E Paper Of Daily Bangla 71
World Vision
Technomedia Limited
Mobile Version

কুলিয়ারচরে বিএনপি-পুলিশ সংঘর্ষের ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন ঢাকা রেঞ্জের অতিরিক্ত ডিআইজি মারুফ হোসেন সরদার

২০২৩ নভেম্বর ০৪ ২৩:৩১:৩৪
কুলিয়ারচরে বিএনপি-পুলিশ সংঘর্ষের ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন ঢাকা রেঞ্জের অতিরিক্ত ডিআইজি মারুফ হোসেন সরদার

সোহেল সাশ্রু, কিশোরগঞ্জ : কিশোরগঞ্জের কুলিয়ারচরে বিএনপি-পুলিশ সংঘর্ষের ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন ঢাকা রেঞ্জের এডিশনাল ডিআইজি (অপারেশনস্ এন্ড ইন্টেলিজেন্স) মারুফ হোসেন সরদার, বিপিএম (সেবা), পিপিএম।

৪ নভেম্বর শনিবার দুপুর ২টার দিকে উপজেলার ছয়সূতী বাসস্ট্যান্ডে বিএনপি-পুলিশ সংঘর্ষের ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে তথ্য উপাত্ত সংগ্রহ করেন তিনি।

এসময় অন্যান্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন, কিশোরগঞ্জ জেলা পুলিশ সুপার মোহাম্মদ রাসেল শেখ পিপিএম (বার), ঢাকা রেঞ্জের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ক্রাইম) ইমরান রহমান, কিশোরগঞ্জের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ডিএসবি) মোহাম্মদ নূরে আলম, ভৈরব সার্কেলের সহকারী পুলিশ সুপার দেলোয়ার হোসেন খান, র‌্যাব-১৪ ভৈরব ক্যাম্পের স্কোয়ার্ড কমান্ডার সহকারী পুলিশ সুপার মো. জাহিদ হাসান, নেত্রকোনা ৩১ বিজিবি’র সহকারী পরিচালক আওয়াল হোসেন, ভৈরব উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) মোহাম্মদ ইকবাল হোসেন, কুলিয়ারচর থানার ওসি (তদন্ত) মো. লুৎফর রহমান, উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা সংসদের সাবেক কমান্ডার আলহাজ্ব মো. এনামুল হক, উপজেলা আওয়ামী লীগ সাংগঠনিক সম্পাদক মীর মো. মেজবাহুল ইসলাম, যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক মোহাম্মদ জসীম উদ্দিন লিটন, ছয়সূতী ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান মোহাম্মদ ইকবাল হোসেন, ইউনিয়ন আওয়ামী লীগ সভাপতি হীরা মিয়া সরকার ও সাধারণ সম্পাদক আলহাজ্ব এহসানুল হকসহ আওয়ামী লীগ ও অঙ্গ সংগঠনের নেতাকর্মীবৃন্দ।

উল্লেখ্য, বিএনপি-জামাতের ডাকা তিন দিনের অবরোধ কর্মসূচীর প্রথম দিন গত ৩১ অক্টোবর সকাল ৮টার দিকে কিশোরগঞ্জের কুলিয়ারচর উপজেলার ছয়সূতী বাসস্ট্যান্ডে পুলিশের সঙ্গে বিএনপি’র নেতা-কর্মীদের ব্যাপক সংঘর্ষ হয়। সংঘর্ষে গুলিবৃদ্ধ হয়ে বিল্লাল হোসেন ও রেফায়েত উল্লাহ তনয় নামে ২ বিএনপি নেতা নিহত হয়। হামলায় কুলিয়ারচর থানার ওসি মোহাম্মদ গোলাম মোস্তফাসহ ১৫ পুলিশ সদস্য আহত হয়। বিএনপি’র অন্তত অর্ধশতাধিক নেতাকর্মী আহত হয়। আহত কুলিয়ারচর থানার অফিসার ইনচার্জ এখনও কুলিয়ারচর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসাধীন রয়েছে।

নিহত বিল্লাল হোসেন স্থানীয় ছয়সূতী ইউনিয়ন কৃষক দলের সভাপতি ও মাধবদী গ্রামের কাজল মিয়ার ছেলে। ইউনিয়ন যুবদল নেতা রেফায়েত উল্লাহ তনয় বড় ছয়সূতী চক বাজার এলাকার কাউসারের ছেলে।

এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে গত ১ নভেম্বর মঙ্গলবার মধ্যরাতে কুলিয়ারচর থানার এস আই (নি.) তারেক পারভেজ বাদী হয়ে দুইটি এবং এস আই (নি.) নূরে আলম বাদী হয়ে একটি মামলা দায়ের করেন। মামলায় সরকারি কর্তব্য পালনে বাধা এবং হত্যার উদ্দেশ্য দায়িত্বরত পুলিশ সদস্যদের উপর হামলা চালিয়ে সাধারণ ও গুরুতর জখম করা, যানবাহন ভাংচুর করিয়া ক্ষতি সাধন, বিস্ফোরক দ্রব্য বিস্ফোরণ ঘটাইয়া আতংক সৃষ্টির অভিযোগ করা হয়। মামলার এজাহারে উল্লেখ করা হয় বিএনপি’র কেন্দ্রীয় নেতা শরীফুল আলমের নেতৃত্বে কুলিয়ারচরের নেতাকর্মীরা পুলিশের ওপর আক্রমন করে, রাস্তায় অবরোধ সৃষ্টি করে জনগণের জানমাল ক্ষতির চেষ্টা করে এবং রাস্তায় আগুন লাগিয়ে যানবাহন চলাচলে বাধার সৃষ্টি করার অপরাধ করেন। এজন্য তাকে দুইটি মামলায় প্রধান আসামি করা হয়।

(এসএস/এএস/নভেম্বর ০৪, ২০২৩)

পাঠকের মতামত:

০৪ মে ২০২৪

এ পাতার আরও সংবাদ

উপরে
Website Security Test