E Paper Of Daily Bangla 71
World Vision
Technomedia Limited
Mobile Version

২১ বছর পর ছেলেকে ফিরে পেলেন বাবা-মা

২০২৩ জুলাই ২১ ২০:০৯:২৫
২১ বছর পর ছেলেকে ফিরে পেলেন বাবা-মা

স্টাফ রিপোর্টার, পঞ্চগড় : ২১ বছর আগে হারিয়ে যান মতিউর রহমান (৩৬)কে ফিরে পেয়েছে তার বাবা মা। শুক্রবার বিকেলে ভারত থেকে দেশে ফিরেন মতিউর। পঞ্চগড়ের বাংলাবান্ধা স্থলবন্দর হয়ে দেশে আসলে তাকে আইনি প্রক্রিয়া শেষে পরিবারের কাছে তুলে দেন পুলিশ। ২১বছর আগে হারিয়ে যাওয়া মতিউর  রহমানের বাড়ি ঠাকুরগাঁও সদর উপজেলার আখানগর ইউনিয়নের দক্ষিণ দেবীডাঙ্গা গ্রামে। তিনি সেখানকার সহিদুল ইসলাম ও মর্জিনা বেগম দম্পতির বড় ছেলে। সে কখন, কীভাবে সীমান্ত পেরিয়ে ভারতে গিয়েছিলেন তা এখনো জানা যায়নি। এসব মনে করতেও পারছে না মতিউর।

মতিউর রহমান ২০০২ সালে ১৫ বছর বয়সে মানসিক ভারসাম্য হারান, এক সময় সে হারিয়ে যায়। মতিউর হারিয়ে যাবার পর তার অভিভাবক ওই সময়ই ঠাকুরগাঁও সদর থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করেন। এরপর সারা দেশে খুঁজেও তাঁর সন্ধান পাইনি। ভারতীয় মানবিক সংগঠন 'শ্রদ্ধা'ফাউন্ডেশনের কর্মীরা তাঁকে ২০১৯সালে জুন মাসে মতিউর রহমানকে ভারতের মহারাষ্ট্রের কারজাত এলাকার রাস্তা থেকে মানসিক ভারসাম্যহীন মতিউর রহমানকে উদ্ধার করে ফাউন্ডেশনে রেখে চিকিৎসা করান।ওই ফাউন্ডেশনের চিকিৎসকরা তাকে সিজোফ্রেনিয়ার রোগী হিসাবে চিহ্নিত করে চিকিৎসাসেবা দেন। একপর্যায়ে সে সুস্থ হলে সে তার পরিচয় দিতে সক্ষম হয়। তাকে তার বাবা মার কাছে হস্তান্তর করার সময় বাংলাবান্ধা ইমিগ্রেশনে উপস্থিত ছিলেন, মতিউরের বাবা সহিদুল ইসলাম, মা মর্জিনা বেগম, ছোট বোন সাইফুন্নাহার, ভারতের সংশ্লিষ্ট সংগঠন ‘শ্রদ্ধা পুনর্বাসন ফাউন্ডেশনের’ প্রতিনিধি নিতীশ শর্মা, ডা. শ্বারালি কে উইনডিলকার। ঠাকুরগাঁও আখানগর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান রোমান বাদশা, ইউপি সদস্য হুমায়ুন কবির প্রমুখ।

উল্লেখ,গত২৭ জুন মতিউরের দেশে ফেরার কথা ছিল। মা-বাবা তাকে নিতে এই স্থলবন্দরে এসেছিলেন, গিয়েছিলেন দিনাজপুরের হিলি স্থলবন্দরেও। কিন্তু কাগজপত্রের জটিলতায় সেদিন তিনি দেশে ফিরতে পারেননি।

শ্রদ্ধা পুনর্বাসন ফাউন্ডেশনের কর্মী নিতীশ শর্মা বলেন, " মানসিকভাবে বিপর্যস্ত মানুষ, বিশেষ করে যাঁরা রাস্তায় থাকেন, তাদের চিকিৎসা ও পুনর্বাসনে কাজ করে শ্রদ্ধা ফাউন্ডেশন । ২০১৯ সালে এই ফাউন্ডেশনের কর্মীরা মতিউরকে উদ্ধার করে। তাকে চিকিৎসা দেওয়া হয়।সে সুস্থ হলে তার দেয়া তথ্যমতে তার পরিবারের সঙ্গে যোগাযোগ করি, তাকে ভিডিও কল কথা বলিয়ে দেই। সর্বশেষে তাকে আজ তার পরিবারের কাছে ফিরিয়ে দিলাম।

বাংলাবান্ধা ইমিগ্রেশনের দায়িত্বপ্রাপ্ত পুলিশ কর্মকর্তা খয়রুল ইসলাম বলেন, দুই দেশের হাই কমিশনের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী মতিউরকে ভারতের ফুলবাড়ি ইমিগ্রেশন থেকে আমাদের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে। আমরাও আইনি প্রক্রিয়া শেষে তার পরিবারের কাছে তাকে হস্তান্তর করেছি।

(এআর/এএস/জুলাই ২১, ২০২৩)

পাঠকের মতামত:

০৫ মে ২০২৪

এ পাতার আরও সংবাদ

উপরে
Website Security Test