E Paper Of Daily Bangla 71
World Vision
Technomedia Limited
Mobile Version

আর্থিক অব্যবস্থাপনা-অনিয়ম দূর করার দাবি

বগুড়ায় বাম গণতান্ত্রিক জোটের বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ

২০২৪ ফেব্রুয়ারি ১৯ ১৭:৪৮:০৯
বগুড়ায় বাম গণতান্ত্রিক জোটের বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ

এটিএম রাশেদুল ইসলাম, বগুড়া : অর্থপাচারের অভিযোগের অনুসন্ধান ও শ্বেতপত্র প্রকাশ, পাচারের টাকা ফেরত ও খেলাপী ঋণ উদ্ধার, দায়ীদের শাস্তি, আর্থিক অব্যবস্থাপনা-অনিয়ম দূর করার দাবিতে-বাম গণতান্ত্রিক জোট বগুড়ার উদ্যোগে বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়। 

সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, কেন্দ্র ঘোষিত কর্মসূচির অংশ হিসাবে বাম গণতান্ত্রিক জোট বগুড়া জেলা শাখার উদ্যোগে সোমবার (১৯ ফেব্রুয়ারী) বেলা বারোটায় বগুড়া শহরের প্রাণকেন্দ্র সাতমাথা থেকে বাংলাদেশ ব্যাংক অভিমুখে বিক্ষোভ মিছিল শেষে ব্যাংকের সামনে বিক্ষোভ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়।

সমাবেশে সভাপতিত্ব করেন বাম গণতান্ত্রিক জোট বগুড়ার নেতা বাসদ বগুড়া জেলার সদস্যসচিব অ্যাডভোকেট দিলরুবা নূরী, বক্তব্য রাখেন সিপিবি বগুড়া জেলা সভাপতি কমরেড জিন্নাতুল ইসলাম জিন্নাহ্, সাধারণ সম্পাদক আমিনুল ফরিদ, বাসদ বগুড়া জেলা সদস্য কমরেড সাইফুজ্জামান টুটুল, মাসুদ পারভেজ, সিপিবি সম্পদক মন্ডলীর সদস্য কমরেড সাজেদুর রহমান ঝিলাম, শাহনেওয়াজ কবির খান পাপ্পু, বাসদ বগুড়া জেলা সদস্য শহিদুল ইসলাম প্রমূখ নেতৃবৃন্দ।

নেতৃবৃন্দ বলেন, গত ৫০ বছরে দেশের ১২ লক্ষ কোটি টাকা পাচার হয়েছে, সে হিসাবে প্রতি বছরে ২৪ হাজার কোটি টাকা পাচার হয়েছে। বানিজ্যে হুন্ডি এবং আন্ডার ইনভয়েচিং ইত্যাদির মাধ্যমে টাকা পাচার করা হয়। সেই টাকা ফেরতের কোন ব্যবস্থা তো আমরা দেখছিই না বরং পাচারকৃতরা রাষ্ট্রীয়ভাবে নানান সুযোগ-সুবিধা ভোগ করে আসছে। খেলাপী ঋণ উদ্ধার তো পরের কথা বরং ব্যাংকগুলো থেকে টাকা দিন দিন উধাও হয়ে যাচ্ছে। বাংলাদেশ ব্যাংক কার্যকর কোন ভূমিকা রাখতে পারছে না। মূলত আওয়ামী ফ্যাসিবাদী সরকার ব্যবসায়ীদের নিকট দেশের টাকা-সম্পদ সবকিছু তুলে দেওয়ার চুক্তি করেছে। যার কারণে সাবেক বাণিজ্যমন্ত্রীর ৫ বছরে ২ হাজার গুন সম্পদ বৃদ্ধি পায়। চুরি, দুর্নীতি, লুন্ঠন, অর্থপাচার, চাঁদাবাজি, দখল-জবরদখল, দলীয়করণ-দলবাজি, স্বেচ্ছাচারিতা অতীতের সকল রেকর্ড ছাড়িয়ে গেছে। সন্ত্রাস, অপহরণ, হত্যা, খুন, নারী ও শিশু নির্যাতন, ধর্ষণ, সামাজিক অনাচারের রোমহর্ষক ঘটনাবলি বেড়েই চলছে। সরকার, প্রশাসন ও লুটেরা ব্যবসায়ীদের শক্তিশালী সিন্ডিকেটসমূহ এখন প্রায় একাকার। বাজারের ওপর সরকারের কোন নিয়ন্ত্রণ না থাকায় নিত্যপ্রয়োজনীয় প্রতিটি জিনিসের দাম বৃদ্ধি অব্যাহত রয়েছে।

অপরদিকে কৃষক তার উৎপাদিত ফসলের ন্যায্য দাম পায় না। শাসকগোষ্টী যে পদ্ধতিতে দেশ শাসন করছে গত ৫০ বছরে; তার অবসান না হলে সরকার বদল হওয়া সত্ত্বেও জনগণের দুর্গতির মৌলিক কোন পরিবর্তন হবে না। তাই ফ্যাসবাদী দুঃশাসনের অবসানের পাশাপাশি বর্তমান লুটপাট ও বৈষম্যের ব্যবস্থা থেকে দেশকে মুক্ত করা আজ অপরিহার্য এবং ফ্যাসিবাদী দুঃশাসনের বিরুদ্ধে বাম গণতান্ত্রিক বিকল্প গড়ে তুলতে হবে।

এ লক্ষ্যে সর্বাত্মক আন্দোলন গড়ে তুলতে নেতৃবৃন্দ দেশবাশীর প্রতি আহ্বান জানান। সেইসাথে অর্থপাচারের অভিযোগের অনুসন্ধান ও শ্বেতপত্র প্রকাশ, পাচারের টাকা ফেরত ও খেলাপী ঋণ উদ্ধার, দায়ীদের শাস্তি, আর্থিক অব্যবস্থাপনা- অনিয়ম দূর করার দাবি জানান।

(এটিআর/এসপি/ফেব্রুয়ারি ১৯, ২০২৪)

পাঠকের মতামত:

২৮ এপ্রিল ২০২৪

এ পাতার আরও সংবাদ

উপরে
Website Security Test