E Paper Of Daily Bangla 71
World Vision
Technomedia Limited
Mobile Version

আহত ওসিকে দেখতে হাসপাতালে ঢাকা রেঞ্জের অতিরিক্ত ডিআইজি মারুফ হোসেন সরদার

২০২৩ নভেম্বর ০৪ ২০:৩৯:৩৮
আহত ওসিকে দেখতে হাসপাতালে ঢাকা রেঞ্জের অতিরিক্ত ডিআইজি মারুফ হোসেন সরদার

সোহেল সাশ্রু, কিশোরগঞ্জ : কিশোরগঞ্জের কুলিয়ারচরে বিএনপি-পুলিশ সংঘর্ষে আহত কুলিয়ারচর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মোহাম্মদ গোলাম মোস্তফাকে দেখতে হাসপাতালে যান ঢাকা রেঞ্জের এডিশনাল ডিআইজি (অপারেশনস্ এন্ড ইন্টেলিজেন্স) মারুফ হোসেন সরদার, বিপিএম (সেবা), পিপিএম।

৪ নভেম্বর শনিবার দুপুর ৩টার দিকে কুলিয়ারচর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসাধীন ওসি মোহাম্মদ গোলাম মোস্তফা’কে দেখে তার শারীরিক অবস্থার খোঁজ খবর নেন তিনি।

এসময় অন্যান্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন, কিশোরগঞ্জ জেলা পুলিশ সুপার মোহাম্মদ রাসেল শেখ পিপিএম (বার), ঢাকা রেঞ্জের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ক্রাইম) ইমরান রহমান, কিশোরগঞ্জের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ডিএসবি) মোহাম্মদ নূরে আলম, ভৈরব সার্কেলের সহকারী পুলিশ সুপার দেলোয়ার হোসেন খান, কুলিয়ারচর উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. আদনান আখতার ও আবাসিক মেডিকেল অফিসার ডা. তমাল কান্তি মল্লিকসহ সাংবাদিকবৃন্দ।

উল্লেখ্য, বিএনপি-জামায়াতের ডাকা তিন দিনের অবরোধ কর্মসূচীর প্রথম দিন গত ৩১ অক্টোবর সকাল ৮টার দিকে কিশোরগঞ্জের কুলিয়ারচর উপজেলার ছয়সূতী বাসস্ট্যান্ডে পুলিশের সঙ্গে বিএনপি’র নেতা-কর্মীদের ব্যাপক সংঘর্ষ হয়। সংঘর্ষে গুলিবৃদ্ধ হয়ে বিল্লাল হোসেন ও রেফায়েত উল্লাহ তনয় নামে ২ বিএনপি নেতা নিহত হয়। হামলায় কুলিয়ারচর থানার ওসি মোহাম্মদ গোলাম মোস্তফাসহ ১৫ পুলিশ সদস্য আহত হয়। বিএনপি’র অন্তত অর্ধশতাধিক নেতাকর্মী আহত হয়। আহত কুলিয়ারচর থানার অফিসার ইনচার্জ এখনও কুলিয়ারচর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসাধীন।

নিহত বিল্লাল হোসেন স্থানীয় ছয়সূতী ইউনিয়ন কৃষক দলের সভাপতি ও মাধবদী গ্রামের কাজল মিয়ার ছেলে। ইউনিয়ন যুবদল নেতা রেফায়েত উল্লাহ তনয় বড় ছয়সূতী চক বাজার এলাকার কাউসারের ছেলে।

এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে গত ১ নভেম্বর মঙ্গলবার মধ্যরাতে কুলিয়ারচর থানার এস আই (নি.) তারেক পারভেজ বাদী হয়ে দুইটি এবং এস আই (নি.) নূরে আলম বাদী হয়ে একটি মামলা দায়ের করেন। মামলায় সরকারি কর্তব্য পালনে বাধা এবং হত্যার উদ্দেশ্য দায়িত্বরত পুলিশ সদস্যদের উপর হামলা চালিয়ে সাধারণ ও গুরুতর জখম করা, যানবাহন ভাংচুর করে ক্ষতি সাধন, বিস্ফোরক দ্রব্য বিস্ফোরণ ঘটিয়ে আতংক সৃষ্টির অভিযোগ করা হয়। মামলার এজাহারে উল্লেখ করা হয় বিএনপি’র কেন্দ্রীয় নেতা শরীফুল আলমের নেতৃত্বে কুলিয়ারচরের নেতাকর্মীরা পুলিশের ওপর আক্রমণ করে, রাস্তায় অবরোধ সৃষ্টি করে জনগণের জানমাল ক্ষতির চেষ্টা করে এবং রাস্তায় আগুন লাগিয়ে যানবাহন চলাচলে বাধার সৃষ্টি করার অপরাধ করেন। এজন্য তাকে দুইটি মামলায় প্রধান আসামি করা হয়।

(এসএস/এএস/নভেম্বর ০৪, ২০২৩)

পাঠকের মতামত:

০৪ মে ২০২৪

এ পাতার আরও সংবাদ

উপরে
Website Security Test