E Paper Of Daily Bangla 71
World Vision
Technomedia Limited
Mobile Version

সাংবাদিকের বিরুদ্ধে জাল সনদে প্রাইমারি স্কুলের সভাপতি হওয়ার অভিযোগ

২০২৪ এপ্রিল ২৯ ১৯:১৫:৫৩
সাংবাদিকের বিরুদ্ধে জাল সনদে প্রাইমারি স্কুলের সভাপতি হওয়ার অভিযোগ

রাজবাড়ী প্রতিনিধি : অনার্স পাসের সার্টিফিকেট জাল করে রাজবাড়ীর গোয়ালন্দ উপজেলার বাহাদুরপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় ব্যবস্থাপনা কমিটির সভাপতি হওয়ার অভিযোগ উঠেছে এক সাংবাদিকের বিরুদ্ধে। ২০২৩ সালের ৩১ অক্টোবর ওই স্কুলের ব্যবস্থাপনা কমিটির সিদ্ধান্তে সভাপতি নির্বাচিত করা হয় মো. রাশেদুল হক রায়হানকে। সভাপতি হওয়ার পর উপজেলা শিক্ষা অফিসের অনুমোদনের জন্য তিনি দি ইউনিভার্সিটি অব কুমিল্লা বাংলাদেশের চার বছর মেয়াদী গণমাধ্যম ও সাংবাদিকতা পাসের সনদ দাখিল করেন। রাশেদুল হক রায়হান দৈনিক প্রথম আলো পত্রিকার গোয়ালন্দ উপজেলা প্রতিনিধি ও উপজেলা দুর্নীতি প্রতিরোধ কমিটির সদস্য।

গত ৩১ অক্টোবর অনুষ্ঠিত বিদ্যালয় ব্যবস্থাপনা কমিটির সভার সিদ্ধান্ত মোতাবেক ১ নভেম্বর হতে নতুন কমিটি কার্যকর হওয়ার কথা ছিল। সভাপতির শিক্ষা সনদ নিয়ে সন্দেহ হওয়ায় কমিটির অনুমোদন দেননি উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তা। ওই সভায় ১১ সদস্যের ৯ জন উপস্থিত ছিলেন।

গোয়ালন্দ উপজেলা শিক্ষা অফিস সুত্র জানায়, মো. রাশেদুল হক দি ইউনিভার্সিটি অব কুমিল্লা বাংলাদেশ থেকে অনার্স পাস করেছেন ২০২২ সালে। কিন্তু শিক্ষা সনদে অর্জিত ফলাফল (সিজিপিএ) উল্লেখ না থাকায় সন্দেহ হলে শিক্ষা কর্মকর্তা বিদ্যালয় ব্যবস্থাপনা কমিটির অনুমোদন দেননি।

গোয়ালন্দ উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তা মো. কবির হোসেন বলেন, বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরী কমিশনের (ইউজিসি) ওয়েবসাইটে দি ইউনিভার্সিটি অব কুমিল্লা বাংলাদেশের নাম খুজে পাওয়া যায়নি। তাই সনদটি নিয়ে আমাদের সন্দেহ রয়েছে।

উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তা আরও বলেন, ইউজিসির নির্দেশনা মোতাবেক বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় থেকে অর্জিত ডিগ্রির মূল সার্টিফিকেট-এ স্বাক্ষরকারী হবেন বিশ্ববিদ্যালয়ের আচার্য কর্তৃক নিয়োগকৃত ভাইস-চ্যান্সেলর এবং পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক। প্রায় দুই বছর আগে পাস করেও তিনি মূল সনদ জমা না দিয়ে প্রভিশনাল সনদ জমা দিয়েছেন।

বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরী কমিশন (ইউজিসি) বলছে, অবৈধ ক্যাম্পাস ও অবৈধ ভাবে শিক্ষা কার্যক্রম পরিচালনাকারী ৩টি বিশ্ববিদ্যালয় ভর্তিতে রেড এলার্ট জারি করা হয়েছে। বিশ্ববিদ্যালয়গুলো হলো: ইবাইস ইউনিভার্সিটি, আমেরিকা বাংলাদেশ ইউনিভার্সিটি, দি ইউনিভার্সিটি অব কুমিল্লা। এ তিন বিশ্ববিদ্যালয়ের সাময়িক অনুমতিপত্রের মেয়াদ উত্তীর্ণ হওয়ায় বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় আইন, ২০১০-এর ১২(১) ধারা অনুযায়ী বিশ্ববিদ্যালয়টির কার্যক্রমের আর কোনো আইনগত ভিত্তি নেই।

এবিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরী কমিশনের বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিচালক ওমর ফারুক বলেন, এই বিশ্ববিদ্যালয়ের শুধু নামটা আছে আর কিছু নাই। ২০২২ সালে একটি সনদ ইস্যু করা হয়েছে এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, এই সনদ অবৈধ। সনদ ইস্যু করার এখতিয়ার নাই তাদের। তাদের ভিসি নাই, অনুমোদন নাই, সনদ দেয় কিভাবে। স্বীকৃত বিশ্ববিদ্যালয়ের তালিকা ইউজিসির ওয়েবসাইটে দেওয়া আছে।

এ বিষয়ে মো. রাশেদুল হক রায়হানের সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও তিনি কল ধরেননি।

(একে/এসপি/এপ্রিল ২৯, ২০২৪)

পাঠকের মতামত:

১৬ মে ২০২৪

এ পাতার আরও সংবাদ

উপরে
Website Security Test