E Paper Of Daily Bangla 71
World Vision
Technomedia Limited
Mobile Version

শৈলকুপায় হত্যা মামলাকে পুঁজি করে দোকান লুটের অভিযোগ

২০২৪ ফেব্রুয়ারি ২৬ ১৬:৩৫:১৪
শৈলকুপায় হত্যা মামলাকে পুঁজি করে দোকান লুটের অভিযোগ

শেখ ইমন, শৈলকুপা : ঝিনাইদহের শৈলকুপা উপজেলার আবাইপুর ইউনিয়নের মিনগ্রামে রিপন হত্যার পর থেকে বন্ধ থাকা একটি দোকানে ভয়াবহ লুটপাটের অভিযোগ উঠেছে। প্রায় ৫ মাস দোকান বন্ধ থাকার পর পুলিশের সহযোগিতায় সোমবার সকালে দোকান খোলা হয়েছে। তবে দোকান মালিক নজরুল ইসলামের পরিবারের দাবি,দোকান বন্ধ থাকাকালীন দোকান থেকে প্রায় ১০ লাখ টাকার মালামাল লুট করেছে প্রতিপক্ষরা।

দোকান মালিক নজরুল ইসলামের ভাই রবিউল ইসলাম জানান, মিনগ্রামে তাদের বেশকয়েকটি ব্যবসা প্রতিষ্ঠান রয়েছে। তারা মামামারি-হানাহানির মধ্যে থাকেন না। রিপন হত্যাকান্ডের আগে তার ভাই দোকান বন্ধ করে তালা লাগিয়ে চলে যায়। পরে কে বা কারা আবাইপুর ওয়াপদা এলাকায় রিপনকে হত্যা করে। সে হত্যাকান্ডে প্রতিপক্ষরা তাদের ফাঁসাতে মিথ্যা হত্যা মামলা দায়ের করেন। মামলার পর থেকে বিগত ৪ মাস বাড়ি ছাড়া ছিলেন। জামিন পেয়ে গতকাল বাড়িতে এসে দেখেন তার ভাইয়ের দোকানে অন্য তালা লাগানো রয়েছে। পরে সোমবার সকালে পুলিশের সহযোগিতায় তালা ভেঙ্গে দেখতে পান দোকানে থাকা গ্যাসের চুলা, গ্যাস সিলিন্ডার, বৈদুতিক তার, রাইস কুকার, টেলিভিশন, মনিটর, সাউন্ড বক্স সহ দোকানে রাখা হার্ডওয়্যার ও ইলেকট্র্রনিক্স দামিদামি সকল মালামাল লুটপাট করে নিয়ে গেছে।

নজরুল ইসলামের স্ত্রী জানান,.তার স্বামী অবসরপ্রাপ্ত বিজিবি সদস্য। তার পেনশনের সমস্ত টাকা দিয়ে তিনি এই দোকানে ব্যবসা শুরু করেন। রিপন হত্যাকান্ডের ঘটনার পর দোকান বন্ধ ছিল। আজ দোকান খুলে দেখেন মালামাল লুট হয়েছে। তাতে প্রায় ১০ লাখ টাকার মালামাল লুট হয়েছে। তিনি এর বিচার চান।

স্থানীয়রা জানান, মিনগ্রাম বাজারে মোল্লা হার্ডওয়্যার এন্ড ট্রেডার্সে সকল প্রকার মালামাল পাওয়া যেত। কিন্তু আজ দেখছেন দোকানের মধ্যে কোন মালামাল নেই।

শৈলকুপা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা শফিকুল ইসলাম চৌধুরী বলেন, প্রায় ৫মাস মোল্লা হার্ডওয়্যার এন্ড ট্রেডাসে তালা লাগানো ছিল। পুলিশের সহযোগিতায় তালা খোলা হয়েছে। দোকান মালিকরা দাবি করছেন তাদের দোকান থেকে অনেক মালামাল চুরি হয়েছে। বিষয়টি তদন্ত করা হচ্ছে।

প্রসঙ্গত, ৪ মাস আগে আওয়ামী লীগ নেতা রিপনকে হত্যা করে স্থানীয় রাজনৈতিক প্রতিপক্ষরা। এই ঘটনায় ৩৩ জনের নাম উল্লেখসহ অজ্ঞাতনামা আরো একাধিক জনের নামে শৈলকুপা থানায় হত্যা মামলা দায়ের করা হয়। মামলার পর থেকেই গ্রেফতার আতঙ্কে গ্রামছাড়া হয় প্রায় শতাধিক পুরুষ। বর্তমানে মোল্লা হার্ডওয়্যার এন্ড ট্রেডাসের মালিক নজরুল ইসলাম সহ ২১ জন হত্যা মামলায় জেল হাজতে রয়েছে। বাকীরা জামিন ও পলাতক রয়েছে।

(ওএস/এসপি/ফেব্রুয়ারি ২৬, ২০২৪)

পাঠকের মতামত:

২৮ এপ্রিল ২০২৪

এ পাতার আরও সংবাদ

উপরে
Website Security Test