E Paper Of Daily Bangla 71
Sikdar Dental Care
Walton New
Mobile Version

নোয়াখালীত আন্দোলনকারীদের আ.লীগ কার্যালয়ে অগ্নিসংযোগ-ভাংচুর

২০২৪ আগস্ট ০৩ ২০:৪০:১১
নোয়াখালীত আন্দোলনকারীদের আ.লীগ কার্যালয়ে অগ্নিসংযোগ-ভাংচুর

মোঃ ইমাম উদ্দিন সুমন, নোয়াখালী : নোয়াখালীত কোটা আন্দোলনকারীদের বিক্ষোভ মিছিল থেকে জেলা আওয়ামী লীগ কার্যালয়ে অগ্নিসংযোগ-ভাংচুরের ঘটনা ঘটেছে। তবে এ সময় কোনো হতাহতের ঘটনা ঘটেনি। 

শনিবার (৩ আগস্ট) বিকেল পৌনে ৫টার দিকে এই অগ্নিসংযোগ ও ভাংচুরের ঘটনা ঘটে।

স্থানীয়রা জানায়, শনিবার বিকেল ৩টার দিকে কেন্দ্রীয় কর্মসূচির অংশ হিসেবে কোটা আন্দোলনকারী শিক্ষার্থী ও তাদের সমর্থকরা জেলা শহর মাইজদী বাজার থেকে বিক্ষোভ মিছিল শুরু করে। বিক্ষোভ মিছিলে তারা বিভিন্ন সরকার বিরোধী স্লোগান দিতে থাকে। একপর্যায়ে আন্দোলনকারী ও তাদের সমর্থকরা বিকেল ৪টার দিকে জেলা শহর মাইজদীর টাউন হল মোড়ে অবস্থিত জেলা আওয়ামী লীগের কার্যালয়ে সামনে অবস্থান নেয়। পরবর্তীতে তারা জেলা আওয়ামী লীগ কার্যালয়ে ইট পাটকেল নিক্ষেপ করে। এরপর হামলাকারীরা আওয়ামী লীগ কার্যালয়ে তাল ভেঙ্গে ভিতরে প্রবেশ করে কার্যালয়ে থাকা আসবাবপত্রে অগ্নিসংযোগ করে ব্যাপক ভাংচুর চালায়। এ সময় তারা সেখানে কোনো বাঁধা ছাড়া ঘন্টাব্যাপী অবস্থান করে তান্ডব চালায়। দলীয় একাধিক নেতাকর্মি জানায় হামলার সময় সেখানে কোনো দলীয় নেতাকর্মি ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্য ছিলনা। আন্দোনকারীরা চলে গেলে পরে দলীয় কিছু নেতাকর্মি এসে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে।

দলীয় কার্যালয়ে অগ্নিসংযোগ ও ভাংচুরের বিষয়ে জানতে চাইলে জেলা আওয়ামী লীগ সভাপতি অধ্যক্ষ এ এইচ এম খায়রুল আনম চৌধুরী বলেন, এ হামলায় কোটা আন্দোলনকারীরা নয়, দুস্কৃতিকারী ও দুর্বৃত্তরা জড়িত ছিল। এরা এখন ছাত্র্ আন্দোলন নয়, আছে জ্বালানি পোড়ানো নিয়ে।

সুধারাম থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মীর জাহেদুল হক রনি আওয়ামী লীগ কার্যালয়ে অগ্নিসংযোগের সত্যতা নিশ্চিত করে। তবে এ নিয়ে তিনি আর কোনো মন্তব্য করননি।

অপরদিকে, চলমান শান্তিপূর্ণ কোটা সংস্কার আন্দোলনে হামলা, মামলা, হত্যার বিচার সহ ৯ দফা দাবি বাস্তবায়নে নোয়াখালীতে ছাত্র, শিক্ষক-জনতার সমন্বয়ে বিক্ষোভ মিছিল ও প্রতিবাদ সমাবেশে অবস্থান কর্মসূচি পালন করেছে করেছে বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের শিক্ষার্থীরা।

শনিবার (৩ আগস্ট) বিকেল ৩টার দিকে বৃষ্টির বাঁধা উপেক্ষা করে জেলা শহরের মাইজদী বাজার থেকে ছাত্র জনতার সমন্বয়ে বিক্ষোভ মিছিলটি প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ করে জিলা স্কুলের সামনের প্রধান সড়কে এসে অবস্থান নিয়ে প্রতিবাদ সমাবেশ করে।

এসময় নোয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়, নোয়াখালী সরকারি বিশ্ববিদ্যালয় কলেজ, চৌমুহনী সরকারি বিশ্ববিদ্যালয় কলেজ সহ বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের কয়েক হাজার শিক্ষার্থী, শিক্ষক ও জনতা নিহতের সহপাঠীদের হত্যার বিচার ও দাবি মেনে নিতে বিভিন্ন শ্লোগানে ঘন্টাব্যাপী বিক্ষোভ ও প্রতিবাদ সমাবেশ করে।

এছাড়াও আটক শিক্ষার্থীদের অবিলম্বে নিঃশর্ত মুক্তি, দমন-নিপীড়ন বন্ধ, বিশ্ববিদ্যালয় খুলে দেওয়া এবং হত্যাকাণ্ডে জড়িত সবার পদত্যাগের দাবিতে বিভিন্ন শ্লোগান দেয়।

(আইইউএস/এএস/আগস্ট ০৩, ২০২৪)

পাঠকের মতামত:

১৬ সেপ্টেম্বর ২০২৪

এ পাতার আরও সংবাদ

উপরে
Website Security Test