E Paper Of Daily Bangla 71
World Vision
Technomedia Limited
Mobile Version

মাদ্রাসার অধ্যক্ষকে হুমকির ঘটনায় থানায় জিডি, অভিযোগের তদন্তে তিন সদস্যের কমিটি

২০২৪ এপ্রিল ২৯ ২৩:০৫:২৮
মাদ্রাসার অধ্যক্ষকে হুমকির ঘটনায় থানায় জিডি, অভিযোগের তদন্তে তিন সদস্যের কমিটি

কেন্দুয়া (নেত্রকোনা) প্রতিনিধি : নেত্রকোনার কেন্দুয়া উপজেলার গন্ডা ইউনিয়নের মনকান্দা এম.ইউ.আলিম মাদ্রাসার অধ্যক্ষ এ.এম.এম মহিবুল্লাহ এবং মাদ্রাসার কতিপয় শিক্ষক শিক্ষিকা এবং গ্রামবাসীর দন্ধ চরমে পৌঁছেচে। গ্রামের কতিপয় কুচক্রী মহলের বিরুদ্ধে অধ্যক্ষের থানায় জিডি এবং অধ্যক্ষের বিরুদ্ধে অনিয়ম দুর্নীতি ও স্বেচ্ছাচারিতায় পাল্টা অভিযোগের প্রেক্ষিতে তিন সদস্য বিশিষ্ট একটি তদন্ত কমিটি গঠন করেছে উপজেলা প্রশাসন।

সহকারী কমিশনার (ভূমি) মোঃ রাজিব হোসেনকে আহ্বায়ক ও উপজেলা ভারপ্রাপ্ত শিক্ষা কর্মকর্তা আমিনুল ইসলাম খানকে সদস্য সচিব নিযুক্ত করে তিন সদস্যের এই কমিটি গঠন করা হয়। ওই কমিটি আগামী ২ মে মাদ্রাসায় উপস্থিত হয়ে সরেজমিন তদন্ত করার জন্য ২ পক্ষকেই নোটিশ দিয়েছেন।

অধ্যক্ষ এ.এম.এম মহিবুল্লাহর দাবি গত প্রায় ৪ মাস ধরে গ্রামবাসীর হুমকির মুখে মাদ্রাসায় যেতে পারছেন না তিনি এবং তার ভাই শিক্ষক ওয়ালী ওল্লাহ ও বোন শিক্ষিকা নাজমুন্নাহার। চলতি বছরের গত ১৬ জানুয়ারি মাদ্রাসা চলাকালীন অবস্থায় গন্ডা ইউনিয়নের ৭নং ওয়ার্ডের মনকান্দা গ্রামের ইউ.পি সদস্য আলী উসমানের নেতৃতে ২/৩শ লোক উপস্থিত হয়ে তাকে প্রাণ নাশের হুমকি দিয়ে মাদ্রাসা থেকে চলে যেতে বলেন।

উপায়ান্তর না দেখে অধ্যক্ষ থানা পুলিশে খবর দিলে পুলিশ তাকে উদ্ধার করে নিয়ে আসে। এর পর থেকে তিনি আর মাদ্রাসা যেতে পারছেন না। গত ৯ মার্চ তিনি গ্রামবাসির কতিপয় কুচক্রির বিরুদ্ধে থানায় জিডি করেছেন। তিনি বলেন, কতিপয় গ্রামবাসী প্রকাশ্যে হুমকি দিয়ে আসছিল আমি আমার ভাই বোন মাদ্রাসায় উপস্থিত হলেই প্রাণে মেরে ফেলবে। বিষয়টি গত ১৫ এপ্রিল উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা বরাবর লিখিতভাবে অবহিত করি। এদিকে গন্ডা ইউনিয়নের ৭নং ওয়ার্ডের ইউ.পি সদস্য আলী উসমান অভিযোগ করে বলেন, আমরা মাদ্রাসার অধ্যক্ষকে কোন প্রকার হুকমি দেইনি। ১৬ জানুয়ারি গ্রামের কিছু মুরব্বী ও গণ্যমান্য ব্যক্তিদের নিয়ে মাদ্রাসায় যাই। অধ্যক্ষ এ.এম.এম মহিবুল্লাহ কতিপয় শিক্ষকদের সাথে স্বেচ্ছাচারিতা করে তাদের বেতনভাতা বন্ধ করে দেন।

এছাড়া মাদ্রাসার স্থাবর অস্থাবর সম্পত্তি বিক্রি করে দিয়ে অর্থ আত্মসাতের পায়তারা চালান। এ বিষয়টি নিয়ে আমরা অধ্যক্ষের সাথে আলোচনা করতে গেলে তিনি গ্রামের মুরব্বিদের সাথে চরম দূর ব্যবহার করেন এবং মাদ্রাসা থেকে বেড়িয়ে যেতে হুমকি দেন। এরই প্রেক্ষিতে উত্তেজনা দেখা দিযে আমি নিজেই পুলিশকে ফোন করি। পুলিশ ঘটনাস্থলে এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনেন। এ সময় পুলিশের সাথে অধ্যক্ষ উপজেলা সদরে চলে যান।

আলী উসমান আরও বলেন, আমরা অধ্যক্ষের অনিয়ম দুর্নীতির বিরুদ্ধে নিয়ম তান্ত্রিকভাবে অভিযোগ ও মামলা করেছি। পোস্টারিং করেছি। এখন ২ মে তদন্ত হবে। যদি সঠিক তদন্ত না হয় পরবর্তীতে আমরা সিদ্ধান্ত নেব আমরা কি করব। কেন্দুয়া থানার পুলিশের এস.আই রুকনুজ্জামান বলেন, মাদ্রাসার অধ্যক্ষকে পুলিশ প্রহরায় উদ্ধার করে নিয়ে এসেছি। অভিযোগ ও ডিজির বিষয়ে তদন্ত চলছে।

তদন্ত কমিটির আহ্বায়ক সহকারী কমিশনার (ভূমি) মোঃ রাজিব হোসেন বলেন, ২ মে আমরা সরেজমিনে উপস্থিত হয়ে সার্বিক বিষয়ে তদন্ত করব। অধ্যক্ষের অভিযোগ এবং অধ্যক্ষের বিরুদ্ধে অভিযোগ ২টিই আমরা নিরপেক্ষভাবে সতর্কতার সঙ্গে তদন্ত করে তদন্ত রিপোর্ট উপজেলা প্রশাসনের কাছে জমা দেব।

(এসবিএস/এএস/এপ্রিল ২৯, ২০২৪)

পাঠকের মতামত:

১৭ মে ২০২৪

এ পাতার আরও সংবাদ

উপরে
Website Security Test