E Paper Of Daily Bangla 71
World Vision
Technomedia Limited
Mobile Version

পলাশবা‌ড়ীর নিম্নাঞ্চলে পানি কমলেও বাড়ছে ভাঙন, ফসলহানির আশঙ্কা 

২০২৩ অক্টোবর ০২ ১৬:১৫:০০
পলাশবা‌ড়ীর নিম্নাঞ্চলে পানি কমলেও বাড়ছে ভাঙন, ফসলহানির আশঙ্কা 

রবিউল ইসলাম, গাইবান্ধা : গাইবান্ধা পলাশবা‌ড়ী উপ‌জেলার কি‌শোরগাড়ী ইউ‌নিয়‌নে কা‌শিয়াবা‌ড়ী টোংরাদহ বাঁধ এলাকায় কর‌তোয়া নদীর পানি গত কয়েকদিন থেকে বৃদ্ধি পেয়ে বিপদসীমার  ওপর দিয়ে প্রবাহিত হলেও আজ সোমবার সকাল থেকে কমতে শুরু করেছে পানি, তবে পানি কমার সাথে সাথে দেখা দিয়েছে নতুন করে ভাঙন। এতে  দুশ্চিন্তায় পড়েছেন নদী তীরবর্তী এলাকার মানুষ। উপজেলা কৃষি অফিসার ফাতেমা কাওসার মিশু প্রতিক্ষণ ছুটে যাচ্ছেন কৃষকের পাশে, ফসল যাতে কম ক্ষতি হয় এ ব্যাপারে কৃষকদের দিচ্ছেন নানা রকম পরামর্শ।

সপ্তাহ খানেক আগে থেকে কর‌তোয়া নদীর পা‌নি বৃ‌দ্ধি ফ‌লে উপ‌জেলার কি‌শোরগা‌ড়ী ইউ‌নিয়‌নের কাশিয়াবাড়ী, সগুনা, কেশবপুর, পশ্চিম মির্জাপুর, নলডাঙ্গা তেকানিসহ কয়েকটি গ্রামে পানি প্রবেশ করে, কিছু কিছু এলাকায় রাস্তাঘাটেও পানি ওঠে। পানির নিচে নিমজ্জিত হয় ধান, সবজিসহ বিভিন্ন ফসল। সুলতানপুরঘাট এলাকায় বালুপাড়া এলাকায় নদীর পা‌নি বৃ‌দ্ধি‌ ও নদী ভাঙন কব‌লে প‌ড়ে ওই এলাকার অন্তত ৮টি গ্রা‌মের মানু‌ষের চলাচ‌লে একমাত্র রাস্তা নদীগ‌র্ভে বিলীন হ‌য়ে যায়। ফ‌লে এখন পর্যন্ত জনদু‌র্ভো‌গে প‌ড়ে‌ আছে নদী তীরবর্তী এলাকার মানুষজন।

আজ সোমবার সকাল থেকে ওই ইউনিয়নে পানি কমতে শুরু করলেও পানি বাড়তে শুরু করে পবনাপুর ইউনিয়নে। ফলে পবনাপুর ইউনিয়নে নতুন করে নিমজ্জিত হচ্ছে কৃষকের ফসল।

উপজেলা কৃষি অফিসার ফাতেমা কাওসার মিশু জানিয়েছেন, এবার পানি বৃদ্ধির ফলে উপজেলায় ৩শত হেক্টর জমির ধান, ১০ হেক্টর জমির সবজিসহ বিভিন্ন ধরনের ফসল এখন পর্যন্ত পানির নিচে আছে। কি রকম ক্ষয় ক্ষতি হবে পানি না কমলে বোঝা যাবে না।

উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান একেএম মোকছেদ চৌধুরী বিদ্যুৎ জানিয়েছেন, কিছু এলাকায় পানি বাড়ছে আবার কিছু এলাকায় পানি কমছে। নদী তীরবর্তী এলাকায় বেশি ক্ষতি হয়েছে।

(আরআই/এসপি/অক্টোবর ০২, ২০২৩)

পাঠকের মতামত:

০৩ মে ২০২৪

এ পাতার আরও সংবাদ

উপরে
Website Security Test