E Paper Of Daily Bangla 71
Sikdar Dental Care

For Advertisement

Mobile Version

অভিযানে বন্ধ বালু লুট, দু’দিন পর একই দৃশ্য

২০২৫ জানুয়ারি ১০ ১৮:৫৬:৩১
অভিযানে বন্ধ বালু লুট, দু’দিন পর একই দৃশ্য

বিশেষ প্রতিনিধি : অভিযানে দু’দিন অবৈধভাবে মাটি ও বালু কাটা বন্ধ থাকলেও তা ফের চালু হয়েছে। প্রশাসনকে তোয়াক্কা না করে দু’দিন যেতে না যেতেই রাতের আধারে লুকিয়ে ফের কাটা হচ্ছে মাটি ও বালু। রাজবাড়ীর পাংশা উপজেলার হাবাসপুর ইউনিয়নের সাহাপাড়া ঘাট, চরপাড়া ও শাহামীরপুর এলাকায় পদ্মা নদীর চর থেকে অবাধে চলছে এসব মাটি ও বালু লুট। দিনের বেলা সুনসান নিরাবতা থাকলেও সূর্য ডোবার সাথে সাথেই পাল্টে যাচ্ছে দৃশ্যপট। বিভিন্ন জায়গা থেকে ড্রাম ট্রাক, ট্রলি এনে রাখা হচ্ছে এসব এলাকায়। অন্ধকার হলেই শুরু হচ্ছে বালু উত্তোলন। বালু ও মাটি ভর্তি ট্রাকগুলো নির্ধারিত জায়গায় বালু ও মাটি পৌঁছে দিচ্ছে। এসব কাজে প্রশাসনের অনুমোদন নেই। তবুও পদ্মা নদীর বিভিন্ন স্থান থেকে চলছে মাটি ও বালু লুট। রাতের বেলায় প্রশাসনের চোখ ফাঁকি দিয়ে চলছে এসব কারবার। চক্রটির মূলহোতা হাবাসপুর ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি ও সাবেক চেয়ারম্যান লতিফ খাঁ ও তার সমর্থকরা।

জানা গেছে, প্রশাসনের অনুমোদন না থাকলেও ওপর মহলকে ম্যানেজ করে পদ্মার চর থেকে মাটি ও বালু উত্তোলন চলছে। বালি উত্তোলনকারীরা এলাকার প্রভাবশালী হওয়ায় পদ্মা পাড়ের বাসিন্দা ও স্থানীয় কৃষকরা ভয়ে মুখ খুলতে সাহস পাচ্ছে না।

সরেজমিন গিয়ে দেখা যায়, মাটি ও বালুবাহী ট্রাক চলাচল করার জন্য চরের মধ্যে লোহার পাত বসিয়ে রাস্তা করা হয়েছে। অবাধে বালু উত্তোলন করায় ধুলোবালিতে ওই এলাকার মানুষ ভোগান্তির শিকার হচ্ছেন। এভাবে বালু উত্তোলন করা হলে বর্ষাকালে পদ্মা নদীর ভাঙনে শত শত বিঘা ফসলি জমিও হুমকির মুখে পড়ার শঙ্কায় স্থানীয়রা।

সূত্র জানায়, হাবাসপুর ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি ও সাবেক চেয়ারম্যান লতিফ খাঁ ছাড়াও অবৈধভাবে বালু উত্তোলনের সাথে জড়িত আছে চরপাড়া এলাকার মুকুল প্রামানিক, কুতুব বিশ্বাস, নজরুল মোল্লা, বাচ্চু মোল্লা, সালাম শেখ, কালাম শেখ, সলেমান, উকিল মৌরি, কাচারীপাড়ার মন্নু, চরআফরার ধলাই, চরঝিকড়ীর শরিফুল সহ আরো কয়েকজন।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক কৃষক বলেন, অভিযানের পর দুই দিন বন্ধ ছিল মাটি কাটা। কিন্তু আবার তা শুরু হেয়েছে। সন্ধ্যার পর থেকে চলছে ভেকু দিয়ে বালু ও মাটি কাটার কাজ। দিনের বেলা ওই ভেকু আড়াল করে রাখা হচ্ছে।

স্থানীয় আরেক বাসিন্দা বলেন, রাতের বেলায় শত শত গাড়ী আসে বালি নিয়ে যায়, আমরা গাড়ীর শব্দে ঘুমাতে পারি না। মাঝে মধ্যে পুলিশও আসে তবে বালি কাটা চক্রের কিছু হয় না। তারা সব ম্যানেজ করেই করে মনে হয়। বিগত দিনেও বালি কাটা হতো এখনও কাটা হয় পার্থক্য কোথায় খুজে পাচ্ছি না।

স্থানীয়রা বলেন, প্রশাসনের নিরবতায় নির্ভয়ে রাতে বালু চুরি করে বিক্রি করে কতিপয় বিএনপি নামধারী নেতারা লাখ লাখ টাকা কামিয়ে নিয়েছেন। প্রায় ১ মাস ধরে নিয়মিতভাবে বালি মাটি কেটে বিক্রি করা হলেও প্রশাসনের নেই কোন হস্তক্ষেপ।

এবিষয়ে পাংশা উপেজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আবু দারদা বলেন, অবৈধ বালু চক্রের বিরুদ্ধে নিয়মিত অভিযান পরিচালনা করা হচ্ছে। অবৈধভাবে বালু উত্তোলন কেউ করতে পারবে না কাউকে ছাড় দেওয়া হবে না। অভিযান চলমান থাকবে।

(একে/এসপি/জানুয়ারি ১০, ২০২৫)

পাঠকের মতামত:

১৬ জানুয়ারি ২০২৫

এ পাতার আরও সংবাদ

উপরে
Website Security Test