞানসম্মত উপায়ে ২ বছর যাবত ষাঁড়টিকে মোটা তাজাকরণ করেছেন। বর্তমানে ষাঁড়টির বয়স ৪ বছর। ফরিদপুরের এই দানবাকৃতির ডনকে দেখতে প্রতিদিনই রুবায়েতের বাড়িতে ভিড় জমাচ্ছেন শত শত মানুষ।

ফরিদপুরের ডনকে যিনি ভালোবেসে পরম যত্নে লালন-পালন করেছেন মোঃ রুবায়েত হোসেন। পশু চিকিৎসক রুবায়েতের ঘরে দামি ফ্যান না থাকলেও গরুর জন্য আছে ফ্যান। নিজে খেতে না পারলেও সখের এই ডনকে খাওয়ানো হয়, ভুসি, কাঁচা ঘাস, খড়, কলা সহ বিভিন্ন ফলমূল, ফলে দামের হিসেবেও ছাড় দিতে চান না কোনো। জানিয়েছেন ফরিদপুরের ডনের দাম হাকা হবে ২৫ লাখ টাকা।

স্থানীয় বাসিন্দা ও ডনকে দেখতে আসা লোকজন জানান, হোড়েরকান্দি গ্রামের পশু চিকিৎসক রুবায়েত হোসেনের ঘরে ২ বছর ধরে লালিত পালিত হয়ে আসছে “ফরিদপুরের ডন”। তাই এই গরুটিকে নিয়ে প্রত্যাশার শেষ নেই তার।

গরুর মালিক রুবায়েত হোসেন বলেন, সম্পূর্ণ দেশীয় খাবার দিয়ে প্রস্তুত করা হয়েছে ফরিদপুরের ডন নামক গরুটিকে। আমি নিজে ঘাস চাষ করে গরুকে খাওয়াইছি। পাশাপাশি ছোলা, ভূষি এমনকি প্রতিদিন কমলা, মাল্টা, আঙ্গুর ও কলা খাওয়ানো হচ্ছে ডনকে।

তিনি আরো বলেন, কুরবানী আসার আগেই অনলাইনের মাধ্যমে প্রতিনিয়ত দরদাম করছেন ক্রেতারা। ২৫ লাখ টাকা হলে বিক্রি করা হবে। তবে আমার ইচ্ছা কুরবানীর হাটে নিয়ে ডনকে বিক্রি করা।

উপজেলা প্রানী সম্পদ কর্মকর্তা ডাঃ মোঃ নাহিদুল ইসলাম বলেন, ষাঁড়টিকে লালন পালনে সফল ব্যক্তি রুবায়েতকে সব ধরনের সহায়তা প্রদান করা হয়েছে।

জেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ডাঃ এ কে এম আসজাদ জানান, ফ্রিজিয়ান জাতের গরু পালনে অনেকেই আগ্রহী হন না। তকে সালথা উপজেলার হোরেরকান্দী গ্রামের রুবায়েত ফ্রিজিয়ান জাতের গরু পালন করে সফল সফল হয়েছেন। গরুটির বিষয়ে আমরা খোঁজখবর নিয়েছি, যাতে গরুটিকে কোন প্রকার ঔষুধ প্রয়োগ না করা হয় সেজন্য আমরা মনিটরিং করছি। গরুটি পালনে আমরা তাকে প্রয়োজনীয় পরামর্শ দিয়েছি।

(এন/এসপি/জুন ০৬, ২০২৩)

পাঠকের মতামত:

২০ এপ্রিল ২০২৪

এ পাতার আরও সংবাদ

উপরে
Website Security Test