E Paper Of Daily Bangla 71
World Vision
Technomedia Limited
Mobile Version

মাদকে ধ্বংসের পথে তরুণ সমাজ, নেপথ্যে কারা

২০২৪ মার্চ ১২ ১৮:১৬:৩৫
মাদকে ধ্বংসের পথে তরুণ সমাজ, নেপথ্যে কারা

বিশেষ প্রতিনিধি : মাদকের থাবায় নাস্তানাবুদ একটি প্রজন্ম। শহর থেকে গ্রামাঞ্চল-সর্বত্রই নেশা এখন হাতের নাগালে। নেশাজাতীয় দ্রব্যের বিস্তারের এই সর্বনাশা চিত্র যেভাবে আর্থিক ও শারীরিক ক্ষতি করছে, সেভাবে একটি প্রজন্মের চিন্তার জগতে বন্ধ্যত্ব সৃষ্টি করছে। দীর্ঘ মেয়াদে এর ফল খুবই ভয়াবহ আকার ধারণ করবে। মাদকের প্রভাবে অপরাধেও জড়িয়ে পড়ছে এটা সমাজের জন্য বড় ধরণের বিষফোঁড়া। আগের তুলনায় গাঁজা, ইয়াবা, ফেনসিডিল এবং ট্যাপেন্ডাল ট্যাবলেট বেশি সেবন করছে মাদকসেবীরা।

রাজবাড়ীর পাংশা উপজেলার প্রতিনিয়ত এলাকায় মাদকবিরোধী অভিযান চললেও থেমে নেই এর বিস্তার। ট্যাপেনটাডোল ট্যাবলেটসহ, ইয়াবা, হেরোইন, গাঁজা উদ্ধার করা হয়। জানা গেছে, পাংশা উপজেলার মাদকের নিরাপদ কেনাবেচার স্পট মাদক সেবনকারি ও ব্যবসায়ী বিভিন্ন স্পট বেচে নেয় তাহলো, পাংশা পৌরসভার মাগুড়াডাঙ্গী, গুধীবাড়ী, পারনারয়নপুর, কুড়াপাড়া, কুলটিয়া যশাই ইউনিয়নের চর লক্ষ্মীপুর কসবামাজাইল ইউনিয়নের নটাভাঙ্গা, লাঙ্গলবাঁধ ঘাট, পাট্টা বাজার সংলগ্ন ফুটবল মাঠের পশ্চিম পাশের চায়ের দোকানে, বাবুপাড়া ইউনিয়নের বৌ-বাজার, ফুলতলা, দয়রামপুর মাছপাড়া, তত্ত্বিপুর, শিয়ালডাঙ্গী, হাবাসপুর, শাহমীরপুর, চরপাড়ামোড়, বাহাদুরপুরের হ্যাপি, আকাম, যশাইয়ের টেটন, এবং দবির সাধু। মৌরাটের বাগদুলী বাজার ব্রীজ সংলগ্ন, পাংশা মৈশালা বাসষ্ঠ্যান্ডের আশপাশ, মাদক ব্যবসায়ী তাদের সুবিধার জন্য স্থান পরিবর্তন করে।

পাংশা উপজেলার বিভিন্ন জায়গায় কোন ক্রমেই থামছে না মাদক কেনাবেচা। এসব মাদক কেনাবেচা ও সেবনে জড়িয়ে পড়ছে স্কুল-কলেজের কোমলমতি ছাত্র কিশোরসহ যুব ও তরুণসমাজ। এতে চরম উদ্বিগ্ন অভিভাবকরা। পাংশা উপজেলার যশোর ইউনিয়নের চর লক্ষ্মীপুরে একজন পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ-কালাম পরে কিন্তু নামাজের আড়ালে ইয়াবার ব্যবসা করে। পাংশা প্রায় বিভিন্ন স্পটে প্রকাশ্যে মাদক কেনাবেচা হয় বলে স্থানীয়রা জানিয়েছেন। মাদক ব্যবসায় প্রচুর টাকা উপার্জনের আশায় খুব সহজেই মাদক ব্যবসায় বেকার যুবকরা জড়িয়ে পড়ছে।

এলাকাবাসীদের সাথে কথা বলে জানা যায় , বর্তমান মাদকের ভয়াল থাবা সব জায়গাতেই, প্রায়ই দেখা যায়, মাদকসেবীদের পরিবারের কলোহ দেখা। যার কারণে পরিবারে অশান্তি বিরাজ করে। যদি মাদক নিমূলে করতে চান তাহলে আগে মাদক কারবারী ও এর গডফাদার কে ধরতে হবে তাহলেই মাদক বন্ধ করা সম্ভাব। মাদক রুখতে সবার সহযোগিতা ও সচেতনতার বিকল্প নেই।

পাংশা মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) স্বপন কুমার মজুমদার স্থানীয় জনপ্রতিনিধি ও সুশীল সমাজসহ সকলের সহযোগিতা কামনা করে জানান, প্রতিদিনই আমাদের মাদকবিরোধী অভিযান চলছে ও চলবে। তিনি জানান, স্থানীয় জনপ্রতিনিধিসহ সমাজের সচেতন মানুষগুলো যদি পুলিশকে তথ্য দিয়ে সহযোগিতা করে তবেই মাদক চোরাচালান ও মাদক সেবনকারী এবং মাদক ব্যবসায়ী চিরতরে নির্মূল করা সম্ভব হবে বলে জানান তিনি।

(একে/এসপি/মার্চ ১২, ২০২৪)

পাঠকের মতামত:

১৮ মে ২০২৪

এ পাতার আরও সংবাদ

উপরে
Website Security Test