E Paper Of Daily Bangla 71
World Vision
Technomedia Limited
Mobile Version

ভৈরবে দুই মামলায় ৪৮২ আসামি

২০২৩ নভেম্বর ০২ ১৮:১৯:৫৪
ভৈরবে দুই মামলায় ৪৮২ আসামি

সোহেল সাশ্রু, কিশোরগঞ্জ : ভৈরবে ককটেল বোমা বিস্ফোরণ ও বিএনপি-জামায়াতের ডাকা ৭২ ঘণ্টা অবরোধ কর্মসূচীতে নৈরাজ্য ও নাশকতা সৃষ্টির অপরাধে পৃথক ২টি মামলা দায়ের করেছে থানা পুলিশ। গত ১ নভেম্বর বুধবার ৯৩ জনের নাম উল্লেখ করে অজ্ঞাত আরো ৩শ জনের বিরুদ্ধে পৃথক দুটি মামলা দায়ের করেন ভৈরব থানার এসআই মো. শহিদুর রহমান। মামলার বিষয়টি নিশ্চিত করেন ভৈরব থানা অফিসার ইনচার্জ মোহাম্মদ মাকছুদুল আলম।

মামলায় বিএনপি’র বিভিন্ন পর্যায়ের একই নেতাকে দুই মামলায় আসামি করা হয়েছে। দুই মামলারই প্রধান আসামি ভৈরব উপজেলা বিএনপি’র সাধারণ সম্পাদক আরিফুল ইসলাম। এছাড়াও মামলায় উল্লেখযোগ্য অন্যান্য আসামিদের মধ্যে রয়েছে ভৈরব পৌর বিএনপি’র সভাপতি ও সাবেক পৌর মেয়র হাজী মো. শাহিন, সহ-সভাপতি ফয়েজ উল্লাহ মিয়া, উপজেলা বিএনপি’র সহ-সভাপতি আবুল বাশার, সাবেক সহ-সভাপতি তোফাজ্জল হোসেন, সাবেক যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক জিল্লুর রহমান, উপজেলা যুবদল সভাপতি দেলোয়ার হোসেন, সাধারণ সম্পাদক ও উপজেলা পরিষদ ভাইস-চেয়ারম্যান আল মামুন, পৌর যুবদল সদস্য সচিব জোবায়ের আল মামুন, উপজেলা স্বেচ্ছাবেক দল সভাপতি নিয়াজ মুর্শেদ, পৌর স্বেচ্ছাসেবক দল সাধারণ সম্পাদক মীর রাজন, উপজেলা ছাত্রদল সভাপতি রেজওয়ান উল্লাহ, পৌর ছাত্রদল সভাপতি হিসাম আহমেদ, সদস্য সচিব মুকিত আব্দুল্লাহ ফারুক। মামলায় তদন্তকারী কর্মকর্তা হিসেবে রয়েছেন, ভৈরব থানার উপ-পরিদর্শক আব্দুর রহমান।

ভৈরব থানা সূত্রে জানা যায়, বিএনপি-জামায়াত ডাকা সারাদেশে ৭২ ঘণ্টা সর্বাত্মক অবরোধে প্রথম দিনে কিশোরগঞ্জের ভৈরব শহরের গাছতলাঘাট এলাকায় পুলিশের সঙ্গে বিএনপি’র ধাওয়া পাল্টা ধাওয়া হয়। এ সময় পুলিশের সঙ্গে আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীও ছিলো। বিএনপি নেতাকর্মীরা পুলিশের উপর ককটেলসহ ইট-পাটকেল নিক্ষেপ করে। এ সময় পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে পুলিশ টিয়ারগ্যাস নিক্ষেপ করেন। এ ঘটনায় সন্ত্রাস দমন আইনে একটি মামলা হয়। পরের মামলাটি হয় বিস্ফোরক দ্রব্য আইনে।
এছাড়াও গত ৩০ অক্টোবর শনিবার রাতে পৌর শহরের ঘোড়াকান্দা পলাশ সিনেমা হল মোড়ে পাকা রাস্তার উপর একদল দুষ্কৃতিকারী বেআইনী ভাবে ককটেল বোমা বিস্ফোরণ করে। এতে বিকট শব্দে জনমনে ভীতি ও আতংক সৃষ্টি করে। এসময় ভৈরব থানার পুলিশ উপ-পরিদর্শক নাজমুল আলম ভৈরব শহরে আইন শৃঙ্খলা নিয়ন্ত্রণে ওই স্থানে দায়িত্ব পালন করছিলেন।

পরে এ ঘটনায় পৌর বিএনপি’র সাধারণ সম্পাদক মুজিবুর রহমান, পৌর যুবদল আহ্বায়ক হানিফ মাহমুদ, সাবেক যুগ্ম-আহ্বায়ক জাকারিয়া ফারুক, উপজেলা ছাত্রদল সভাপতি রেজুয়ান উল্লাহ ও আটক ১৪ জনসহ ২৪ জনের নাম উল্লেখ্য করে অজ্ঞাত ৫০/৬৫ জনকে আসামি করে একটি বিস্ফোরন আইনে মামলা করেন উপ-পরিদর্শক মো. নাজমুল আলম।

এ বিষয়ে উপজেলা বিএনপি সভাপতি মো. রফিকুল ইসলাম বলেন, দেশে গণতন্ত্র ফিরিয়ে আনতে বিএনপি রাজপথে আন্দোলন করছে। এতে বাধা দিচ্ছেন পুলিশ। ভোটের অধিকার ফেরাতে ও অবাধ সুষ্ঠু, নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে নির্বাচনের দাবিতে আন্দোলন করছে বিএনপি। এতে মিথ্যা মামলায় আসামি করেছে অগণিত বিএনপি নেতাকর্মীদের। কেন্দ্রীয় বিএনপি’র অংশ হিসেবে আন্দোলন চালিয়ে যাবে ভৈরব বিএনপি নেতাকর্মীরা। পুলিশের মামলাটি নিরপেক্ষ নয়।

এ বিষয়ে ভৈরব থানা অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মোহাম্মদ মাকছুদুল আলম বলেন, সন্ত্রাসবাহিনীরা ভৈরবে বিস্ফোরন দ্রব্য ব্যবহার করে সাধারণ মানুষের উপর আক্রমণ করছে। তারা ইটপাটকেল ছুড়ে পুলিশসহ সাধারণ মানুষকে আহত করছে। তাদের বিরুদ্ধে যথেষ্ট প্রমাণ রয়েছে। আসামিদের ধরতে পুলিশ তৎপর রয়েছে।

(এসএস/এসপি/নভেম্বর ০২, ২০২৩)

পাঠকের মতামত:

০৪ মে ২০২৪

এ পাতার আরও সংবাদ

উপরে
Website Security Test