E Paper Of Daily Bangla 71
Sikdar Dental Care
Walton New
Mobile Version

একই ঘটনার দুই মামলায় দু'রকম তদন্ত প্রতিবেদন!

২০২৪ সেপ্টেম্বর ১৫ ১৯:৩৩:৪২
একই ঘটনার দুই মামলায় দু'রকম তদন্ত প্রতিবেদন!

শেখ ইমন, ঝিনাইদহ : বাড়িতে হামলা চালিয়ে করা হয় লুটপাট। হামলায় আহত হন দু’জন। এ নিয়ে আদালতে দুই ভুক্তভোগী পৃথক মামলা করেন। মামলার তদন্তের দায়িত্ব পড়ে দুই পুলিশ কর্মকর্তার ওপর। কিন্তু একই ঘটনায় দুজনের প্রতিবেদন দু' রকম। একজন তদন্ত কর্মকর্তা তার প্রতিবেদনে মিথ্যা তথ্য দিয়েছেন বলে অভিযোগ উঠেছে।


ঝিনাইদহ সদর উপজেলার ডাকবাংলা পুলিশ ক্যাম্পের পুলিশ পরিদর্শক (এসআই) সোহাগ হোসেনের বিরুদ্ধে মামলা তদন্তে এমন অনিয়মের অভিযোগ উঠেছে।

খোঁজ নিয়ে জানা যায়, গত ২ জানুয়ারি ডাকবাংলা বাজারের কাজী সড়কের তাহাজ উদ্দিনের ছেলে কাজী ফারুক ও তার ছোট বোন কাজী শাহানাজের ওপর ওই এলাকার সন্ত্রাসী আব্দুল বারী, আবুল কালাম ওরফে বাবুল মাস্তান, মোমিন ড্রাইভার, সালাম, কাজী মালেক, কাজী পিলু, কাজী বিশারত, কাজী সিরাজ, কাজী তরিকুল হামলা চালান। তারা কাজী ফারুক ও কাজী শাহানাজকে পিটিয়ে গুরুতর আহত করে বাড়ির মালামাল, কাগজপত্র, মোবাইল ফোন, ল্যাপটপ, নগদ টাকা ও স্বর্ণালংকার লুট করে নিয়ে যায়।
ঘটনার পর ৪ জানুয়ারি ঝিনাইদহ সদর হাসপাতালে চিকিৎসা নেন কাজী ফারুক। চোখে গুরুতর আঘাত পাওয়ায় ৭ তারিখে ঝিনাইদহ চক্ষু হাসপাতালে চিকিৎসা নেন তিনি।
এ ঘটনায় কাজী ফারুক ও কাজী শাহানাজ আদালতে মামলা করেন। কাজী ফারুকের মামলার তদন্ত করেন ডাকবাংলা ক্যাম্পের এসআই সোহাগ হোসেন এবং কাজী শাহানাজের মামলার দায়িত্ব পান ঝিনাইদহ সদর থানার এসআই শামিম হোসেন।

কিন্তু এসআই সোহাগ তার তদন্ত প্রতিবেদনে ওই দিন কোনো হামলার ঘটনা ঘটেনি বলে উল্লেখ করেন। তবে এসআই শামিম হোসেন ওই দিনের ঘটনার বিস্তারিত তথ্য প্রতিবেদন তুলে ধরেন।

ভুক্তভোগী কাজী ফারুক বলেন, ‘এসআই সোহাগ আমার মামলার মিথ্যা প্রতিবেদন দিয়েছে। তিনি তদন্তে বলেছেন, ৪ তারিখে বাদির বাড়িতে গিয়ে তাদের জমিসংক্রান্ত বিষয়ে সমস্যা সমাধানের পরামর্শ দিই। কিন্তু ওই দিন আমি ও আমার ছোট বোন ঝিনাইদহ সদর হাসপাতালে ভর্তি ছিলাম। ভর্তির কাগজও আমার কাছে রয়েছে।’

ফারুক আরও বলেন, ‘আমার বোনের মামলায় এসআই শামিম হোসেন তার প্রতিবেদনে ঘটনার সত্যতা পেয়েছেন বলে জানান। আমি এসআই সোহাগের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি জানাই।’

অভিযোগের ব্যাপারে জানতে এসআই সোহাগ হোসেনের সাথে যোগাযোগ করার চেষ্টা করা হলেও তার মুঠোফোন বন্ধ পাওয়া যায়।

ঝিনাইদহ সদর থানার ওসি শাহীন উদ্দিন বলেন,‘যেহেতু দুটি মামলার তদন্ত দুই কর্মকর্তা করেছেন, যে যা তদন্ত করে পেয়েছেন তাই রিপোর্ট দিয়েছেন। যদি বাদীর আপত্তি থাকে তাহলে নারাজি দিলে নতুন করে তদন্ত হবে।

(এসই/এএস/সেপ্টেম্বর ১৫, ২০২৪)

পাঠকের মতামত:

০৮ অক্টোবর ২০২৪

এ পাতার আরও সংবাদ

উপরে
Website Security Test