E Paper Of Daily Bangla 71
Sikdar Dental Care
Walton New
Mobile Version

৫ মাস ধরে নেই নির্বাচন অফিসার, ভোগান্তিতে কর্ণফুলীবাসী

২০২৩ জুলাই ২৪ ১৭:৪৫:৩৪
৫ মাস ধরে নেই নির্বাচন অফিসার, ভোগান্তিতে কর্ণফুলীবাসী

জে. জাহেদ, চট্টগ্রাম : চট্টগ্রাম কর্ণফুলী উপজেলায় নির্বাচন অফিসার নেই প্রায় ৫ মাস ১৩ দিন। কাগজে কলমে দায়িত্ব পালন করছেন পার্শ্ববর্তী পটিয়া উপজেলার নির্বাচন কর্মকর্তা।

কিন্তু অফিসে তার দেখা মিলছে না বলে অভিযোগ পাওয়া যাচ্ছে। এতে ভোগান্তিতে পড়েছেন উপজেলাবাসী। প্রতিদিন সেবা নিতে আসা সেবাগ্রহীতারা সেবা না পেয়ে ফিরে যাচ্ছেন।

জানা যায়, কর্ণফুলী উপজেলার পাঁচটি ইউনিয়ন। ভোগান্তিতে পড়েছে পাঁচ ইউনিয়নের হাজার হাজার সেবাপ্রার্থী। নির্বাচন অফিস সূত্রে জানা যায়, গত ১২ ফেব্রুয়ারি তৎকালীন নির্বাচন অফিসার মো. আবদুর শুক্কুরকে তাৎক্ষণিকভাবে লোহাগাড়া উপজেলায় বদলি করা হয়। তারপর থেকে এখানে নতুন করে কাউকে পদায়ন করা হয়নি।

তবে কাজের স্থবিরতা কমানোর জন্য পটিয়া উপজেলা নির্বাচন অফিসার আরাফাত আল হোসাইনীকে অতিরিক্ত দায়িত্ব পালনের নির্দেশ দেয় জেলা নির্বাচন অফিস।

সপ্তাহে দুই দিন তিনি কর্ণফুলী উপজেলার নির্বাচন অফিসে অতিরিক্ত দায়িত্ব পালন করছেন বলে জানালেও সেবাপ্রার্থীরা তাকে কর্ণফুলীতে পাচ্ছেন না।

কর্ণফুলীর উপজেলার একাধিক সেবাপ্রার্থীরা ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেছেন, আগের নির্বাচন অফিসার মো. আবদুর শুক্কুর খুব ভালো অফিসার ছিলেন। কিন্তু হুট কর তাঁকে বদলি করায় বেকায়দায় পড়েছে এলাকার লোকজন। যদিও সরকারি চাকরিতে বদলি একটি অংশ।

জানা যায়, ২০১৯ সালের মাঝামাঝিতে উপজেলার ৫টি ইউনিয়নে বেশ কিছু স্মার্টকার্ড বিতরণ করেছেন উপজেলা নির্বাচন অফিস।

কিন্তু প্রবাসে ও বিভিন্ন জায়গায় চাকরির কারণে স্মার্টকার্ড গ্রহণ করতে পারেনি অধিকাংশ ভোটার। এছাড়া ভোটার তালিকা হালনাগাদ, প্রধান কার্যালয়ে তথ্য আদান প্রদান, ভোটার স্থানান্তর, সংশোধন, হারানো আবেদন, নতুন ভোটারদের আবেদন ফর্মে নির্বাচন অফিসারের স্বাক্ষর বাধ্যতামূলক হওয়ায় ভোগান্তিতে পড়েছেন কর্ণফুলীর উপজেলার লোকজনকে।

নিয়মিত নির্বাচন কর্মকর্তা উপস্থিত না থাকায় উপজেলার প্রত্যন্ত অঞ্চল থেকে আসা সেবা গ্রহীতাদের ভোগান্তি পোহাতে হচ্ছে।

জানতে চাইলে কর্ণফুলী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. মামুনুর রশীদ বলেন, 'আমাদের নির্বাচন অফিসার আবদুর শুকুর যাওয়ার পরে পটিয়ার একজন নির্বাচন অফিসারকে কর্ণফুলীর অতিরিক্ত দায়িত্ব দেয়া হয়। তিনি সপ্তাহে একদিন বা দুইদিন আসতেন। এখন শুনেছি তিনি আসছেন না। ফলে জনগণ সেবা নিতে আসলেও সেবা পাচ্ছেন না। বিষয়টি আমি জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা ও আঞ্চলিক নির্বাচন কর্মকর্তাদের অবগত করেছি।'

এ বিষয়ে সিনিয়র জেলা নির্বাচন অফিসার (চট্টগ্রাম) মোহাঃ জাহাঙ্গীর হোসেনকে ফোন করে ও হোয়াটস আপে মেসেজ পাঠিয়েও কোন মন্তব্য পাওয়া যায়নি।

তবে চট্টগ্রাম অঞ্চলের আঞ্চলিক নির্বাচন কর্মকর্তা মুহাম্মদ হাসানুজ্জামান বলেন, 'কর্ণফুলীতে একজন নিয়মিত অফিসার দরকার। যদিও আপাতত কাজের স্থবিরতা রোধ করতে পটিয়া উপজেলা নির্বাচন অফিসারকে অতিরিক্ত দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। কর্ণফুলীতে খুব শিগগরই নির্বাচন অফিসার দেওয়া হবে।

(জেজে/এসপি/জুলাই ২৪, ২০২৩)

পাঠকের মতামত:

১০ ডিসেম্বর ২০২৪

এ পাতার আরও সংবাদ

উপরে
Website Security Test