E Paper Of Daily Bangla 71
Sikdar Dental Care

For Advertisement

Mobile Version

৩ ডিসেম্বর কোটালীপাড়া মুক্ত দিবস

২০২৪ ডিসেম্বর ০২ ১৯:১২:৪০
৩ ডিসেম্বর কোটালীপাড়া মুক্ত দিবস

তুষার বিশ্বাস, গোপালগঞ্জ : ৩ ডিসেম্বর। ১৯৭১ সালের এই দিনে প্রায় ৫’শ পাকহানাদারকে পরাস্থ করে কোটালীপাড়াকে শত্রুমুক্ত করেছিল হেমায়েত বাহিনী। ৩ ডিসেম্বর সকাল ১০ টার দিকে গোপালগঞ্জ জেলার কোটালীপাড়াই প্রথম হানাদার মুক্ত হয়।

এ অঞ্চলে পাকবাহিনী ও তাদের দোসরা ছিল খুবই শক্ত অবস্থানে। আর এ এলাকায়ই সন্তান পাকিন্তান সেনাবাহিনীর প্রশিক্ষক প্রায়াত হেমায়েত উদ্দিন যুদ্ধ শুরু হলে দেশে পালিয়ে আসেন। ৮ হাজার মুক্তিযোদ্ধাকে নিয়ে তিনি গড়ে তোলেন হেমায়েত বাহিনী। কোটালীপাড়ায় তিনি একটি ট্রেনিং ক্যাম্পও গড়ে তোলেন। যেখানে পুরুষদের পাশাপাশি নারীদেরকেও যুদ্ধের ট্রেনিং দেওয়া হতো। ৭২টি গ্রুপের সমন্বয়ে গঠিত এই হেমায়েত বাহিনী যুদ্ধ করেছিল মুক্তিযুদ্ধের রণাঙ্গনে।

মুক্তিযুদ্ধ চলাকালীন সময়ে হেমায়েত বাহিনীর সদস্যরা ১৩৪টি অপারেশন পরিচালনা করেন। এরমধ্যে উল্লেখযোগ্য যুদ্ধ হয় হরিনাহাটি, মাটিভাঙ্গা, বাঁশবাড়িয়া, ঝনঝনিয়া, জহরের কান্দি, কোটালীপাড়া সদর প্রভৃতি স্থানে। হানাদার বাহিনীর সঙ্গে সম্মূখ যুদ্ধে ১৮ জন মুক্তিযোদ্ধা শহীদ ও ২৪ জন আহত হন।
এদিন মিত্র ও মুক্তিবাহিনীর আক্রমনে কোটালীপাড়া থানা, মসজিদ ও গোডাউনে অবস্থানরতঃ পাক সেনাদের পতন ঘটে। ৩ ডিসেম্বর ভোর ৫টার দিকে মুক্তিযোদ্ধাদের এক সাথে আক্রমনের মুখে সকাল ১০ টার দিকে প্রায় ৫’শ পাকহানাদার আত্মসমর্পণ করতে বাধ্য হয়।

মুক্তিযুদ্ধে অসাধারণ অবদানের কারণে দেশ স্বাধীন হবার পর হেমায়েত উদ্দিনকে “বীর বিক্রম” খেতাবে ভুষিত করা হয়।

(টিবি/এসপি/ডিসেম্বর ০২, ২০২৪)

পাঠকের মতামত:

২২ জানুয়ারি ২০২৫

এ পাতার আরও সংবাদ

উপরে
Website Security Test