E Paper Of Daily Bangla 71
Sikdar Dental Care

For Advertisement

Mobile Version

পেঁয়াজের মৌসুমে নাটকীয়ভাবে দাম বেড়ে দ্বিগুণ

২০২৪ ফেব্রুয়ারি ১১ ১৮:৪০:৩০
পেঁয়াজের মৌসুমে নাটকীয়ভাবে দাম বেড়ে দ্বিগুণ

ঈশ্বরদী প্রতিনিধি : পেঁয়াজের মৌসুমে নাটকীয়ভাবে সপ্তাহের ব্যবধানে দাম দ্বিগুণ হয়েছে। আর এলেও গত বছরের একই সময়ের তুলনায় ক্রেতাদের পেঁয়াজের বাজারে খরচ করতে হচ্ছে চারগুণ। পেঁয়াজের দাম বাড়ার এই চিত্রে সাধারণ ক্রেতারা হতাশ। ব্যবসায়ীরা বলছেন, এবারে মুড়িকাটা পেঁয়াজের আবাদ কম হওয়ায় দাম বেড়েছে। তবে চারা পেঁয়াজ বাজারে আসলে দাম কমে যেতে পারে।

ঈশ্বরদীসহ আশেপাশের হাট-বাজারে এক সপ্তাহ আগে পেঁয়াজ খুচরা বাজারে ৬০-৭০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হয়েছে। গত ৮ ফেব্রুয়ারী দাম বেড়ে ৯০ টাকা, ৯ ফেব্রুয়ারী ১০০ টাকা এবং শনিবার ( ১০ ফেব্রুয়ারী) দেশী মুড়িকাটা পেঁয়াজ ১৪০-১৫০ টাকা কেজিতে বিক্রি হতে দেখা গেছে। চব্বিশ ঘন্টার ব্যবধানে দাম বেড়েছে কেজিতে ৪০-৫০ টাকা। তবে ভারতীয় লাল রংয়ের জাত ‘সুখসাগর’ পেঁয়াজের কেজি একশত টাকা। আড়তের পাইকারি বাজারে শনিবার ১২০-১৩০ টাকা কেজিতে পেঁয়াজ বিক্রি হয়েছে।

আড়তের পাইকার সঞ্জয় সরকার জানান, বাঘা, ভেড়ামারা, খলিসাকুন্ডিসহ বিভিন্ন মোকামে পেঁয়াজের দাম বেড়েছে। মোকামে ভারতীয় লাল রংয়ের জাত ‘সুখসাগর’ পেঁয়াজ ৩ হাজার ২০০ টাকা মন দরে অর্থাৎ ৮০ টাকা কেজিতে বিক্রি হচ্ছে। স্থানীয় খুচরা বাজারে এ পেঁয়াজ ১০০ টাকা কেজিতে বিক্রি হচ্ছে। চলতি মৌসুমে মুড়িকাটা পেঁয়াজের আবাদ কম হয়েছে জানিয়ে তিনি বলেন, চারা পেঁয়াজ ওঠতে শুরু হলে দাম কমে যাবে। বাজারে দাম বেড়ে যাওয়ায় কৃষকরা কেউ কেউ এখনই চারা পেঁয়াজ তুলতে শুরু করেছেন।

বাজারের পাইকার আজাদ রহমান বলেন, “চারা পেঁয়াজ এখনো পরিপক্ব হয়নি, বাজারে আসতে কয়েকদিন দেরী হবে। এ অবস্থায় বাজারে দাম নিয়ন্ত্রণে রাখতে হলে আমদানির জন্য ভারতের উপর নির্ভর হতে হবে। গত বছর এই সময়টাতে দাম ৩০ টাকা ছিল বলে তিনি জানিয়েছেন।

শনিবার বাজার করতে আসা রূপপুর পারমাণবিকের একটি কোম্পানীর চাকুরিজীবি হায়দার রশীদ বলেন, গতবছর এসময় মুড়িকাটা পেঁয়াজ ২৫-৩০টাকা কেজি দরে বিক্রি হয়েছে। আর রমযানের সময় দাম বেড়ে হয়েছিল ৪০-৫০ টাকা। সপ্তাহের ব্যবধানে ৬০-৭০ টাকা কেজির পেঁয়াজ লফিয়ে লাফিয়ে দ্বিগুণ হয়েছে। আমাদের মতো চাকুরিজীবির বেতন তো লাফিয়ে বাড়ছে না। আমরা কি করবো। দেখার কি কেউই নেই।

অবসরপ্রাপ্ত প্রদর্শক সুলতানা ইয়সমিন পেঁয়াজ কিনতে এসে দাম দেখে হতাশা প্রকাশ করেছেন। তিনি বলেন, নাভিশ্বাস অবস্থায় আছি। সবকিছু বেশি দামেই কিনতে বাধ্য হচ্ছি। না খেয়ে তো মরে যেতে পারি না। উচ্চ মূল্যের কারণে খাওয়া কমিয়েছি।

ট্রাকচালক আবুল হান্নান বলেন, সংবাদে শুনি দাম কমেছে, কিন্তু বাজারে দাম কম পাই না। খুচরা বিক্রেতারা তাদের ইচ্ছানুযায়ী দাম রাখেন।

খুচরা দোকানি ইসমাইল সরকার বলেন, পেঁয়াজ বিক্রি করছি ১৪০ থেকে ১৫০ টাকা কেজি দরে। ৫-৭ দিনের ব্যবধানে প্রায় ডাবল দামে বিক্রি করতে খারাপ লাগে। আমাদেরও তো অন্য সবকিছু কিনে খেতে হয়। সবকিছুর দাম বেশি।

(এসকেকে/এসপি/ফেব্রুয়ারি ১১, ২০২৪)

পাঠকের মতামত:

০৯ জুলাই ২০২৫

এ পাতার আরও সংবাদ

উপরে
Website Security Test