E Paper Of Daily Bangla 71
World Vision
Technomedia Limited
Mobile Version

কাপ্তাইয়ে চিৎমরম নদীর ঘাট পারাপারে দুর্ভোগ, সিঁড়ি বর্ধিতকরণ ও ছাউনি নির্মাণ দাবি এলাকাবাসীর

২০২৪ মে ০৪ ১৩:৫৮:২৬
কাপ্তাইয়ে চিৎমরম নদীর ঘাট পারাপারে দুর্ভোগ, সিঁড়ি বর্ধিতকরণ ও ছাউনি নির্মাণ দাবি এলাকাবাসীর

রিপন মারমা, রাঙ্গামাটি : রাঙ্গামাটির কাপ্তাইয়ে ঐতিহ্যবাহী চিৎমরম বৌদ্ধ বিহার খেয়াঘাটে নদী পারাপারে চরম দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে পার হতে আসা সাধারণ যাত্রীদের। এখন পাকা সিঁড়ি বর্ধিত করণ ও ছাউনি নির্মাণের দাবি উঠেছে। নদীর পানি জোয়ার-ভাটায় ওঠানামা করায় যাত্রীদের কাদা-পানি পেরিয়ে ইঞ্জিন চালিত বোট ও সাম্পানে যাতায়াত করতে হয়। এতে ভোগান্তি ও চরম বিব্রতকর অবস্থায় পড়তে হচ্ছে বিশেষ করে নারী যাত্রীদের। এ ঘাট দিয়ে শিশু ও বৃদ্ধদের ওঠানামা করা মারাত্মক ঝুঁকিপূর্ণ।

তাছাড়া এখানকার ঘাটে যাত্রী ছাউনি না থাকায় নৌকায় ওঠার আগ পর্যন্ত প্রখর রোদে খোলা আকাশের নিচে বসে যাত্রীদের অপেক্ষা করতে হয় নৌকা পারপার হওয়ার জন্য। আর বর্ষাকালে ভিজতে হচ্ছে তাদের। এই খেয়াঘাট দিয়ে চিৎমরম ইউনিয়নের প্রায় লক্ষাধিক মানুষের যাতায়াত। প্রতিনিয়ত লেখাপড়া, সরকারি, বেসরকারি চাকরি, অফিস,আদালত, চিকিৎসা সেবা ও ব্যবসা-বাণিজ্যের কাজে কর্ণফুলী নদী পার হয়ে উপজেলা সদর ও জেলা সদরে আসা-যাওয়া করতে হয়।

এই খেয়াঘাটে যাত্রীছাউনি ও নিচে আর ও ৪০ ফুট সিঁড়ি না থাকাতে চরম ভোগান্তির শিকার হচ্ছেন যাত্রীরা। খেয়াঘাটগুলো যেন মরণফাঁদে পরিণত হয়েছে। খেয়াঘাট দিয়ে ওঠানামা করা বেশ ঝুঁকিপূর্ণ হওয়ায় প্রায়ই ঘটছে প্রতিনিয়ত ছোট-বড় দুর্ঘটনা।

স্থানীয় ও চিৎমরম ঐতিহ্যবাহী বৌদ্ধ বিহারে আসা পূণ্যার্থীরা অভিযোগ করে বলেন, যাত্রী ছাউনি না থাকায় অধিকাংশ সময়ে খেয়াঘাটে খোলা আকাশের নিচে রোদে বসে থাকতে হয়, অনেক সময়ে ঝড় বৃষ্টিতে ও ভিজতে হয়। আর নিচে কিছু অংশে ঘাটে পাকা সিঁড়ি না থাকায় পারাপারে চরম ভোগান্তির শিকার হতে হয়। ফলে উপজেলার ১টি ইউনিয়নের বিপুল সংখ্যক মানুষকে প্রতিদিন রোদ-বৃষ্টিতে চরম দুর্ভোগ নিয়ে নদী পাড়ি দিয়ে নির্দিষ্ট গন্তব্যে যেতে হচ্ছে।

এই খেয়াঘাট থেকে সরকার বিপুল পরিমাণ রাজস্ব আয় করলেও ঘাটের সিড়ি বর্ধিত ও যাত্রী ছাউনি না হওয়ায় ক্ষোভ প্রকাশ করেন স্থানীয় ও বৌদ্ধ বিহারে আসা পূণ্যার্থীরা।

এ বিষয়ে কাপ্তাই উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোঃমহিউদ্দিন জানান, যাত্রীদের চরমদুর্ভোগ লাঘবের বিষয়টি মাথায় রেখে চিৎমরম খেয়া ঘাটে পাকা সিঁড়ি যে পরিমাণ আছে তার চাইতে আরও বাড়ানো এবং যাত্রী ছাউনি স্থাপনের জন্য প্রজেক্ট বাস্তবায়ন প্রক্রিয়াধীন হলে দ্রত কাজ করা হবে।

(আরএম/এএস/মে ০৪, ২০২৪)

পাঠকের মতামত:

১৮ মে ২০২৪

এ পাতার আরও সংবাদ

উপরে
Website Security Test