E Paper Of Daily Bangla 71
World Vision
Technomedia Limited
Mobile Version

নষ্ট হচ্ছে ঝিনাইদহ স্বাস্থ্য বিভাগের ৬০ কোটি টাকার ভবন

২০২৪ জানুয়ারি ২৪ ১৫:০৩:৩৬
নষ্ট হচ্ছে ঝিনাইদহ স্বাস্থ্য বিভাগের ৬০ কোটি টাকার ভবন

অরিত্র কুণ্ডু, ঝিনাইদহ : দেশের একমাত্র ২৫ শয্যার সরকারি শিশু হাসপাতালে কর্মকর্তা কর্মচারীদের বসবাসের জন্য ৬টি ভবনে ২২টি ইউনিট আছে। সুরম্য এই ভবনগুলোর মধ্যে মাত্র ৪টি ইউনিট ব্যবহৃত হয়। বাকি ১৮টি ইউনিট বছরের পর বছর পড়ে থাকে। বসবাস না করায় প্রতি বছরই ঝিনাইদহ স্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তরকে রক্ষণাবেক্ষণ বাবদ মোটা অংকের টাকা মেরামত ব্যয় করতে হয়। হাসপাতালটি প্রতিষ্ঠার পর থেকে অন্তত ৩ বার মেরামত করা হয়েছে। বসবাসের জন্য উপযোগী পরিবেশ থাকার পরেও কর্মকর্তা কর্মচারীরে হাসপাতালে কোয়াটারে থাকেন না।

সর্বশেষ ২০২১-২০২২ অর্থ বছরে দুই কোটি ১৫ লাখ টাকা ব্যয় করে আবাসিক ভবনগুলো মেরামত করা হয়। একই ভাবে শৈলকূপা উপজেলার দুধসর মা ও শিশু কল্যান কেন্দ্রটিরও একই অবস্থা। তিনতলা বিশিষ্ট এ হাসপাতালটিতে রয়েছে অন্তঃসত্ত্বা নারীদের সিজার ও শিশুদের চিকিৎসার আধুনিক সব সুযোগ-সুবিধা। চিকিৎসক ও স্টাফদের জন্য রয়েছে আবাসিক ভবন। কিন্তু জনবল না থাকার কারণে ব্যবহার অনুপযোগী হয়ে পড়ছে ভবনগুলো। সীমান্তবর্তী উপজেলা মহেশপুরের ভৈরবা বাজারের ২০ শয্যা হাসপাতাল, ২৭ কোটি টাকা ব্যয়ে কোটচাঁদপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের নতুন ভবন, ৪ কোটি ৪২ লাখ টাকা ব্যয়ে কালীগঞ্জের ১০ শয্যা বিশিষ্ট মা ও শিশু হাসপাতাল, প্রধানমন্ত্রীর অগ্রাধিকার প্রকল্পের আওতায় ৩০ লাখ টাকা ব্যায়ে ৭টি নতুন কমিউনিটি ক্লিনিক ও ৫ লাখ টাকা ব্যায় করে একাধিক কমিউনিটি ক্লিনিক সংস্কার করা হলেও যথাযথ ভাবে সেগুলো ব্যবহার হচ্ছে না।

জানা গেছে, ঝিনাইদহ ২৫০ শয্যা জেনারেল হাসপাতালের আবাসিক স্বাস্থ্য কর্মকর্তার বাসভবনটিও খালি পড়ে আছে। ভবনটিতে বসবাস না করলেও আবাসিক মেডিকেল অফিসার ডা. গুলশান আরা লিমার কাছ থেকে ১৮ হাজার টাকা বাসা ভাড়া কাটা হচ্ছে।

কিন্তু ওই ভবনে বসবাস না করলে সেটি কত দিন বসবাসের যোগ্য থাকবে সেটাই বিবেচ্য হয়ে দাড়িয়েছে। স্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তরের নির্বাহী প্রকৌশলী জহির রায়হানের দেয়া তথ্যমতে, ঝিনাইদহ জেলায় নতুন ভবন নির্মাণ ও পুরাতন ভবন সংস্কারের জন্য ব্যায় করা হয়েছে প্রায় ৬০ কোটি টাকা। দেশের একমাত্র ঝিনাইদহ ২৫ শয্যার সরকারি শিশু হাসপাতালের প্রধান ডা. হাসান ফরিদ জামিল জানান, মফস্বল শহরে সরকারি বাসাভাড়া সমন্বয় করলে এ সমস্যার সমাধান হতে পারে। ঝিনাইদহের মানবাধিকার কর্মী আমিনুর রহমান টুকু জানান, বসবাস না করায় ভবনগুলো যেমন নষ্ট হচ্ছে তেমনি জনবল না থাকায় স্বাস্থ্য সেবা পাচ্ছে না প্রত্যন্ত এলাকার মানুষ। তাই স্বাস্থ্য সেবা প্রতিষ্ঠানগুলোতে জনবল নিয়োগ দেওয়া জরুরী বলে দাবি করেন তিনি।

এ ব্যাপারে ঝিনাইদহের সিভিল সার্জন ডা. শুভ্রা রানী দেবনাথ জনবল সংকটের বিষয়টি স্বীকার করে বলেন, হাসপাতাল ও স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সগুলোতে জনবল নিয়োগ দিয়ে এ সমস্যার সমাধান করা হবে। পর্যায়ক্রমে জনবল নিয়োগ করা হবে বলে মন্ত্রনালয় থেকে বলা হয়েছে বলেও জানান তিনি।

(একে/এএস/জানুয়ারি ২৪, ২০২৪)

পাঠকের মতামত:

২৯ এপ্রিল ২০২৪

এ পাতার আরও সংবাদ

উপরে
Website Security Test