E Paper Of Daily Bangla 71
World Vision
Technomedia Limited
Mobile Version

সারিয়াকান্দির কৃষকের মুখে হাসির ঝিলিক

২০১৪ নভেম্বর ২৩ ১১:৫৯:৪৮
সারিয়াকান্দির কৃষকের মুখে হাসির ঝিলিক

বগুড়া প্রতিনিধি: বগুড়ার সারিয়াকান্দি উপজেলার বন্যামুক্ত এলাকায় আমন ধানের ফলন ও দাম ভাল হওয়ায় কৃষকের মুখে হাসি ফুটেছে। পুরোদমে ধান কাটা-মাড়াই শু হওয়ায় কৃষান-কৃষানীরা এখন ব্যস্ত সময় পার করছেন। ফসলের মাঠ সোনালী ধানে ভরে ওঠায় কৃষকরা খুব খুশি।

কৃষি অফিস সুত্রে জানাগেছে, বন্যা মুক্ত এলাকায় বিভিন্ন জাতের আমন ধানের চাষ হয়। এর মধ্যে রঞ্জিত, বিনা-৭, ব্রি-৪৯ জাতের ধান চাষ হয়েছে। বিআর-১১,গুটি স্বর্না ও রঞ্জিত জাতের ধানের বাম্পার ফলন হয়েছে। প্রতি বিঘায় গড়ে ২০ মন করে ধানের ফলন পাওয়া যাচ্ছে। সরোজমিনে গিয়ে দেখা গেছে, যমুনা ও বাঙালী নদীর বন্যার পানি থেকে মুক্ত এলাকা ছাইহাটা, চৌকিবাড়ী, আমতলী, কাঁটাখালী, রামচন্দ্রপুর, গ্রামের ফসলের মাঠ সোনালী ধানে ভরে উঠেছে।

চাষীদের মনে আনন্দের জোয়ার বইছে। চাষীরা জানান, আশ্বিন মাসের মাঝামাঝিতে ভ্যাপসা গরমে তরতরে আমন ধান গাছে ছত্রাক জাতীয় রোগবালাই দেখা দেয়। উপজেলা কৃষি বিভাগের কর্মকর্তাদের কৃষকদের নিয়ে আগাম পদক্ষেপের কারণে রোগ বালাই নেই বলেলেই চলে ,ধান গাছের তেমন ক্ষতি হয়নি। এছাড়াও মৌসুমের বেশির ভাগ সময় জুড়ে আবহাওয়া অনুকুলে থাকার কারণে আমন ধানের শীষ পরিপুষ্ট দানায় ভরে উঠেছে।

কাঁটাখালি গ্রামের কৃষক রফিকুল ইসলাম জানান, ফসল ফলাতে কৃষকরা কঠর পরিশ্রম করে। পরিশ্রম করে ভাল ফলন পাওয়া গেলে কৃষক পরিবার গুলো আনন্দ পায়। তার জমিতে এবার ভাল ধান হওয়ায় তিনি বেশ খুশি এবার তিন বিঘা জমিতে তিনি ৬০ মন ধান পেয়েছেন।

রামচন্দ্রপুর গ্রামের চাষী পায়েল মিয়া জানান ৫ বিঘা জমিতে এবার একশত মন ধান তার ঘরে উঠবে বলে আশা করছেন। এবং দামও ভাল থাকায় খুবই ভাল লাগছে। শনিবার সারিয়াকান্দি হাটে দেখা গেছে ৭শ’টাকা মন আমন ধান বেঁচা কেনা হচ্ছে। উপজেলা কৃষি অফিসার সোহেল মোঃ সামছুদ্দীন ফিরোজ জানান, এ অঞ্চলের কৃষকরা অত্যন্ত পরিশ্রমী। তাছাড়াও কৃষি কর্মকর্তাদের সময়মত বিভিন্ন পরামর্শ ও অনুকুল আবহাওয়া থাকার কারণে বন্যামুক্ত এলাকার আমন ধানের বাম্পার ফলনের আশা করা হচ্ছে।

এবার উপজেলায় ৮হাজার ৭শ ৩২ হেক্টর জমিতে আমন ধানের চাষ হয়েছে। যে সব জমিতে ভাল ফলন হয়েছে সেসব জমিতে বিঘায় ২০ থেকে ২২ মন এবং অন্যান্য জমিতে ১৫ থেকে ১৮ মন ধান উৎপাদন হচ্ছে। প্রতি বিঘায় গড়ে ১৮ মন ধান উৎপাদন হওয়ার আশা করা হচ্ছে।



(এএসবি/এসসি/নভেম্বর২৩,২০১৪)

পাঠকের মতামত:

২৯ এপ্রিল ২০২৪

এ পাতার আরও সংবাদ

উপরে
Website Security Test