E Paper Of Daily Bangla 71
Sikdar Dental Care
Walton New
Mobile Version

বিদেশ নেয়ার কথা বলে ১৪ লাখ টাকা নিয়ে ঔষধ কোম্পানির প্রতিনিধি উধাও

২০২৪ সেপ্টেম্বর ০৪ ২০:০৮:০৯
বিদেশ নেয়ার কথা বলে ১৪ লাখ টাকা নিয়ে ঔষধ কোম্পানির প্রতিনিধি উধাও

আঞ্চলিক প্রতিনিধি, বরিশাল : বরিশালের গৌরনদীতে প্রতারণার মাধ্যমে ব্যবসায়ীর কাছ থেকে ১৪ লাখ টাকা নিয়ে পালিয়েছে ফেরদৌস কাজী নামের এক যুবক। প্রতারক ফেরদৌস গোপালগঞ্জের কাশিয়ানি উপজেলার নিজামকান্দী ফলসী গ্রামের আব্দুল কুদ্দুস কাজীর ছেলে।

ভুক্তভোগী আশোকাঠী বাসষ্ট্যান্ডের ব্যবসায়ী এনামুল ফকির অভিযোগ করে বলেন, গত তিনবছর যাবত ফেরদৌস নামের ওই যুবক তার মা-বোনকে নিয়ে আশোকাঠী এলাকায় ভাড়া থাকতেন। সে গৌরনদীতে দীর্ঘদিন যাবত দি একমি কোম্পানির বিক্রয় প্রতিনিধি হিসেবে চাকুরী করতো। সেই সুবাধে ফেরদৌস তার দোকানে আসতেন। ফেরদৌসের সাথে তার বন্ধুত্বপূর্ন সম্পর্ক হয়।

গত বছর ফেরদৌস জানান যে, তার মামা কাতারে থাকেন। কাশিয়ানি এলাকা থেকে অনেক বেকার যুবকদের কাতার পাঠিয়ে স্বাবলম্বী করেছেন। তার মামার কাছে দশটি ভাল ভিসা আছে। লোক দিতে পারলে শীগ্রই কাতার যেতে পারবে। একপর্যায়ে ফেরদৌস তার কাতার প্রবাসী মামা রমজান শেখের সাথে মোবাইল ফোনে কথা বলিয়ে দেন। পরবর্তীতে তাদের কথায় বিশ্বাস করে আত্মীয়-স্বজন মিলে সাতজনের পাসপোর্ট ও ১৪ লাখ টাকা ফেরদৌসের হাতে তুলে দেই। টাকা নেওয়ার সময় ফেরদৌসের মা, বোন, স্ত্রী এবং কাতার প্রবাসীর স্ত্রী (তার মামী) উপস্থিত ছিলেন। টাকা ও পাসপোর্ট নেওয়ার দুই মাস অতিবাহিত হওয়ার পর কাউকে বিদেশ না নিতে পারলে আমি ফেরদৌসকে টাকা ফেরত দেওয়ার জন্য চাপ প্রয়োগ করি। গত আগষ্ট মাসে সে (ফেরদৌস) সকলের পাসপোর্ট ফেরত দেয় এবং আমার ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের নামে ১৪ লাখ টাকার চেক দেয়। গত ১৯ আগষ্ট তার দেওয়া চেকে টাকা তুলতে গিয়ে দেখি একাউন্টে কোন টাকা নেই। পরবর্তীতে তার ভাড়া বাসায় গিয়ে দেখি বাসা তালাবদ্ধ। এমনকি গোপালগঞ্জের কাশিয়ানি গিয়েও ফেরদৌস তার মা এবং কোনকে পাওয়া যায়নি। অভিযোগের বিষয়ে জানতে ফেরদৌসের ০১৭৯৭৫৩৮৮০৩ নাম্বারে একাধিকবার ফোন করেও তার নাম্বার বন্ধ থাকায় বক্তব্য নেওয়া যায়নি।

এ বিষয়ে ফেরদৌসের বাবা আব্দুল কুদ্দুস জানান, গত ১৫ আগষ্ট ফেরদৌস আমার মোবাইল ফোনে ভাল থেকে বলে একটি ভয়েস ম্যাসেজ পাঠায়। এরপর অনেকবার তার নাম্বারে কল দিয়েছি কিন্তু নাম্বার বন্ধ পেয়েছি। এখন বিভিন্ন লোকজনের কাছ থেকে টাকা নিয়েছে বলে শুনতে পাচ্ছি। এখন সে কোথায় আছে তা বলতে পারছিনা। কাতার প্রবাসী রমজান শেখের স্ত্রী ইতি বেগম জানান, টাকা লেনদেনের সময় আমি ছিলাম না। আর কার কাছ থেকে কি বাবদ কত টাকা ফেরদৌস নিয়েছে তাও আমি জানিনা। ফেরদৌসকে আমরাও খুঁজতেছি।

গৌরনদী মডেল থানার ওসি (তদন্ত) মোঃ মাজহারুল ইসলাম জানান, এবিষয়ে কেউ লিখিত অভিযোগ দেয়নি। অভিযোগ পেলে তদন্ত করে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।

(টিবি/এসপি/সেপ্টেম্বর ০৪, ২০২৪)

পাঠকের মতামত:

১৮ সেপ্টেম্বর ২০২৪

এ পাতার আরও সংবাদ

উপরে
Website Security Test