E Paper Of Daily Bangla 71
World Vision
Technomedia Limited
Mobile Version

‘১০ বছর তোমারে ছাড়া চলার পারছি, এহনও পারুম’

২০২৩ ডিসেম্বর ২৮ ২৩:১৬:৪৬
‘১০ বছর তোমারে ছাড়া চলার পারছি, এহনও পারুম’

স্টাফ রিপোর্টার : ঢাকা জেলার সাভারের সাবেক সংসদ সদস্য এবং দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ঈগল প্রতীক নিয়ে অংশ নেয়া স্বতন্ত্র প্রার্থী তালুকদার তৌহিদ জং মুরাদকে উদ্দেশ্য করে সাভার উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ও উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মঞ্জুরুল আলম রাজীব মন্তব্য করেছেন যাকে ছাড়া সাভারবাসী দশ বছর চলতে পেরেছে, এখনো তাকে ছাড়াই চলতে পারবে।

বৃহস্পতিবার (২৮ ডিসেম্বর) বিকালে সাভার সদর ইউনিয়নে নৌকা মার্কার প্রচারণায় বক্তব্য রাখতে গিয়ে এমন মন্তব্য করেন তিনি।

এসময় রাজীব বলেন, ‘করোনার সময় সাভারের আওয়ামী লীগ ও সকল সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীরা সবধরনের সাহায্য-সহযোগিতা নিয়ে সাধারণ মানুষের পাশে দাঁড়িয়েছিল, তখন এই মুরাদ জং নাই। সে তখন নিরাপদ দূরত্ব রেখে নিজেকে রক্ষা করেছে। বিগত দশ বছর ও যাকে লাগে নাই, এহন কি আমাদের তারে লাগবো? দশ বছর তোমারে ছাড়া চলার পারছি, এহনও পারুম।’

তিনি বলেন, ‘মুরাদ জং দশ বছর পর এখন আইসা বলে- আমার লাইগা মায়া লাগে না? ওই মিয়া! তোমার জন্য ক্যান মায়া লাগবে? কী এমন কইরা দিছো যে তোমার জন্য মায়া লাগবে? মানুষ কাজ করবে, সেই কাজের প্রতিফলন পাবে মানুষের কাছ থেকে। তুমি একবার এমপি হইছিলা, এমপি হইয়া সারা সাভারে একটা দুষ্ট চক্র তৈরী করছিলা। তোমার ক্যাডার বাহিনী দিয়া সাভারের মুরব্বিদের অপমান করিয়েছো বারংবার। সমাজে যারা সম্মানিত মানুষ, তাদেরকে অপমানিত করেছো বারবার। সাভারের এক পরীক্ষিত আওয়ামী লীগ নেতাকে পিটানো হয়েছিল, বনগাঁর মিল্টনকে অত্যাচার করা হয়েছিল। আবার এইসব নিপীড়িতরাই এখন মুরাদ জং এর সাথে। আসলে এদের খাসলত হইয়া গেছে পিট্টি না খাইলে ভালো লাগে না। এজন্য যে পিটায় এরা তার সাথেই থাকে।’

মুরাদ জংকে উদ্দেশ্য করে সাভার উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান জানান, ‘তোমারে ছাড়া আমরা দশ বছর চলতে পেরেছি, তাই এখন তোমার জন্য আমাদের মায়া লাগে না। এসব আজাইরা ও সস্তা কথাবার্তা এখন এই মুহুর্তে আর সাভারে চলে না।’

রাজীব আরও বলেন, ‘সাভারের একজন মুক্তিযোদ্ধার নাম বলতে গেলে একজনের নাম সবার আগে আসে। তিনি সকলের শ্রদ্ধাভাজন সাবেক এমপি, উপজেলা চেয়ারম্যান মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার আশরাফউদ্দিন খান ইমু। এই মানুষটাকে আমাদের প্রিয় নেত্রী প্রধানমন্ত্রী দেশরত্ন শেখ হাসিনা সাভার পৌরসভার মেয়র পদে মনোনয়ন দিয়ে আপনাদের কাছে পাঠিয়েছিলেন। এই মুরাদ জং তখন সাভারের এমপি ছিলো। সে তখন বিএনপির প্রার্থীর থেকে টাকা খেয়ে প্রশাসনের অনৈতিক প্রভাব দিয়ে এই শ্রদ্ধাভাজন ইমু ভাইকে ফেল করাইছে। ইমু ভাই কি আমাদের দলীয় প্রার্থী ছিলেন না?’

সাভার উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, ‘মুরাদ জং এর বাবা একজন শ্রদ্ধাভাজন ব্যক্তি, তিনি আওয়ামী লীগ করেছেন, এমপি ছিলেন। কিন্তু মুরাদ জং তো আর আওয়ামী লীগ করে নাই, তাই আওয়ামী লীগের জন্য তার মায়া লাগবে কেন?’

এসময় রাজীব দুঃখ প্রকাশ করে বলেন, ‘ইমু ভাইয়ের সাভার পৌরসভার ওই নির্বাচনের পরে আমি তাকে কেন সাপোর্ট দিয়েছি সেজন্য আমার হেমায়েতপুরের বাড়ি ভাংচুর করিয়েছিল ততকালীন এমপি মুরাদ জং। আমার পরিবারের সকল সদস্যদের বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা দিয়েছিল শেখ হাসিনার মনোনীত প্রার্থী ইমু ভাইয়ের পক্ষে নির্বাচন করার জন্য। আজ আমি ইমু ভাইয়ের সন্তানদের উদ্দেশ্যে বলতে চাই, তোমাদের পাশে সেদিন আমি ছাড়া আর কেউ ছিলো না। ইমু ভাইয়ের ছেলে শিহাবকে বাড়ির ভিতর ঢুকে অমানুষিকভাবে লাঠি পেটা করে গ্রেফতার করা হয়েছিল। আমি ঢাকা থেকে তদ্বির করে তাকে মুক্ত করেছিলাম। বন্ড সই দিয়েছিলেন বর্তমান সাভার উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি মিসেস হাসিনা দৌলা। আজ আপনারা এগুলো যদি ভুলে যান তবে আল্লাহ আপনাদেরকে মাফ করবেন না। আপনাদের উচিত সেদিন যারা আপনার বাবা এবং আপনাদেরকে এভাবে অপমান করেছে, আপনারা এসব মনে রেখে শান্তির পথে থাকবেন এবং আগামী ৭ জানুয়ারি নৌকা প্রতীকে ভোট দেওয়ার মাধ্যমে শান্তি প্রতিষ্ঠা করবেন।’

(টিজি/এসপি/ডিসেম্বর ২৮, ২০২৩)

পাঠকের মতামত:

৩০ এপ্রিল ২০২৪

এ পাতার আরও সংবাদ

উপরে
Website Security Test