E Paper Of Daily Bangla 71
World Vision
Technomedia Limited
Mobile Version

কর্ণফুলীতে লোডশেডিং

বিদ্যুৎ এই আসে এই যায়

২০২৩ জুলাই ১১ ১৭:০৮:২৪
বিদ্যুৎ এই আসে এই যায়

জে. জাহেদ, চট্টগ্রাম : চট্টগ্রামের কর্ণফুলীতে ভয়াবহ রূপ নিয়েছে লোডশেডিং। বিদ্যুৎ এই আসে, এই যায়। আর এ আসা-যাওয়ার কারণে চরম দুর্ভোগে পড়েছেন উপজেলার বাংলাদেশ বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ড (পিডিবি) এর হাজার হাজার বিদ্যুৎ গ্রাহকরা।

অবস্থা এমন পর্যায়ে পৌঁছেছে যে, লোডশেডিংয়ের কারণে ফ্রিজে থাকা মাছ মাংসও রাখা কষ্টকর হয়েছে গ্রাহকদের। সরকারি-বেসরকারি বিভিন্ন অফিস, শিল্প কারখানা ও শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে বিদ্যুতের ঘাটতি দেখা দিয়েছে।

সংশ্লিষ্টরা বলছেন, উপজেলার কয়েক শতাধিক ছোটবড় কল কারখানাগুলোয়ও বিদ্যুৎ সরবরাহ কম হচ্ছে। এ ছাড়া জ্বালানি সংকট ও শিকলবাহা, জুলধা বিদ্যুৎ কেন্দ্র মেরামতের কারণে বিদ্যুৎ কম উৎপাদন হচ্ছে। জাতীয় গ্রিড থেকেও বিদ্যুৎ সরবরাহ কম পাচ্ছে পিডিবি, তাই লোডশেডিং হচ্ছে। শুধু কর্ণফুলী নয়, দেশের সব জায়গায় এ অবস্থা বলে জানালেন মইজ্জ্যারটেক বিদ্যুৎ উপকেন্দ্রের দায়িত্বরত নির্বাহী প্রকৌশলী। তবে তিনি তা শীঘ্রই ঠিক হয়ে যাবে বলেও জানিয়েছেন। কিন্তু আরও কয়েক দিন এভাবে কষ্ট করতে হবে বলে সাফ জানিয়েছেন।

কর্ণফুলীর চরপাথরঘাটা, চরলক্ষ্যা ও শিকলবাহা এলাকার বাসিন্দাদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, এখন ঘণ্টায় নয়, প্রতি ২০/২৫ মিনিটে একবার বিদ্যুৎ আসছে আর যাচ্ছে। কোথাও বিদ্যুৎ গিয়ে ঘণ্টার পর ঘণ্টা আসে না।

শিকলবাহার বিদ্যুৎ গ্রাহক আরিফ বলেন, ‘এখানে সকাল থেকেই লোডশেডিং শুরু হয়। এ লোডশেডিং চলতে থাকে। প্রতি ৩০ মিনিটে একবার করে বিদ্যুৎ আসে আবার চলে যায়। এতে বিভিন্ন ইলেকট্রনিক যন্ত্রপাতি নষ্ট হওয়ার আশঙ্কা থাকে। ঈদের পরে এজন্য রেফ্রিজারেটর নষ্ট হয়ে গিয়েছিল। এ ছাড়া ফ্রিজে রাখা খাবার ঠিকমতো ঠাণ্ডা না হওয়ায় তা পচে যাচ্ছে।’ অনেকেই অভিযোগ করেন, ফ্রিজে থাকা কাঁচা মাংস পচতে শুরু করেছে।

অন্যদিকে মইজ্জ্যারটেক বিদ্যুৎ অফিসে বেশ কয়েকবার ফোন করলেও কেউ সাড়া দিচ্ছেন না। ইতিমধ্যে বিদ্যুৎ লাইনের দাবিতে চরলক্ষ্যা ৫ নম্বর ওয়ার্ডের বাসিন্দারা বিদ্যুৎ বিতরণকারী কর্তৃপক্ষের কাছে আবেদন জানাচ্ছেন। বিদ্যুৎ না পেয়ে ফেসবুকে জুড়ে নানা মন্তব্য করতেছেন।

বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ডের (পিডিবি) কর্মকর্তা ও পিডারে দায়িত্বরত উপ-সহকারি প্রকৌশলীরা বলেন, শিল্প কারখানায় গ্যাস সরবরাহের কারণে বিদ্যুৎ উৎপাদনে গ্যাস সরবরাহ কিছুটা কমেছে। বিদ্যুৎ উৎপাদন কম হচ্ছে। এটিই লোডশেডিংয়ের মূল কারণ। তবে এ অবস্থা বেশিদিন থাকবে না। অপরদিকে, জুলধা ও বড়উঠানের গ্রাহকরা জানান, পল্লী বিদ্যুৎ সমিতিগুলোর কারিগরি সমস্যার কারণে গ্রামে লোডশেডিং বেশি হচ্ছে বলে দাবি তাদের।

পটিয়া বিদ্যুৎ বিতরণ বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী মো. ইসমাইল হোসেন বলেন, ‘শুধু কর্ণফুলী উপজেলা নয়, গতকাল থেকে সব জায়গায় খারাপ। বিদ্যুৎ কম পাচ্ছি তাই লোডশেডিং। আমাদের চাহিদা আছে, ৯ থেকে ১০ মেগাওয়াট। আমরা পাচ্ছি তার ৫০ ভাগ। বিদ্যুৎ সরবরাহ কম হচ্ছে। তাই এ সমস্যা। তবে কয়েকদিন পর স্বাভাবিক হয়ে যাবে।’

(জেজে/এসপি/জুলাই ১১, ২০২৩)

পাঠকের মতামত:

০৬ মে ২০২৪

এ পাতার আরও সংবাদ

উপরে
Website Security Test