E Paper Of Daily Bangla 71
Sikdar Dental Care
Walton New
Mobile Version

ভৈরবে ট্রাক, সিএনজি ও মোটরসাইকেলের ত্রি-মুখী সংঘর্ষ, নিহত ২

২০২৪ সেপ্টেম্বর ১৪ ১৫:৪৬:৩৫
ভৈরবে ট্রাক, সিএনজি ও মোটরসাইকেলের ত্রি-মুখী সংঘর্ষ, নিহত ২

সোহেল সাশ্রু, কিশোরগঞ্জ : ভৈরবে ট্রাক ও সিএনজির ধাক্কায় মোটরসাইকেল আরোহী দুই শিক্ষার্থীর মৃত্যু হয়েছে। ১৩ সেপ্টেম্বর শুক্রবার বিকাল ৫টার দিকে ভৈরব-ময়মনসিংহ আঞ্চলিক সড়কের পাক্কার মাথা কবরস্থান এলাকায় এ দুর্ঘটনাটি ঘটে। এ ঘটনায় একজন গুরুতর আহত হয়েছেন।

নিহতরা হলেন, ভৈরব পৌর শহরের বাসস্ট্যান্ড এলাকার নিবশ্যা মিয়ার বাড়ির স্বপন মিয়ার ছেলে সুফল মিয়া (১৫) ও গাছতলা ঘাট এলাকার কাজী বাড়ির আতাউল্লাহ মিয়ার ছেলে আসাদুজ্জামান মুন্না (১৫)। এদিকে গুরুতর আহত বর্ণ (১৫) ভৈরবপুর উত্তর পাড়া এলাকার আরাফাত (বড়) মিয়ার ছেলে। তারা তিনজনই বিভিন্ন বিদ্যালয়ের অষ্টম শ্রেণির শিক্ষার্থী।

প্রত্যক্ষদর্শী ও স্থানীয়দের বরাত দিয়ে হাইওয়ে থানা অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো. সাঝু মিঞা বলেন, ঢাকা থেকে ছেড়ে আসা কিশোরগঞ্জগামী একটি ট্রাক পাক্কার মাথা কবরস্থান এলাকায় পৌঁছামাত্র পিছন দিক দিয়ে একটি সিএনজি ওভারটেক করে যাওয়ার সময় অপর প্রান্ত থেকে আসা মোটরসাইকেলটিকে ধাক্কা দেই সিএনজি। পরে মোটরসাইকেলে ট্রাকের সাথে ধাক্কা খেয়ে ছিটকে পড়ে যায়। এসময় মোটরসাইকেলে থাকা সুফল মিয়া ঘটনাস্থলেই মৃত্যুবরণ করে। দুইজন গুরুতর আহত হলে স্থানীয়রা তাদের উদ্ধার করে প্রথমে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যায়। মুন্নাকে প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরণ করলে পথিমধ্যে নরসিংদী এলাকায় সে মৃত্যু বরণ করেন। স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে না গিয়ে আহত বর্ণ একটি বেসরকারি হাসপাতালে চিকিৎসা নিয়েছেন।

খবর পেয়ে হাইওয়ে থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে যায়। এ ঘটনায় জড়িত ট্রাক ও সিএনজি দুইটিই পালিয়ে গেছে বলে তিনি জানান।

এ ঘটনায় নিহত সুফলের কাকা শাকিব বলেন, আমার ভাতিজা স্থানীয় একটি ক্যাডেট একাডেমি স্কুলে অষ্টম শ্রেণিতে লেখা পড়া করতো। সেই সাথে তার বাবা ব্যবসা প্রতিষ্ঠানেও সময় দিতেন। পরিবারকে না বলে সহপাঠিদের সাথে মোটরসাইকেলে ঘুরতে গিয়েছিল। এখন তার লাশ দেখতে হলো। সুফল পরিবারের বড় ছেলে ছিল। মা-বাবার অনেক স্বপ্ন ছিল ছেলেকে নিয়ে।

এ বিষয়ে নিহত মুন্নার ভাই বিজয় বলেন, দুপুরে বাড়ি থেকে খেয়ে বন্ধুদের সাথে বেড়াতে বের হয়েছে। আমরা জানতাম না সে তার বন্ধুর মোটরসাইকেল নিয়ে বের হয়েছে। আমাদের ভাইদের মোটরসাইকেল আছে কিন্তু আমরা তাকে মোটরসাইকেল চালাতে দেয় না। আমার ছোট ভাইয়ের এখন লেখা পড়ার সময় ছিল। সে কমলপুর হাজী জহির উদ্দিন উচ্চ বিদ্যালয়ে অষ্টম শ্রেণিতে লেখা পড়া করতো।

এ বিষয়ে হাইওয়ে থানা অফিসার ইনচার্জ মো. সাঝু মিঞা বলেন, নিহতের মরদেহ তাদের পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে। নিহতদের পরিবারের অভিযোগের ভিত্তিতে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। তবে কোন ট্রাক ও সিএনজি তাদের মোটরসাইকেলকে ধাক্কা দিয়েছিল তা শনাক্ত করা যায়নি।

(এসএস/এএস/সেপ্টেম্বর ১৪, ২০২৪)

পাঠকের মতামত:

১১ অক্টোবর ২০২৪

এ পাতার আরও সংবাদ

উপরে
Website Security Test