E Paper Of Daily Bangla 71
World Vision
Technomedia Limited
Mobile Version

শিরোনাম:

দিনাজপুরে দুই মামলার আসামী নারী শিক্ষিকার বরখাস্ত চেয়ে নারী উদ্যোক্তার আবেদন

২০২৪ জানুয়ারি ৩১ ১৬:৪৮:১৭
দিনাজপুরে দুই মামলার আসামী নারী শিক্ষিকার বরখাস্ত চেয়ে নারী উদ্যোক্তার আবেদন

শাহ্ আলম শাহী, দিনাজপুর : দিনাজপুরে দুই মামলার আসামী এক সরকারি প্রাইমারী স্কুলের শিক্ষিকাকে বরখাস্ত চেয়ে জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসারের কাছে আবেদন করেছেন এক নারী উদ্যোক্তা।

অভিযুক্ত শিক্ষিকার নাম রুনা ইয়াসমিন (৪০)। তিনি সদর উপজেলার পাহাড়পুর মহল্লার মোঃ নুর আলমের মেয়ে ও বিরল উপজেলার তেঘরা মহেশপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারি শিক্ষিকা।

অভিযোগকারী হলেন- দিনাজপুর শহরের পুরাতন বাহাদুর বাজার মহল্লার বাসিন্দা নারী উদ্যোক্তা মোছাঃ লুৎফুন নাহার বর্ণি আহম্মেদ।

অভিযোগকারী মোছাঃ লুৎফুন নাহার বর্ণি আহম্মেদ তার অভিযোগে উল্লেখ করেন , বিবাদী তার দায়েরকৃত সিআর-৩৩/২২ এবং জিআর-২৩৪/২৩ মামলার আসামী। সিআর মামলাটি বিজ্ঞ আদালতে বিচারাধীন থাকাকালে গত ইং-১৬/১২/২০২৩ তারিখ সন্ধ্যার সময় বিরল উপজেলার জীবন মহলের পার্শ্বে অবস্থিত রিমঝিম ক্যাফেটারিয়ার ভীতরে আমাকে ও আমার সঙ্গী নারী উদ্যোক্তা মোছাঃ শাপলা বেগম (৩৮) ও সম্পা দাস মৌ (৩৮), দ্বয়কে শিক্ষিকার নাম রুনা ইয়াসমিন এবং তার মেয়ে মোছাঃ রিয়া আক্তার সহ অজ্ঞাতনামা আরও ৪/৫ জন দেখতে পায়। এ সময় অতর্কিতভাবে উক্ত শিক্ষিকার নাম রুনা ইয়াসমিন তার হাতে থাকা লাঠি দিয়ে আমার মাথায় আঘাত করে। এতে আমার মাথা ফেটে রক্তাক্ত জখম হই। ঘটনার সময় আমাদের শোর-চিৎকার শুনে মোঃ আল-মামুন সরকার, সাইকা ইয়াসমিন এলিন, শাকিলা আফরোজ রিপা সহ আরও অনেকে এসে তাদের কাছ থেকে রক্ষা করে। পরবর্তীতে স্বাক্ষিদের সহায়তায় আমি ও সাক্ষী সম্পা দাস মৌ জখমী অবস্থায় দিনাজপুর জেনারেল হাসপাতালে চিকিৎসা গ্রহণ করি। আমার মাথায় তিনটি সেলাই পড়ে।

এই ঘটনায় আমি বাদী হয়ে জিআর-২৩৪/২৩ মামলা দায়ের করি। মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা গত ইং-১৯/১২/২০২৩ তারিখ বিবাদীকে গ্রেফতার পূর্বক বিজ্ঞ আদালতে সোপর্দ করে বিজ্ঞ আদালত বিবাদীর জামিনের আবেদন না মঞ্জুর করে তাকে জেল হাজতে প্রেরণের নির্দেশ প্রদান করেন। বিবাদী এক দিনের জেল হাজত বাস করার পর বর্তমানে জামিনে মুক্তি পেয়ে তাহার বিরুদ্ধে দায়েরকৃত মামলা তুলে নেওয়ার জন্য বিবাদীর পক্ষের বিভিন্ন জনের মাধ্যমে হুমকি-ধামকী দিচ্ছে। বিবাদীর বর্ণিত কর্মকান্ডের কারনে বাদীর স্বাভাবিক জীবন যাপন ব্যহত হচ্ছে।

অভিযোগে আরো উল্লেখ করেন, বিবাদী যখন-তখন আমাকে পুনরায় মারপিট করা সহ আমার অপূরনীয় ক্ষতিসাধন করতে পারে। এমতাবস্থায় বর্নিত বিষয়ের সুষ্ঠ ও নিরপেক্ষ তদন্তের স্বার্থে বিবাদীকে তার কর্মস্থল থেকে বরখাস্ত করা একান্ত প্রয়োজন। অন্যথায় উক্ত বিবাদী তার কর্মস্থলের উপার্জিত অর্থ দ্বারা আমাকে বাধাগ্রস্থ করার অপচেষ্টায় লিপ্ত হবে।

এ বিষয়ে দিনাজপুর জেলা শিক্ষা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মোঃ নজরুল ইসলামের কাছে জানতেন চাইলে তিনি দরখাস্ত পাওয়ার বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, দাপ্তরিক কাজে ব্যস্ত আছি। অথ্যানুসন্ধান, যাচাই ও পর্যালোচনা করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

অন্যদিকে অভিযুক্ত শিক্ষিকা রুনা ইয়াসমিনের কাছে এ বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি জানান, আমার সংসার জীবনে অশান্তি আর আমার স্বামীকে বিপদগামী করে তুলেছে ওই লুৎফুন নাহার বর্ণি
নামের ওই নারী। আমার স্বামীকে পরকীয়া ফাঁসিয়ে আমাকে বিষিয়ে তুলেছে। আমার স্বামীকে নষ্ট করে ফেলেছে। যা এ শহরে এখন ওপেন সিক্রেট। আমি আমার স্বামী ও সন্তানদের নিয়ে চরম জটিলতায় পড়েছি।

(এসএস/এসপি/জানুয়ারি ৩১, ২০২৪)

পাঠকের মতামত:

০২ মে ২০২৪

এ পাতার আরও সংবাদ

উপরে
Website Security Test