E Paper Of Daily Bangla 71
Sikdar Dental Care

For Advertisement

Mobile Version

ভৈরবে দুই শিশুর মারামারিকে কেন্দ্র করে সংঘর্ষ, বাড়িঘর ভাঙচুর, আহত ১৫

২০২৫ ফেব্রুয়ারি ০৪ ১৭:১৭:১৬
ভৈরবে দুই শিশুর মারামারিকে কেন্দ্র করে সংঘর্ষ, বাড়িঘর ভাঙচুর, আহত ১৫

সোহেল সাশ্রু, কিশোরগঞ্জ : ভৈরবে দুই শিশুর মারামারিকে কেন্দ্র করে সংঘর্ষে বাড়িঘর ভাঙচুরসহ ১৫ জন নারী-পুরুষ আহতের খবর পাওয়া গেছে। গতকাল সোমবার রাত ১০টায় পৌর শহরের জগন্নাথপুর কমলার মোড় টিটিরোড এলাকার মিঠুরি বাড়ি ও বৈচার মার বাড়ির মধ্যে এই সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। একই ঘটনায় ১ ফেব্রুয়ারি শনিবার ও ২ ফেব্রুয়ারি রবিবার দফায় দফায় সংঘর্ষ হয়। সোমবার তৃতীয় দফায় সংঘর্ষ হলে খবর পেয়ে ভৈরব থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে এসে পরিস্থিতি শান্ত করে।

এ ঘটনায় আহতরা হলো, মিঠুরির বাড়ির শিপন মিয়া, সুলতান মিয়া, অনিক, তোফাজ্জল ও বৈচার মার বাড়ির ফারুক মিয়া, বাবুনি বেগম, আরাফাত মিয়া ও বিজয় মিয়া। এদের মধ্যে ফারুক মিয়া ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ও বিজয় মিয়া বাজিতপুর জহুরুল ইসলাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছে। এছাড়াও আরো অনেকে আহত হয়ে বিভিন্ন বেসরকারি হাসপাতাল ও প্রাইভেট ক্লিনিকে চিকিৎসা নিয়েছে।

এ বিষয়ে স্থানীয়রা জানান, ১ ফেব্রুয়ারি শনিবার সন্ধ্যায় মিঠুরির বাড়ির মৃত মগল মিয়ার ছেলে আলী হোসেনের সাথে বৈচার মার বাড়ির নিমন মিয়ার ছেলে সিয়ামের মারামারি হয়। দুইজন শিশু বাচ্চা। তারা স্থানীয় একটি মাদ্রাসার শিক্ষার্থী। এ বিষয়ে দুই পক্ষের লোকজন মীমাংসা করতে গেলে বাকবিতণ্ডার এক ফাঁকে মারামারি হলে মুহূর্তেই ঘটনাটি সংঘর্ষে রূপ নেয়। পরদিন ২ ফেব্রুয়ারি রোববার আবারো রাতে সংঘর্ষ হয়। এসময় বৈচার মার বাড়ির ফারুক মিয়া ও বিজয় গুরুত্বর আহতসহ উভয় পক্ষের বেশ কয়েকজন আহত হয়। এছাড়াও ১০/১২টি বাড়িঘর ভাঙচুর ও লুটপাট করা হয়। ৩ ফেব্রুয়ারি সোমবার রাতে তৃতীয় দফায় ধাওয়া পাল্টা ধাওয়া হয়। পুলিশ এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।
এ বিষয়ে ভাঙচুরে ক্ষতিগ্রস্ত ভুক্তভোগী ময়না বলেন, আমার বাড়িতে ছেলে নাই। সে প্রবাসে থাকে। আমাদের ঝগড়ার সাথে কোন সম্পৃক্ততা নাই। আমাদের বাড়ি ঘর কেন কুপানো হয়েছে। আমাদের কি অপরাধ।

এ বিষয়ে ভাঙচুরে ক্ষতিগ্রস্ত ভুক্তভোগী আনোয়ারা বেগম চিৎকার করতে করতে বলেন, আমি সাবান বিক্রি করে সংসার চালাই। আমার বাড়িঘর ভাঙচুর করেছে সংঘর্ষকারীরা। আমি এর বিচার চাই।

এ বিষয়ে মিঠুরি বাড়ির পক্ষের শিপন মিয়া বলেন, মিঠুরির বাড়ির মৃত মগল মিয়ার এতিম ছেলে আলী হোসেনকে বৈচার বাড়ির ছেলেরা মারধর করে। আমি ও আমার ছেলে শিশুটিকে বাঁচিয়ে আনতে গেলে আমাকেও মারধর করে বৈচার মার বাড়ির লোকজন। পরে ঘটনাটি সংঘর্ষে রূপ নেয়।

এ বিষয়ে বৈচার মার বাড়ির খোকন মিয়া বলেন, শিশুরা মারামারি করেছে। মিঠুরির বাড়ির লোকজন আমাদের বাড়িতে এসে ভাঙচুর ও লুটপাট করেছে। আমার ছোট ভাই মোরাদ তাদের মারধরের কারণে আহত হয়ে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে আইসিওতে রয়েছে। এছাড়াও আমার বাড়ির আরেক ছোট ভাই বিজয় বাজিতপুর জহুরুল ইসলাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছে। আমাদের বাড়িতে ঢুকে মহিলাদের মারধর করে ভাঙচুর ও লুটপাট করেছে তারা। আমরা এর কঠোর বিচার চাই।

এ বিষয়ে ভৈরব থানা অফিসার ইনচার্জ খন্দকার ফুয়াদ রুহানী বলেন, ভৈরবে তুচ্ছ বিষয় নিয়ে মানুষ সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ছে। স্থানীয় নেতৃবৃন্দরা এগিয়ে আসলে ঝগড়া কমে যেতো। এ সংঘর্ষের খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি শান্ত করেছে। ঘটনাস্থলে পুলিশ মোতায়েন রয়েছে। উভয় পক্ষের অভিযোগের ভিত্তিতে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে।

(এসএস/এসপি/ফেব্রুয়ারি ০৪, ২০২৫)

পাঠকের মতামত:

১৬ ফেব্রুয়ারি ২০২৫

এ পাতার আরও সংবাদ

উপরে
Website Security Test