E Paper Of Daily Bangla 71
World Vision
Technomedia Limited
Mobile Version

শিরোনাম:

পরিবহনের জ্বালানি পাচার হচ্ছে শিল্প কারখানায়

২০২৪ জানুয়ারি ০৪ ২৩:৫২:৫৫
পরিবহনের জ্বালানি পাচার হচ্ছে শিল্প কারখানায়

ইন্দ্রজিৎ সাহা, কালিয়াকৈর : সিএনজি স্টেশনে পরিবহনের জ্বালানি দিনে-রাতে পাচার হয়ে যাচ্ছে শিল্প কারখানায়, বিভিন্ন রেস্টুরেন্টে ও বাসা বাড়িতে।যে কারণে যানবাহন ও মালবাহী পরিবহনে সিএনজি নিতে গেলে পাম্প কর্তৃপক্ষ বলেন,''গ্যাস নাই অথবা লাইনে প্রেসার নাই"বলে ফিরিয়ে দেন।ফলে পরিবহন গুলো এ পাম্প সে পাম্প ঘুরে গ্যাস না পেয়ে বিকল্প পন্থায় তাদের গাড়ি চালাচ্ছেন।

গাজীপুরের কালিয়াকৈরে প্রায় ১৫টি সিএনজি পাম্প (স্টেশন) রয়েছে। প্রায় সবগুলো পাম্পের একই চিত্র।এমনিতেই সন্ধ্যা ছ'টা থেকে রাত এগারোটা পর্যন্ত সরকারি নির্বাহী আদেশে দেশের সব সিএনজি পাম্প গুলো গ্যাস সরবরাহ থেকে বিরত থাকে।

যখনই রাত এগারোটা বেজে যায় সাথে সাথে সকল পাম্পে একযোগে শিল্প কারখানায় গ্যাস সরবরাহের জন্য কাভার ভ্যান(১৭থেকে২৩ফিট লম্বা) গুলো এসে সিএনজি পাম্পে দাড়ায়। সিলিন্ডার ভর্তি একেকটি কাভার ভ্যান গ্যাস নিতে তিন থেকে চার ঘন্টা সময় লেগে যায়।এ সময়ের মধ্যে অন্য কোন যানবাহন বা কোন মালবাহী পরিবহন সিএনজি পাম্পে আসলে ''গ্যাস নাই'' বলে ফিরিয়ে দেন। যদিও দু'একটি পাম্পে গ্যাস দেয় সেখানে গ্যাসের প্রেসার থাকে খুব সামান্য।নাম প্রকাশ না করার শর্তে চন্দ্রা এলাকার কাজুলী পাম্পের একজন নজেল ম্যান বলেন,গ্যাস থাকবো ক্যামনে গাড়ি বইরা রাতে ও দিনে ফ্যাক্টরিতে গ্যাস নিলে গ্যাস তো পাওয়া যাইবনা''।

সিএনজি পাম্প গুলোতে গিয়ে দেখা যায় বড় বড় কাভার ভ্যান গুলোর ভিতরে ১৫০হতে ২০০টি গ্যাসের বোতল বিশেষ কায়দায় সেটিং করা হয়েছে গ্যাস সরবরাহের জন্য।প্রত্যেকটি গ্যাস বোতল ১২০লিটার ক্যাপাসিটি সুতরাং একটি কাভার ভ্যানে একবারেই ২৪০০০ লিটার গ্যাস নিয়ে যাচ্ছে শিল্প কারখানায়।এভাবে প্রায় প্রতিটা কারখানায় দুই থেকে চারটি পর্যন্ত কাভার ভ্যান তৈরি করা আছে শুধু গ্যাস সরবরাহের জন্য। অনেক গুলো সিএনজি পাম্প দিনের বেলায় প্রায় বন্ধই থাকে। "লাইনে গ্যাস নাই'' এ কথা লেখা সম্বলিত একটি সাইনবোর্ড টাঙিয়ে দিয়ে পাম্প বন্ধ রাখে।খবর নিয়ে জানা গেছে, রাত ুএগারোটা থেকে সারারাত এভাবে শিল্প কারখানায় গ্যাস দেয়ার ফলে দিনে আর তেমন গ্যাসে চাপ (প্রেসার) থাকেনা।আর গ্যাসের প্রেসার না থাকলে গাড়িতে গ্যাসও কম ঢুকে ফলে যানবাহনের মালিকগণ গ্যাস নিয়েও প্রতারিত হচ্ছেন।

কথা হয় উপজেলার সুত্রাপুর এলাকার মা সিএনজি স্টেশনের পরিচালক মোফাজ্জল হোসেনের সাথে, তিনি জানান-কাভার ভ্যানের মাধ্যমে কারখানায় গ্যাস সরবরাহের জন্য সরকারি নির্দেশনা আছে বিধায় আমরা কারখানায় গ্যাস দিচ্ছি। তাছাড়া বেশির ভাগ সময় সরবরাহ লাইনেই গ্যাস কম থাকে।

শিলাবৃষ্টি সিএনজি স্টেশনের মালিক হাজী বজলুর রহমান জানান, চুক্তি অনুযায়ী যে পরিমাণ গ্যাস সিএনজি স্টেশনে পাওয়ার কথা সে পরিমাণ গ্যাস আমরা পাইনা ফলে স্টাফদের বেতনাদি দিয়ে আমরা ক্ষতির মধ্যে আছি।এভাবে চলতে থাকলে সামনের দিকে সিএনজি পাম্প চালানো যাবে না।

(আইএস/এএস/জানুয়ারি ০৪, ২০২৪)

পাঠকের মতামত:

০২ মে ২০২৪

এ পাতার আরও সংবাদ

উপরে
Website Security Test