E Paper Of Daily Bangla 71
World Vision
Technomedia Limited
Mobile Version

বগুড়ার ধুনটে যমুনায় বালু উত্তোলন : ভাঙনের ঝুঁকিতে তীরবর্তি এলাকা

২০১৪ নভেম্বর ২৪ ২০:৩৫:৩৩
বগুড়ার ধুনটে যমুনায় বালু উত্তোলন : ভাঙনের ঝুঁকিতে তীরবর্তি এলাকা

বগুড়া প্রতিনিধি : বগুড়ার ধুনটে যমুনা নদীতে ড্রেজার মেশিন বসিয়ে অবৈধভাবে বালু উত্তোলন করছে অসাধু ব্যবসায়িরা। ফলে নদীর ৪০ কোটি টাকা ব্যয়ে নির্মানাধীন নদীর ডান তীর সংরক্ষন প্রকল্পসহ তীরবর্তি এলাকায় ভাঙনের ঝুঁকি দেখা দিয়েছে। স্থানীয় সূত্রে জানাযায়, ধুনট উপজেলার সহড়াবাড়ী স্পারের গোড়ালী থেকে সারিয়াকান্দি উপজেলার অন্তরপাড়া পর্যন্ত ৪০ কোটি টাকা ব্যয়ে ১৬শ মিটার নদীর তীর সংরক্ষন প্রকল্পের কাজ চলছে। প্রতিবছর যমুনা নদীতে পানি বৃদ্ধি ও কমার সময়ে নদী ভাঙন দেখা দেয়।

ভাঙনের ফলে বিস্তৃর্ণ এলাকা নদী গর্ভে বিলীন হয়েছে। এজন্য ভাঙন রোধে ৪০ কোটি টাকা ব্যয়ে ওই তীর সংরক্ষণ প্রকল্পের কাজ করা হচ্ছে। সম্প্রতি এক বালু ব্যবসায়ি সহড়াবাড়ী ঘাটের উত্তর পাশ থেকে বালু উত্তোলন করছে। গত এক সপ্তাহ যাবত ড্রেজার মেশিন বসিয়ে সেখানে অবাধে বালু উত্তোলন করছে। নদীর তীর থেকে বালু উত্তোলনের স্থান একদম নিকটে। এতে তলদেশে গভীরতা হওয়ায় তীরসংরক্ষণ প্রকল্পসহ তীরবর্তি এলাকা ভয়াবহ ভাঙনের আশংকা দেখা দিয়েছে। কিন্তু অবৈধ ভাবে বালু উত্তোলন বন্ধে পানি উন্নয়ন বোর্ড বা স্থানীয় প্রশাসন কোন উদ্যোগ নেয়নি। সহড়াবাড়ী গ্রামের নজরুল ইসলাম বলেন, ড্রেজার মেশিন বসিয়ে বালু উত্তোলনের ফলে নদীর তীরবর্তি এলাকায় ভাঙনের আশংকা রয়েছে। এতে তীর সংরক্ষণ প্রকল্পের বরাদ্দকৃত ৪০ কোটি টাকা যমুনার জলে ভেসে যাবে। বালু ব্যবসায়ী শহিদুল ইসলাম বলেন, তীর সংরক্ষণ প্রকল্পের কাজের জন্য বালু উত্তোলন করা হচ্ছে। উত্তোলনকৃত বালু দিয়ে ঠিকাদার তীর সংরক্ষণ কাজ করছেন। এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, প্রশাসনের অনুমতি ছাড়া শুধু স্থানীয় ভাবে ম্যানেজ করে বালু তোলা হচ্ছে। পানি উন্নয়ন বোর্ড বগুড়া’র উপ-বিভাগীয় প্রকৌশলী আব্দুল মোত্তালেব জানান, যেখান থেকে বালু উত্তোলন করা হচ্ছে, এতে তীর সংরক্ষণ প্রকল্পের ক্ষতি হওয়ার সম্ভাবনা কম। তবে স্থানীয় জনসাধারণের ভাঙন আশংকার ফলে ড্রেজার মেশিনটি তীরবর্তি এলাকা থেকে আরো দূর বসানোর পরামর্শ দেওয়া হয়েছে।

(এএসবি/পি/অক্টোবর ২৪, ২০১৪)

পাঠকের মতামত:

২৮ এপ্রিল ২০২৪

এ পাতার আরও সংবাদ

উপরে
Website Security Test