E Paper Of Daily Bangla 71
World Vision
Technomedia Limited
Mobile Version

শিরোনাম:

সহকারী উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তা তাছলিমার বিরুদ্ধে অসদাচরণের আভিযোগ,
শিক্ষক সমাজের দাবি অন্যত্র বদলি

২০২৪ ফেব্রুয়ারি ১৪ ২২:১৯:৪১
সহকারী উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তা তাছলিমার বিরুদ্ধে অসদাচরণের আভিযোগ,শিক্ষক সমাজের দাবি অন্যত্র বদলি

কেন্দুয়া (নেত্রকোনা) প্রতিনিধি : নেত্রকোনার কেন্দুয়ার সহকারী উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তা তাছলিমা বেগম লিপির বিরুদ্ধে শিক্ষক সমাজের সাথে অসদাচরণ সহ নানা অনিয়মের অভিযোগ উঠেছে।

বাট্টা, সান্দিকোনা ও কেন্দুয়া সদরের আংশিক ক্লাস্টারের দায়িত্বে থাকা ওই সহকারী শিক্ষা কর্মকর্তার শাস্তি দাবি করে শিক্ষক সমাজের পক্ষে চলতি বছরের গত মাসের ২৩ জানুয়ারি বিভাগীয় উপ-পরিচালক প্রাথমিক শিক্ষা ময়মনসিংহ বরাবর লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন কেন্দুয়া উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষক সমিতির সভাপতি শফিকুর রহমান ও সাধারণ সম্পাদক জামিরুল হক। শিক্ষক সমাজের নেতারা অভিযোগ তুলেছেন সহকারী উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তা তাছলিমা বেগম লিপি তার ক্লাস্টারের শিক্ষক সমাজের সাথে অসদাচরণ করেন। এছাড়া বিভিন্ন উন্নয়নমূলক কাজের ফাইল নিয়ে চেকে স্বাক্ষর আনতে গেলে তাকে টাকা দিতে হয়। এছাড়া তিনি বিদ্যালয় পরিদর্শণে গেলে ভালভাবে খাওয়া দাওয়ার আয়োজন করতে হয় এবং টিফিন ক্যারিয়ার ভরে খাবার দিয়েও দিতে হয়।

এর আগেও ২০২৩ সালের জুন মাসে শিক্ষক সমাজের একটি অভিযোগের প্রেক্ষিতে তৎকালীন নেত্রকোনা জেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা তাহমিনা খাতুনের নির্দেশে মদন ও পূর্বধলা উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তার নেতৃত্বে সরেজমিনে একটি তদন্ত অনুষ্ঠিত হয়। ওই তদন্ত প্রতিবেদন যথাযথ কর্তৃপক্ষের মাধ্যমে শিক্ষা অধিদপ্তরের মহা পরিচালক বরাবর জমা দেওয়া আছে।

এ তদন্তের বিষয়ে জানতে চাইলে তৎকালীন জেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা ও বর্তমান সহকারী পরিচালক প্রাথমিক শিক্ষা ময়মনসিংহ তাহমিনা খাতুন বলেন, তদন্তে অভিযোগের সত্যতা ছিল বলেই তদন্ত প্রতিবেদন শিক্ষা অধিদপ্তরের পাঠানো হয়েছে।

কেন্দুয়া উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তা মোঃ মনিরুল ইসলাম বলেন, আমি কেন্দুয়ায় এসেছি মাস দুয়েক হল। তবে সহকারী উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তা তাছলিমা বেগম লিপির বিরুদ্ধে শিক্ষকদের সাথে অসৌজন্য মূলক আচরণের অভিযোগ শোনা যায়। উপজেলা শিক্ষা কার্যালয়ের তৃতীয় শ্রেণীর কর্মচারীরাও তার আচরণগত দিক দিয়ে অনেক অসুন্তুষ্ট। শিক্ষক সমাজ চান তার অন্যত্র বদলি। বিভাগয়ি উপ পরিচালক প্রাথমিক শিক্ষা ময়মনসিংহ মোঃ আলী রেজার কাছে জানতে চাইলে তিনি বুধবার বলেন, সহকারী উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তা তাছলিমা বেগম লিপির বিরুদ্ধে লিখিত অভিযোগ পেয়েছি। এর প্রেক্ষিতে তদন্ত করে তাকে অন্যত্র বদলির সুপারিশ করে প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের মহা পরিচালক বরাবর একখানি প্রতিবেদন পাঠানো হয়েছে। এ বিষয়ে এখন কর্তৃপক্ষ কি ব্যবস্থা নেবেন তা তারাই ভালো জানেন।

সহকারী উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তা তাছলিমা বেগম লিপির ভাষ্য, যে সকল শিক্ষকরা ঠিকমত বিদ্যালয়ে আসা যাওয়া করেন না, বা নানান অনিয়মের সাথে জড়িত থাকেন, তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ করতে গেলেই আমার বিরুদ্ধে অসদাচরণসহ নানা অভিযোগ উঠে। ফাইল স্বাক্ষর করতে টাকা নেওয়াসহ বিদ্যালয়ে পরিদর্শনে গেলে ভালো খাওয়া দাওয়া ও শিক্ষকদের সাথে অসদাচরণের যে অভিযোগ আমার বিরুদ্ধে আনা হয়েছে তা সম্পূর্ণ মিথ্যা। তদন্তে কোন অভিযোগেরেই সত্যতা মিলবে না।

(এসবিএস/এএস/ফেব্রুয়ারি ১৪, ২০২৪)

পাঠকের মতামত:

০২ মে ২০২৪

এ পাতার আরও সংবাদ

উপরে
Website Security Test