E Paper Of Daily Bangla 71
World Vision
Technomedia Limited
Mobile Version

কেন্দুয়ায় পুকুরে বালু উত্তোলনের সময় গ্রেনেড উদ্ধার

২০২৪ মে ০১ ২১:১৫:০৮
কেন্দুয়ায় পুকুরে বালু উত্তোলনের সময় গ্রেনেড উদ্ধার

সমরেন্দ্র বিশ্বশর্মা, কেন্দুয়া : ব্রিটিশ আমলের একটি পুকুর থেকে ড্রেজার মেশিন দিয়ে বালু উত্তোলন করার সময় পাওয়া গেছে গ্রেনেড সাদৃশ্য বস্তু। কেন্দুয়া উপজেলায় দলপা ইউনিয়নের রামনগর গ্রামের মৃত আব্দুল হেলিম খানের ছেলে ইমরান খান তাদের পুরনো পুকুর থেকে বালু উত্তোলন করতে গিয়ে বুধবার বেলা দেড়টার দিকে গ্রেনেটটি পেয়েছেন।

ইমরান খান জানান, তাদের বাড়ির পাশে ব্রিটিশ আমলের পুরাতন পুকুর এটি। এই পুকুর থেবে বালু উত্তোলনের জন্য ড্রেজার মেশিন বসানো হয়।

বুধবার বেলা দেড়টায় মেশিনের মুখে গ্রেনেট সাদৃশ্য বস্তুটি পড়লে তারা বালু উত্তোলন মেশিনটি বন্ধ করে দেন। পরে কেন্দুয়া থানা পুলিশকে খবর দিলে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে ইমরানের বাড়িতে নিরাপদ স্থানে গ্রেনেটটি রাখে। তবে ইমরানের বাড়িতে পুলিশ প্রহরা রয়েছে।

কেন্দুয়া সার্কেলের সহকারী পুলিশ সুপার হোসাইন মোহাম্মদ ফারাবী জানান, গ্রেনেটটি তাজা কিংবা বিষ্ফোরিত কিনা তা আমরা কিছুই বলতে পারছি না। এটিতে বিশেষজ্ঞ ছাড়া অন্য কারাও হাত দেওয়ার সুযোগ নেই।

তিনি বলেন, এ বিষয়ে সেনা বাহিনীর উচ্চ পর্যায়ের বিশেষজ্ঞ কর্তা ব্যক্তিদের সাথে যোগাযোগ করা হচ্ছে। তাদের পরামর্শ দিয়েছেন নেত্রকোনা জেলা প্রশাসনের মাধ্যমে উদ্ধার করা গ্রেনেডের তথ্য মন্ত্রণালয়ে পাঠাতে। তারপর তারা পদক্ষেপ নেবেন।

কেন্দুয়া থানার অফিসার ইনচার্জ মোঃ এনামুল হক পিপিএম বলেন, পুকুর থেকে গ্রেনেডটি উদ্ধারের পর ইমরানের বাড়িতে নিরাপদ স্থানে রাখা হয়েছে। এছাড়া এ তথ্য জেলা প্রশাসনের মাধ্যমে মন্ত্রাণালয়ে পাঠানোর জন্য কেন্দুয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ইতিমধ্যে পদক্ষেপ নিয়েছেন।

কেন্দুয়া উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ও রামনগর গ্রামের বাসিন্দা বীর মুক্তিযোদ্ধা মোঃ নূরুল ইসলাম বলেন, ধারনা করছি এটি ১৯৭১ সনের মুক্তিযুদ্ধের সময়কার গ্রেনেড হতে পারে। তবে ছবিতে যা দেখলাম তাতে মনে হল গ্রেনেডটি তাজা নেই। এর পরও বিশেষজ্ঞ যারা আছেন তারাই ভালো বলতে পারবেন।

(এসবিএস/এএস/মে ০১, ২০২৪)

পাঠকের মতামত:

১৬ মে ২০২৪

এ পাতার আরও সংবাদ

উপরে
Website Security Test