E Paper Of Daily Bangla 71
World Vision
Technomedia Limited
Mobile Version

শিরোনাম:

ফাল্গুনে শতকোটি টাকার ফুল বিক্রির প্রত্যাশা ঝিনাইদহের ফুলচাষি ও ব্যবসায়ীদের

২০২৪ ফেব্রুয়ারি ১১ ১৩:০১:২০
ফাল্গুনে শতকোটি টাকার ফুল বিক্রির প্রত্যাশা ঝিনাইদহের ফুলচাষি ও ব্যবসায়ীদের

অরিত্র কুণ্ডু, ঝিনাইদহ : বসন্ত বরণ, বিশ্ব ভালোবাসা ও আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস উপলক্ষে ঝিনাইদহে ফুল পরিচর্যায় ব্যস্ত সময় পার করছেন চাষিরা। সামনের তিন দিবস তথা এই ফাল্গুনে শতকোটি টাকার ফুল বিক্রি করতে পারবে এমনটি প্রত্যাশা করছেন ফুলচাষি ও ব্যবসায়ীরা। এই তিন দিবসের আগেই মাঠে শোভা পাচ্ছে বিভিন্ন জাতের ফুল, মূলত ১৪ই ফেব্রুয়ারি ও ২১শে ফেব্রুয়ারি বাজার ধরতেই চাষিদের সব প্রস্তুতি চলছে।

জেলার সদর, কালীগঞ্জ, কোটচাঁদপুর ও মহেশপুর উপজেলায় বাণিজ্যিকভাবে চাষ হচ্ছে গোলাপ, জারবেরা, গ্লাডিওলাস, টিউলিপ, রজনীগন্ধা, গাঁদা, লিলিয়াম, জিপসি, চন্দ্রমল্লিকাসহ বিভিন্ন ধরনের ফুল।

চলতি ফাল্গুন মৌসুমে প্রতিকূল আবহাওয়ার কারণে ফুলের উৎপাদন কিছুটা কম তবে বসন্ত উৎসব, বিশ্ব ভালোবাসা দিবস ও আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবসের বাজার সামনে রেখে ব্যাপক প্রস্তুতি নিয়েছেন ফুলচাষিরা। উৎসব পর্যন্ত ফুল ধরে রাখতে, পোকার আক্রমণ ও পচন রোধে নিচ্ছেন পরিচর্যা। চাষিদের আশা, ফুলের চাহিদা ভালো থাকায় উৎসব এগিয়ে আসার সঙ্গে ফুলের দামও বাড়বে এবং তারা বিগত দিনের ক্ষতি পুষিয়ে নিতে পারবেন।

জেলা কৃষি বিভাগের তথ্য মতে, ঝিনাইদহে প্রায় ৪০০ হেক্টর জমিতে বিভিন্ন জাতের ফুলের চাষ হয় এবং ফুল সেক্টরের উপর প্রত্যক্ষ-পরোক্ষভাবে অর্ধ লক্ষাধিক মানুষের জীবন-জীবিকা নির্বাহ হয়। কালীগঞ্জ উপজেলার বালিয়াডাঙ্গা গ্রামের ফুল চাষি ফজলুর রহমান খাঁন বলেন, ভালোবাসা দিবসে রজনীগন্ধা ও ২১শে ফেব্রুয়ারি মাতৃভাষা দিবসে গাঁদা ফুল বিক্রি বেশি হয়। এজন্য এখন ফুলের পরিচর্যা করছি। বিশেষ করে, ফুলের মান ধরে রাখতে এবং পোকামাকড়ের হাত থেকে রক্ষা করতে ভিটামিন ও কীটনাশক ব্যবহার করছি। আশা করছি, ভালো দামে ফুল বিক্রি করতে পারবো।

সদর উপজেলার পাইকপাড়া গ্রামের নজরুল ইসলাম বলেন, আমার দেড় বিঘা জমিতে গোলাপ বাগান রয়েছে। আমার বাগানের গোলাপগুলো লংস্টিক এবং লাল, সাদা, হলুদ, কমলা ও গোলাপি রঙের। এ রঙের ফুল ভালোবাসা দিবসে অনেক বেশি কদর থাকে। এ বছর আবহাওয়া কারণে উৎপাদন অনেক কম। গাছে এখন নতুন কুড়ি এসেছে। আর যেনো নষ্ট না হয় সেজন্য ভিটামিন স্প্রে করছি। ভালোবাসা দিবসের আগেই ফুলের দাম বাড়বে। আশা করছি, এ বছর এক একটি গোলাপ ৩০ থেকে ৩৫ টাকা পর্যন্ত বিক্রি করতে পারবো এমনটাই প্রত্যাশা করছে।

ঝিনাইদহ জেলা ফুল ব্যবসায়ী সমিতির সভাপতি জমির উদ্দীন জানান, সারা বছর ফুল বিক্রি কিছুটা কম থাকলেও মূলত বেচাকেনা হয় উৎসব ঘিরে। এ মৌসুমে প্রতিকূল আবহাওয়ার কারণে বিশেষ করে গোলাপ ফুলের লক্ষ্যমাত্রা পূরণ হবে না। তবে আসন্ন তিন দিবসকে ঘিরে অন্তত ১০০ কোটি টাকার ফুল বিক্রি হবে বলে আমরা আশা করছি।

(একে/এএস/ফেব্রুয়ারি ১১, ২০২৪)

পাঠকের মতামত:

০২ মে ২০২৪

এ পাতার আরও সংবাদ

উপরে
Website Security Test