পাংশায় ২য় শ্রেণীর ছাত্রীকে একাধিকবার ধর্ষণের অভিযোগ

একে আজাদ, রাজবাড়ী : রাজবাড়ীর পাংশায় ২য় শ্রেণীর এক বুদ্ধিপ্রতিবন্ধী ছাত্রীকে একাধিকবার চকলেটের প্রলোভন দেখিয়ে ধর্ষণ করা হয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে।

রবিবার (১০ মার্চ) দুপুরে ধর্ষণের শিকার ওই বুদ্ধিপ্রতিবন্ধী স্কুল ছাত্রীর পিতা মুঠোফোনে এ তথ্য নিশ্চিত করেন।

ধর্ষণের শিকার শিশু পাংশা উপজেলার একটি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ২য় শ্রেণীর ছাত্রী। সে তার দাদীর সাথে যশাই গ্রামে বসবাস করে। আর্থিক অস্বচ্ছলতার কারণে তার বাবা মা বান্দরবানে থাকে।

ধর্ষণের শিকার ওই স্কুল ছাত্রীর খালা বলেন, আমার ভাগ্নী প্রচন্ড অসুস্থ। গত কয়েক দিন যাবত তার পেটে ব্যথা শুরু হলে সে সব কথা আমাদের বলে। প্রায় ২ থেকে তিন মাস যাবত বাড়ির পাশের দুলাল বিশ্বাস (৫৫) ও রাকিবুল (৩৫) চকলেটের প্রলোভন দেখিয়ে বিভিন্ন স্থানে নিয়ে ধর্ষণ করেছে। আমি আমার ভাগ্নীকে নিয়ে পাংশা হসপিটালে এসেছি। এখানে ভয়ভীতি দেখানো হচ্ছে। তাই রাজবাড়ী সদর হসপিটালে নিয়ে যাচ্ছি। আমার দুলাভাই ও বোন রওনা করেছে। কালকে চলে আসবে। এলে মামলা করবো।

স্থানীয়দের সাথে কথা হলে তারা বলেন, দুলাল বিশ্বাস আগে গ্রামের গ্রামের চুড়ি মালার ব্যবসা করতো। এখন কারিগরের কাজ করে। সে গত ৪/৫ বছর আগে লুচ্চামি করার কারণে চর ঝিকরি থেকে মার খেয়েছিলো। সে সময় ওই এলাকার মানুষ চুল কেটে নেড়া করে দিয়েছিলো। অন্য আর এক অভিযুক্ত রকিবুল রাজমিস্ত্রীর কাজ করে। তার চরিত্র খুব খারাপ। এলাকায় তাদের বিরুদ্ধে অনেক অভিযোগ রয়েছে।

ধর্ষণের শিকার ওই বুদ্ধিপ্রতিবন্ধী স্কুল ছাত্রীর পিতা বলেন, এলাকায় দেনাদায়ী হওয়ার কারণে বান্দরবান এসে একটা ব্যবসা করি। আমার স্ত্রী এখানে একটা গার্মেন্টস কাজ করে। আমার মেয়ে বুদ্ধিপ্রতিবন্ধী। সে আমার মার সাথে গ্রামে থাকে। সেই সুযোগে দুলাল ও রকিবুল আমার মেয়ের সর্বনাশ করেছে। আমার বাড়ি এসে মামলা করবো।

পাংশা মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ওসি স্বপন কুমার মজুমদার বলেন, আমার কাছে কেউ কোন অভিযোগ করে নাই। অভিযোগ পেলে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

(একে/এএস/মার্চ ১০, ২০২৪)